যুক্তরাজ্যে নিষিদ্ধ হতে পারে সিগারেট। আর এই পদক্ষেপ নিতে পারেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক নিজেই। মূলত পরবর্তী প্রজন্মকে সিগারেট থেকে দূরে রাখতে এমন পদক্ষেপ নেওয়ার পরিকল্পনা করছেন তিনি।
ব্রিটিশ মিডিয়ার রিপোর্টের বরাত দিয়ে শনিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পরবর্তী প্রজন্মকে সিগারেট থেকে দূরে রাখতে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা প্রবর্তন করার কথা বিবেচনা করছেন বলে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান শুক্রবার সরকারি সূত্রের বরাত দিয়ে জানিয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, গত বছর নিউজিল্যান্ডের ঘোষিত একটি আইনের মতোই ধূমপানবিরোধী পদক্ষেপ নেওয়ার দিকে নজর দিচ্ছেন সুনাক। নিউজিল্যান্ডের সেই আইনের অধীনে ২০০৯ সালের ১ জানুয়ারি বা তার পরে জন্মগ্রহণকারী সকলের কাছে তামাক বিক্রি নিষিদ্ধ করা রয়েছে।
ব্রিটিশ সরকারের একজন মুখপাত্র এ বিষয়ে রয়টার্সকে ইমেইলে বলেছেন, ‘আমাদের ২০৩০ সালের মধ্যে ধূমপানমুক্ত দেশ হওয়ার যে উচ্চাকাঙ্ক্ষা রয়েছে তা পূরণ করতে চাই এবং এই কারণে আরও বেশি লোককে ধূমপান ত্যাগ করতে উৎসাহিত করতে চাই। আর এই কারণেই আমরা ইতোমধ্যে ধূমপানের হার কমানোর জন্য পদক্ষেপ নিয়েছি।’
ওই মুখপাত্র আরও বলেন, ধূমপান নিরুৎসাহিত করতে বিনামূল্য ভ্যাপ কিট দেওয়া হবে। এছাড়া গর্ভবতী নারীদের ধূমপান থেকে বিরত রাখতে ভাউচার স্কিম দেওয়া হবে। এছাড়া আরও নানা পদক্ষেপ রয়েছে।
অবশ্য ব্রিটিশ সরকারের ওই মুখপাত্র দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনের বিষয়ে আরও কোনও মন্তব্য করতে চাননি।
ব্রিটেনে আগামী বছর জাতীয় নির্বাচন হতে পারে এবং বিবেচনাধীন এসব নীতিগুলো সেই নির্বাচনের আগে সুনাকের দলের নতুন ভোক্তা-কেন্দ্রিক উদ্যোগের অংশ বলেও গার্ডিয়ানের রিপোর্টে বলা হয়েছে।
এর আগে গত মে মাসে ব্রিটিশ সরকার ঘোষণা করে, খুচরা বিক্রেতারা শিশুদের হাতে বিনামূল্যে ই-সিগারেটের নমুনা দিলে তা কঠোর হাতে দমন করা হবে।
এছাড়া গত জুলাই মাসে পরিবেশগত ও স্বাস্থ্য উভয় ঝুঁকি বিবেচনায় নিয়ে ২০২৪ সালের মধ্যে একক-ব্যবহারযোগ্য ভ্যাপ বিক্রি নিষিদ্ধ করার জন্য সরকারেরর প্রতি আহ্বান জানায় ইংল্যান্ড এবং ওয়েলসের কাউন্সিলগুলো।