কেউ যাতে সন্দেহ না করে সেজন্য বিউটি পার্লারে গিয়ে সাজগোজ করতেন। এরপর বেরিয়ে পড়তেন চুরি বা ছিনতাইয়ে। রাজধানীর মিরপুর থেকে এমনই এক ছিনতাইকারী মুক্তা বেগমকে গ্রেপ্তার করেছে মিরপুর মডেল থানা পুলিশ।
গতকার রোববার সন্ধ্যায় মিরপুর ১০নং সেকশনে ওয়াসা ভবনের সামনে থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
মিরপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ মহসিন জানান, মুক্তা বেগম পেশাদার ছিনতাইকারী। মায়ের সাথে থেকেই ছোটখাট চুরি করা শুরু করেন। মা অসুস্থ হয়ে শয্যাশায়ী হয়ে পড়লে মুক্তা একজনকে সাথে নিয়ে পুরো ছিনতাই শুরু করেন। মানুষের সন্দেহ এড়াতে গ্রহণ করেন অভিনব কৌশল।
প্রতিবার ছিনতাইয়ে বের হওয়ার আগে বিউটি পার্লারে গিয়ে সেজে আসেন। বেশভূষা দেখে উচ্চবিত্ত মহিলা মনে হওয়ায় সহজেই কেউ সন্দেহ করে না তাকে। আর এই সুযোগ কাজে লাগিয়েই ছিনতাই করেন তিনি।
ছিনতাইয়ের কৌশল সম্পর্কে অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ মহসিন আরো বলেন, মুক্তা বেগম মার্কেটে গিয়ে প্রথমে কোন মেয়ের সঙ্গে ঝগড়া বাধিয়ে দেন।
এরপর সুযোগ বুঝে মোবাইল ফোন ও টাকা হাতিয়ে নেন।
ওসি বলেন, রোববার একইভাবে এক নারীর মোবাইল ফোন ও ব্যাগ ছিনতাই করে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন মুক্তা। ওই নারীর চিৎকারে আশেপাশের লোকজন মুক্তাকে আটক করে। পরে ৯৯৯-এ ফোন করলে মিরপুর মডেল থানা পুলিশের একটি দল মিরপুর ১০নং সেকশনে ওয়াসা ভবনের সামনে থেকে তাকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।
মুক্তা বেগমের বিরুদ্ধে রাজধানীর বিভিন্ন থানায় ৭টি মামলা রয়েছে।
এর আগেও তিনি ৭ বার গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। মিরপুর মডেল থানায় রুজুকৃত মামলায় তাকে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।