হাওর বার্তা ডেস্কঃ পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের রিমান্ড আরও দুই সপ্তাহ বাড়ানো হয়েছে। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা যায়।
২০২২ সালের এপ্রিলে সংসদে আস্থা ভোটহারানোর পর থেকে রাজনৈতিক সঙ্কটের কেন্দ্রে রয়েছেন ৭০ বছর বয়সী সাবেক ক্রিকেট তারকা। গত মাসে একটি পৃথক দুর্নীতির মামলায় তার দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় জাতীয় নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অযোগ্য ঘোষণা করা হয় তাকে।
আগস্টের শেষ দিকে ইমরান খানের বিরুদ্ধে একটি দুর্নীতি মামলায় তার সাজা স্থগিত করা হয়। তবে রাষ্ট্রীয় গোপন নথি মামলায় তিনি এখনও কারাগারে রয়েছেন। সর্বশেষ নির্দেশ অনুযায়ী ২৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কারা রিমান্ডে থাকবেন তিনি।
এর আগে ৩০ আগস্ট ইমরান খানকে ১৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে বিশেষ আদালত। রাষ্ট্রীয় গোপন নথি ফাঁসের (সাইফার) মামলাতেই তার রিমান্ড মঞ্জুর হয়।
তার আগে ইমরান খানের বিরুদ্ধে তোশাখানা দুর্নীতি মামলায় তিন বছরের কারাদণ্ড স্থগিত করেন আদালত। হাইকোর্ট মুক্তির নির্দেশ দিলেও কিছুক্ষণ পরই সরকারি গোপন নথি মামলায় বিশেষ আদালত জানায়, ইমরানকে যেন অ্যাটোক কারাগারেই আটক রাখা
হয়।ইমরানকে এখন যে গোপন তারবার্তা ফাঁসের মামলায় আটক আছেন, সেটির সূত্রপাত হয়েছিল গত বছরের এপ্রিলে। সে মাসে তিনি অনাস্থা ভোটে প্রধানমন্ত্রিত্ব হারান। এ ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত পাকিস্তানের তৎকালীন রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে গোপন বৈঠক করেছিলেন দুই মার্কিন শীর্ষ কর্মকর্তা। তারা পাক দূতকে হুমকি দিয়েছিলেন, ইমরানকে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে না সরালে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেবে। আর সেই গোপন বৈঠকের বিষয়টিরই একটি নথি ইমরান খান একটি জনসভায় প্রকাশ্যে দেখিয়েছিলেন। এর মাধ্যমে তিনি সরকারি গোপন নথি ফাঁস করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
যদিও ইমরান খানের দাবি, তিনি সজ্ঞানে সেটি প্রকাশ করেননি। তার আইনজীবীরা বলছেন, সেসময় ইমরান খানের হাতে কেউ কাগজটি তুলে দিয়েছিলেন এবং সেটি জনসমক্ষে প্রকাশ করেছিলেন তিনি। ইমরানের ওই কাগজ প্রদর্শনের কথা ছিল না।