ঢাকা ১২:১৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মদনে পাওয়ার ট্রিলার ও সেলু মেশিন চুরি, থানায় অভিযোগ

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০১:০২:১৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ৮ অক্টোবর ২০২৩
  • ১৪০ বার

মদন (নেত্রকোণা) প্রতিনিধিঃ নেত্রকোণা মদন উপজেলার নায়েকপুর ইউনিয়নে কান্দা বিলের পশ্চিমে সোনাখালী গ্রামের পাশে থাকা রোকন মিয়ার ১টি পাওয়ার ট্রিলার, ফেরদৌস মিয়ার ১টি সেলু মেশিন ও জুলহাস মিয়ার ১টি সেলু মেশিন সহ মোট ৩ টি মেশিন ও যন্ত্রাংশ চুরি হওয়ায়, ১৭ জনকে আসামি করে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন জুলহাস মিয়া।

রোববার (৮ অক্টোবর) সরজমিনে গেলে, সোনাখালী পূর্বপাড়ার ফেরদৌস মিয়া বলেন, হাওরে থাকা আমার সেলু মেশিনের কাছে গত মঙ্গলবার দিবাগত রাতে কিছু মানুষের হালকা আওয়াজ শুনতে পায় জুলহাস মিয়া। তড়িৎগতিতে জুলহাস মিয়া, রোকন মিয়া ও আমি মেশিনগুলোর কাছাকাছি গেলে টর্চ লাইটের আলোতে দেখতে পাই যে, মতিউর ও মেকানিক ভিক্ষুসহ বেশ কয়েকজন আমাদের মেশিন ও অন্যান্য যন্ত্রপাতি খুলে নিয়ে যাচ্ছে। তারা লোকজন বেশি হওয়ায় ভয়ে তাদের কাছ থেকে আমার দূরে চলে আসি।

সোনাখালী পশ্চিমপাড়ার মতিউর রহমান (বিবাদী) বলেন, আমি কেমন বা আমার বাবা কেমন তা আশে পাশের গ্রামের মানুষ জানে। ১৯৮৮ সালে বিএ পাস করেছি। আমি চোর হইলে, মানুষ আমাকে স্কুল কমিটি, বাজার কমিটি ও মসজিদ কমিটিতে রাখত না। সবাই জানে আমরা যে নিরীহ ও ভদ্র মানুষ। প্রশাসন সঠিক তদন্ত করে দেখুক ঘটনা সত্য না মিথ্যা? যদি মিথ্যা প্রমাণিত হয়, আমি তাদের বিরুদ্ধে মানহানি মামলা করব।

অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ তাওহীদুর রহমান জানান, বিষয়টি তদন্তাধীন রয়েছে। তদন্ত শেষে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

মদনে পাওয়ার ট্রিলার ও সেলু মেশিন চুরি, থানায় অভিযোগ

আপডেট টাইম : ০১:০২:১৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ৮ অক্টোবর ২০২৩

মদন (নেত্রকোণা) প্রতিনিধিঃ নেত্রকোণা মদন উপজেলার নায়েকপুর ইউনিয়নে কান্দা বিলের পশ্চিমে সোনাখালী গ্রামের পাশে থাকা রোকন মিয়ার ১টি পাওয়ার ট্রিলার, ফেরদৌস মিয়ার ১টি সেলু মেশিন ও জুলহাস মিয়ার ১টি সেলু মেশিন সহ মোট ৩ টি মেশিন ও যন্ত্রাংশ চুরি হওয়ায়, ১৭ জনকে আসামি করে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন জুলহাস মিয়া।

রোববার (৮ অক্টোবর) সরজমিনে গেলে, সোনাখালী পূর্বপাড়ার ফেরদৌস মিয়া বলেন, হাওরে থাকা আমার সেলু মেশিনের কাছে গত মঙ্গলবার দিবাগত রাতে কিছু মানুষের হালকা আওয়াজ শুনতে পায় জুলহাস মিয়া। তড়িৎগতিতে জুলহাস মিয়া, রোকন মিয়া ও আমি মেশিনগুলোর কাছাকাছি গেলে টর্চ লাইটের আলোতে দেখতে পাই যে, মতিউর ও মেকানিক ভিক্ষুসহ বেশ কয়েকজন আমাদের মেশিন ও অন্যান্য যন্ত্রপাতি খুলে নিয়ে যাচ্ছে। তারা লোকজন বেশি হওয়ায় ভয়ে তাদের কাছ থেকে আমার দূরে চলে আসি।

সোনাখালী পশ্চিমপাড়ার মতিউর রহমান (বিবাদী) বলেন, আমি কেমন বা আমার বাবা কেমন তা আশে পাশের গ্রামের মানুষ জানে। ১৯৮৮ সালে বিএ পাস করেছি। আমি চোর হইলে, মানুষ আমাকে স্কুল কমিটি, বাজার কমিটি ও মসজিদ কমিটিতে রাখত না। সবাই জানে আমরা যে নিরীহ ও ভদ্র মানুষ। প্রশাসন সঠিক তদন্ত করে দেখুক ঘটনা সত্য না মিথ্যা? যদি মিথ্যা প্রমাণিত হয়, আমি তাদের বিরুদ্ধে মানহানি মামলা করব।

অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ তাওহীদুর রহমান জানান, বিষয়টি তদন্তাধীন রয়েছে। তদন্ত শেষে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।