ঢাকা ০১:৩৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
সাদপন্থীদের নিষিদ্ধ ও বিচারের দাবিতে মদনে আবারও বিক্ষোভ মিছিল পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বর্ডারে দুর্নীতির কারণে ঠেকানো যাচ্ছে না ‘রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ আব্রাম না থাকলে তাকে আমার যোগ্য বলেও মনে করতাম না ওমরাহ শেষে গ্রামে ফিরে খেজুর-জমজমের পানি বিতরণ করল শিশু রিফাত বিদেশে প্রশিক্ষণে ঘুরে-ফিরে একই ব্যক্তি নয়, জুনিয়রদের অগ্রাধিকার কর্মবিরতির ঘোষণা দিয়ে সড়ক ছাড়লেন চিকিৎসকরা রেমিট্যান্সে জোয়ার, ২১ দিনে এলো ২ বিলিয়ন ডলার গণমাধ্যমের পাঠক-দর্শক-শ্রোতার মতামত জরিপ জানুয়ারিতে বুয়েট শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় গ্রেপ্তার ৩ আসামি রিমান্ডে বিয়ের আগে পরস্পরকে যে প্রশ্নগুলো করা জরুরি

দুই মাসে ৫ হাজার ৩০৮ কোটি টাকার কৃষিঋণ বিতরণ

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৮:৪২:২৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩
  • ৯৭ বার

চলতি ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরের প্রথম দুই মাস জুলাই ও আগস্টে ৫ হাজার ৩০৮ কোটি টাকার কৃষিঋণ বিতরণ করেছে ব্যাংকগুলো। একই সময়ে কৃষকরা পূর্বের নেওয়া ঋণের পাঁচ হাজার ২৫১ কোটি টাকা ব্যাংকগুলোকে ফেরত দিয়েছেন। বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। কৃষিঋণকে সবসময়ই ইতিবাচক হিসেবে দেখেন ব্যাংকখাত সংশ্লিষ্টরা। কারণ এ ঋণে ঝুঁকি কম। বড় ঋণে অনেকে খেলাপিতে পরিণত হলেও কৃষিতে খেলাপির পরিমাণ অতি নগণ্য। কেন্দ্রীয় ব্যাংকও এ ঋণে বেশ উৎসাহিত করছে। অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে আদায় ও বিতরণ সন্তোষজনক বলেই জানান কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তারা। কৃষকদের হাতে কম সুদে ঋণ পৌঁছাতে নিজস্ব নেটওয়ার্কের মাধ্যমে অন্তত ৫০ শতাংশ ঋণ বিতরণ বাধ্যতামূলক করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর আগে যেটা ছিল ৩০ শতাংশ। আবার কৃষিঋণের কত অংশ কোন খাতে বিতরণ করতে হবে তাও নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। তাছাড়া মৎস্য খাতে মোট লক্ষ্যমাত্রার নূন্যতম ১৩ শতাংশ ও প্রাণিসম্পদ খাতে নূন্যতম ১৫ শতাংশ ঋণ বিতরণ করতে হবে। চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশ ব্যাংকের বার্ষিক কৃষি ও পল্লি ঋণ বিতরণের লক্ষ্য নির্ধারণ করে ৩৫ হাজার কোটি টাকা। এটি গত ২০২২-২৩ অর্থবছরের চেয়ে ১৩ দশমিক ৬০ শতাংশ বেশি। গত অর্থবছর ৩০ হাজার ৮১১ কোটি টাকা কৃষিঋণের লক্ষ্য ছিল। আগস্ট পর্যন্ত কৃষিঋণের স্থিতি ৫৩ হাজার ২৩০ কোটি ৩৮ লাখ টাকা। যেখানে সার্বিকভাবে কৃষি খাতে ঋণ খেলাপি ৭ দশমিক ৩৭ শতাংশ বা তিন হাজার ৯২৪ কোটি। চলতি অর্থবছরের প্রথম দুই মাস জুলাই ও আগস্টে কৃষকদের সবচেয়ে বেশি ঋণ দিয়েছে বিশেষায়িত বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক (বিকেবি)। এই দুই মাসে ব্যাংকটির বিতরণ করা ঋণের পরিমাণ ৮৫৩ কোটি টাকা। এর পরেই রয়েছে বেসরকারি খাতের ডাচ বাংলা ব্যাংক। ব্যাংকটি এসময়ে বিতরণ করেছে ৪৮৮ কোটি টাকার ঋণ। এ ছাড়া বিদেশি স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক কৃষিঋণ বিতরণ করেছে ৩৯৭ কোটি টাকা, ইসলামি ব্যাংক ৩৫৩ কোটি এবং ব্র্যাক ব্যাংক ২২৩ কোটি টাকা।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

