ঢাকা ০৫:১৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১১ অক্টোবর ২০২৪, ২৬ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

উত্তরা থেকে ৩৮ মিনিটে মতিঝিল যাতায়াত ২০ অক্টোবর

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১১:৪৭:৪৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩
  • ৭৮ বার

অপেক্ষার অবসান হতে চলেছে। ২০ অক্টোবর উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত চলবে মেট্রোরেল। উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রথম দিন ফার্মগেট, সচিবালয় ও মতিঝিল স্টেশন চালু থাকবে। বাকি চারটি স্টেশন তিন মাসের মধ্যে চালুর পরিকল্পনা প্রকল্প সংশ্লিষ্টদের।

মতিঝিল, ব্যস্ততম অফিসপাড়া। বলতে গেলে প্রায় সব বড় বড় আর্থিক প্রতিষ্ঠানের প্রধান কার্যালয় ও কর্পোরেট অফিস এখানে।

লাইনের অ্যালাইনমেন্টে ডিয়াবাড়ি থেকে পল্লবী, মিরপুর, কাজিপাড়া, শেওড়াপাড়া, ফার্মগেট, শাহবাগসহ পুরোটাই ঘন বসতিপূর্ণ এলাকার মধ্য দিয়ে। এটা করা হয়েছে, বেশি সংখ্যক মানুষকে মেট্রোর সুবিধা দিতে।

প্রথম পর্যায় আগারগাঁও পর্যন্ত অংশ আগেই চালু হয়েছে। এবার মতিঝিল পর্যন্ত মেট্রো যাত্রী চলাচলে উন্মুক্ত হতে যাচ্ছে।

ঢাকা ম্যাস র‌্যাপিড ট্রানজিট কোম্পানী লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম. এ. এন সিদ্দিক বলেন, “শতভাগ কাজ সম্পন্ন হয়েছে, ২০ অক্টোবর মেট্রোরেলের এই অংশ প্রধানমন্ত্রী স্বশরীরে এসে উদ্বোধন করবেন।”

সমীক্ষা বলছে পুরো রুট চলাচল করতে মাত্র ৩৮ মিনিট সময় নেবে এই ইলেকট্রিক ট্রেনটি। প্রতিঘন্টায় ৬০ হাজার যাত্রী পরিবহন করবে মেট্রো। এই হিসেবে প্রতিদিন যাতায়াত করবে গড়ে ৫ লাখ যাত্রী।

এম. এ. এন সিদ্দিক বলেন, “যন্ত্রপাতি ঠিক আছে কিনা এগুলোর পরীক্ষা আগেই করে ফেলেছি। এখন শেষের তিনটি টেস্ট করছি।”

চালুর প্রথম দিন ফার্মগেট, সচিবালয় ও মতিঝিল স্টেশন ব্যবহার করতে পারবে যাত্রীরা। বিজয় সরনী, কাওয়ান বাজার, শাহবাগ ও টিএসসি স্টেশনের কাজ শেষ। এখন শুধু ওঠা-নামার পথ তৈরির কাজ চলমান।

ঢাকা ম্যাস র‌্যাপিড ট্রানজিট কোম্পানী ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, “ডে-ওয়ার্ক থেকে আমরা তিনটি স্টেশন চালু করবো। অর্থাৎ আগাঁরগাওয়ের পরে ফার্মগেটে থামবে। ফার্মগেট থেকে বাংলাদেশ সচিবালয় থাকবে এবং সচিবালয়ের পরে এটা মতিঝিল থামবে। প্রত্যাশা করতে পারি যে, জানুয়ারি মাসে এটার পরিপূর্ণ চলাচল জনসাধারণ দেখতে পাবে।”

শুরুতে সবগুলো মেট্রো মতিঝিল যাবে না। যেগুলো যাবে তার গায়ে নির্ধারিত নম্বর দেখে শনাক্ত করা যাবে। জানানো হয়েছে, প্রতি ১৫ মিনিটে আগারগাঁও থেকে মতিঝিলে ৫টি ট্রেন চলবে।

অসহনীয় যানজটের নগরীতে মানুষকে ভোগান্তি থেকে স্বস্তিতে অত্যাধুনিক গণপরিবহন মেট্রোরেল। এতোদিন উত্তরা দিয়াবাড়ি থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত মেট্রোতে চলার অভিজ্ঞতা নিয়েছে রাজধানীবাসী। এবার মতিঝিল পর্যন্ত এই সুযোগ উন্মুক্ত হতে যাচ্ছে। প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা বলছেন ব্যক্তিগত গাড়ির ব্যবহার কমিয়ে যদি এই গণপরিবহন ব্যবহারে আরও উৎসাহী হয় মানুষ তাহলে তাদের সময় যেমন সাশ্রয় হবে একই সাথে অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ হবে এই বাংলাদেশ।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

