হাওর বার্তা ডেস্কঃ জাতিসংঘের মহাসচিব সোমবার আফগানিস্তানের তালিবানের কাছে কিশোরী মেয়েদের উচ্চ বিদ্যালয়ে পড়ার অনুমতি দেওয়ার জন্য পুনরায় দাবি জানিয়েছেন।
আন্তনিও গুতেরেস এক্স হ্যান্ডেলে (সাবেক ট্যুইটার) বলেন, “এটি মানবাধিকারের অযৌক্তিক লঙ্ঘন যা গোটা দেশকে দীর্ঘস্থায়ীভাবে ক্ষতি করবে।” পাশাপাশি তিনি যোগ করেন, “মেয়েদের স্থান বিদ্যালয়ে। তাদের ফিরতে দিন।” স্বীকৃতিহীন এই সরকারের শিক্ষায় নিষেধাজ্ঞা চাপানোর দুই বছর পূর্তিতে তাঁর এই বিবৃতি।
২০২১ সালে আন্তর্জাতিকভাবে সাহায্যপুষ্ট সরকারের কাছ থেকে ক্ষমতা ছিনিয়ে নিয়েছিল তালিবান। তারপর থেকে আফগান নারীদের শিক্ষা ও কাজের ক্ষেত্রে ব্যাপক বিধিনিষেধ আরোপ করেছে তারা। ষষ্ঠ শ্রেণির পর মেয়েদের বিদ্যালয়ে পড়াশোনার উপর তারা নিষেধাজ্ঞা চাপিয়েছে। এর ফলে, আফগানিস্তান হয়ে উঠেছে বিশ্বের একমাত্র দেশ যেখানে নারীশিক্ষার উপর বিধিনিষেধ রয়েছে।
গত সপ্তাহে গুতেরেস সাংবাদিকদের বলেছিলেন, আফগানিস্তানের নারী ও মেয়েদের অধিকার “সমস্ত উদ্বেগের একেবারে কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে।” নিউইয়র্কে সোমবার অনুষ্ঠেয় জাতিসংঘের সাধারণ সভার অধিবেশনের আলোচ্যসূচিতেও থাকবে এই বিষয়টি।
জরুরি অবস্থা ও দীর্ঘায়িত সংকটে শিক্ষার জন্য জাতিসংঘের বৈশ্বিক তহবিল ‘এডুকেশন ক্যানট ওয়েটট’ এই নিষেধাজ্ঞাকে সর্বজনীন মানবাধিকারের লঙ্ঘন বলে নিন্দা করেছে।
এই সংস্থা বলেছে, “স্কুলে যাওয়ার বয়সী ৮০ শতাংশ আফগান মেয়েই এখন বিদ্যালয়ের চৌহদ্দির বাইরে। ২.৫ মিলিয়ন মেয়ে নিরাপত্তা, সুরক্ষা ও শিক্ষার সুবিধা সংক্রান্ত অধিকার থেকে বঞ্চিত। এটা তাদের একান্ত মানবিক অধিকার।”
সূত্র: ভয়েস অব আমেরিকা