সাদপন্থীদের নিষিদ্ধ ও বিচারের দাবিতে মদনে আবারও বিক্ষোভ মিছিল

দুই মাসে ৫ হাজার ৩০৮ কোটি টাকার কৃষিঋণ বিতরণ

আপডেট টাইম : ০৮:৪২:২৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩

চলতি ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরের প্রথম দুই মাস জুলাই ও আগস্টে ৫ হাজার ৩০৮ কোটি টাকার কৃষিঋণ বিতরণ করেছে ব্যাংকগুলো। একই সময়ে কৃষকরা পূর্বের নেওয়া ঋণের পাঁচ হাজার ২৫১ কোটি টাকা ব্যাংকগুলোকে ফেরত দিয়েছেন। বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। কৃষিঋণকে সবসময়ই ইতিবাচক হিসেবে দেখেন ব্যাংকখাত সংশ্লিষ্টরা। কারণ এ ঋণে ঝুঁকি কম। বড় ঋণে অনেকে খেলাপিতে পরিণত হলেও কৃষিতে খেলাপির পরিমাণ অতি নগণ্য। কেন্দ্রীয় ব্যাংকও এ ঋণে বেশ উৎসাহিত করছে। অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে আদায় ও বিতরণ সন্তোষজনক বলেই জানান কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তারা। কৃষকদের হাতে কম সুদে ঋণ পৌঁছাতে নিজস্ব নেটওয়ার্কের মাধ্যমে অন্তত ৫০ শতাংশ ঋণ বিতরণ বাধ্যতামূলক করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর আগে যেটা ছিল ৩০ শতাংশ। আবার কৃষিঋণের কত অংশ কোন খাতে বিতরণ করতে হবে তাও নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। তাছাড়া মৎস্য খাতে মোট লক্ষ্যমাত্রার নূন্যতম ১৩ শতাংশ ও প্রাণিসম্পদ খাতে নূন্যতম ১৫ শতাংশ ঋণ বিতরণ করতে হবে। চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশ ব্যাংকের বার্ষিক কৃষি ও পল্লি ঋণ বিতরণের লক্ষ্য নির্ধারণ করে ৩৫ হাজার কোটি টাকা। এটি গত ২০২২-২৩ অর্থবছরের চেয়ে ১৩ দশমিক ৬০ শতাংশ বেশি। গত অর্থবছর ৩০ হাজার ৮১১ কোটি টাকা কৃষিঋণের লক্ষ্য ছিল। আগস্ট পর্যন্ত কৃষিঋণের স্থিতি ৫৩ হাজার ২৩০ কোটি ৩৮ লাখ টাকা। যেখানে সার্বিকভাবে কৃষি খাতে ঋণ খেলাপি ৭ দশমিক ৩৭ শতাংশ বা তিন হাজার ৯২৪ কোটি। চলতি অর্থবছরের প্রথম দুই মাস জুলাই ও আগস্টে কৃষকদের সবচেয়ে বেশি ঋণ দিয়েছে বিশেষায়িত বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক (বিকেবি)। এই দুই মাসে ব্যাংকটির বিতরণ করা ঋণের পরিমাণ ৮৫৩ কোটি টাকা। এর পরেই রয়েছে বেসরকারি খাতের ডাচ বাংলা ব্যাংক। ব্যাংকটি এসময়ে বিতরণ করেছে ৪৮৮ কোটি টাকার ঋণ। এ ছাড়া বিদেশি স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক কৃষিঋণ বিতরণ করেছে ৩৯৭ কোটি টাকা, ইসলামি ব্যাংক ৩৫৩ কোটি এবং ব্র্যাক ব্যাংক ২২৩ কোটি টাকা।