উত্তরা থেকে ৩৮ মিনিটে মতিঝিল যাতায়াত ২০ অক্টোবর

আপডেট টাইম : ১১:৪৭:৪৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩

অপেক্ষার অবসান হতে চলেছে। ২০ অক্টোবর উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত চলবে মেট্রোরেল। উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রথম দিন ফার্মগেট, সচিবালয় ও মতিঝিল স্টেশন চালু থাকবে। বাকি চারটি স্টেশন তিন মাসের মধ্যে চালুর পরিকল্পনা প্রকল্প সংশ্লিষ্টদের।

মতিঝিল, ব্যস্ততম অফিসপাড়া। বলতে গেলে প্রায় সব বড় বড় আর্থিক প্রতিষ্ঠানের প্রধান কার্যালয় ও কর্পোরেট অফিস এখানে।

লাইনের অ্যালাইনমেন্টে ডিয়াবাড়ি থেকে পল্লবী, মিরপুর, কাজিপাড়া, শেওড়াপাড়া, ফার্মগেট, শাহবাগসহ পুরোটাই ঘন বসতিপূর্ণ এলাকার মধ্য দিয়ে। এটা করা হয়েছে, বেশি সংখ্যক মানুষকে মেট্রোর সুবিধা দিতে।

প্রথম পর্যায় আগারগাঁও পর্যন্ত অংশ আগেই চালু হয়েছে। এবার মতিঝিল পর্যন্ত মেট্রো যাত্রী চলাচলে উন্মুক্ত হতে যাচ্ছে।

ঢাকা ম্যাস র‌্যাপিড ট্রানজিট কোম্পানী লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম. এ. এন সিদ্দিক বলেন, “শতভাগ কাজ সম্পন্ন হয়েছে, ২০ অক্টোবর মেট্রোরেলের এই অংশ প্রধানমন্ত্রী স্বশরীরে এসে উদ্বোধন করবেন।”

সমীক্ষা বলছে পুরো রুট চলাচল করতে মাত্র ৩৮ মিনিট সময় নেবে এই ইলেকট্রিক ট্রেনটি। প্রতিঘন্টায় ৬০ হাজার যাত্রী পরিবহন করবে মেট্রো। এই হিসেবে প্রতিদিন যাতায়াত করবে গড়ে ৫ লাখ যাত্রী।

এম. এ. এন সিদ্দিক বলেন, “যন্ত্রপাতি ঠিক আছে কিনা এগুলোর পরীক্ষা আগেই করে ফেলেছি। এখন শেষের তিনটি টেস্ট করছি।”

চালুর প্রথম দিন ফার্মগেট, সচিবালয় ও মতিঝিল স্টেশন ব্যবহার করতে পারবে যাত্রীরা। বিজয় সরনী, কাওয়ান বাজার, শাহবাগ ও টিএসসি স্টেশনের কাজ শেষ। এখন শুধু ওঠা-নামার পথ তৈরির কাজ চলমান।

ঢাকা ম্যাস র‌্যাপিড ট্রানজিট কোম্পানী ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, “ডে-ওয়ার্ক থেকে আমরা তিনটি স্টেশন চালু করবো। অর্থাৎ আগাঁরগাওয়ের পরে ফার্মগেটে থামবে। ফার্মগেট থেকে বাংলাদেশ সচিবালয় থাকবে এবং সচিবালয়ের পরে এটা মতিঝিল থামবে। প্রত্যাশা করতে পারি যে, জানুয়ারি মাসে এটার পরিপূর্ণ চলাচল জনসাধারণ দেখতে পাবে।”

শুরুতে সবগুলো মেট্রো মতিঝিল যাবে না। যেগুলো যাবে তার গায়ে নির্ধারিত নম্বর দেখে শনাক্ত করা যাবে। জানানো হয়েছে, প্রতি ১৫ মিনিটে আগারগাঁও থেকে মতিঝিলে ৫টি ট্রেন চলবে।

অসহনীয় যানজটের নগরীতে মানুষকে ভোগান্তি থেকে স্বস্তিতে অত্যাধুনিক গণপরিবহন মেট্রোরেল। এতোদিন উত্তরা দিয়াবাড়ি থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত মেট্রোতে চলার অভিজ্ঞতা নিয়েছে রাজধানীবাসী। এবার মতিঝিল পর্যন্ত এই সুযোগ উন্মুক্ত হতে যাচ্ছে। প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা বলছেন ব্যক্তিগত গাড়ির ব্যবহার কমিয়ে যদি এই গণপরিবহন ব্যবহারে আরও উৎসাহী হয় মানুষ তাহলে তাদের সময় যেমন সাশ্রয় হবে একই সাথে অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ হবে এই বাংলাদেশ।