২০১৯ সালেও বিএনপি ক্ষমতায় আসতে পারবে না

ফোনে আড়ি পাতা কেলেঙ্কারি বিশ্বে নতুন নয়। অতি গোপনীয়তা অবলম্বন করে গোপন খবর (অনেকাংশে ষড়যন্ত্র) জানার চেষ্টার অংশ হিসাবে দেশে দেশে এই ধারা চালু রয়েছে।
এ নিয়ে মাঝে মধ্যে তীব্র সমালোচনাও হচ্ছে। বিষয়টি অন্যায়-এটা জানার পরও একটি গ্রুপ এতে খুশি হচ্ছে আবার আরেকটি গ্রুপ এর সমলোচনায় মুখর রয়েছে।
বেশ কয়েক বছর আগে মার্কিন কর্মকর্তাদের গোপন কথাবার্তা ফাঁস করে বিশ্বজুড়ে অনেকেরই বাহবা কুড়িয়েছিল উইকিলিকস। তখন অনেকটাই বেকায়দায় পড়েছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
বেশ কিছুদিন ধরে বাংলাদেশেও এই ধারা চালু হয়েছে। নানা অজুহাতে বাংলাদেশে ফোনে আড়ি পাতার ঘটনা ঘটছে। আড়ি পাতা থেকে বাদ যাচ্ছে না ভাইবার-ট্যাঙ্গোও।
সরকারবিরোধী নানা কথাবার্তা সম্বলিত ফোনালাপে ফাঁস হওয়ায় পর মামলাও হয়েছে এবং তাতে অনেককে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে।
তবে ফোনে আড়ি পাতার ফলে মানুষের ব্যক্তিগত আলাপচারিতা ফাঁস হয়ে যাওয়ার বিষয়টি সমালোচনারও জন্ম দিয়েছে।
এ সব ঘটনা অনেককেই বিব্রতকর অবস্থার মধ্যে ঠেলে দিয়েছে। সবশেষে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য লেঃ জেঃ (অব.)মাহবুবুর রহমানের সঙ্গে যুবদল নেতা রইসের ফোনালাপ ফাঁস হয়েছে।
বিষয়টি এখন টক অব দ্য কান্ট্রিতে পরিণত হয়েছে। এর আগে মওদুদ আহমদ, কাজী নজরুল ইসলাম ও খালেদা জিয়ার বিশেষ সহকারীর ফোনালাপ ফাঁস নিয়ে কয়েকদিন ধরে রাজনীতি সরগরম থাকলেও এখন চলছে রইস-মাহবুবুর রহমানের ফোনালাপ নিয়ে।
জানা গেছে, রইস-মাহবুবের ফোনালাপে বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সমালোচনা করা হয়েছে।খালেদা জিয়ার জামায়াত সম্পৃক্ততা নিয়েও এতে অনেক কথাবার্তা হয়েছে।
ভারতের রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জীর বাংলাদেশ সফর এবং হরতালের অজুহাত দেখিয়ে প্রণব মুখার্জীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে খালেদা না যাওয়ার বিষয়টিও তাদের কথাবার্তায় এসেছে। ওই ইস্যুতে খালেদার তীব্র সমালোচনা করা হয়।
২০১৯ সালে বিএনপি ক্ষমতায় আসতে পারবে না বলেও একমত পোষণ করা হয় ফোনালাপে। সেনাবাহিনীর ওপর ভর করে বিএনপি ক্ষমতায় আসা না আসা নিয়েও অল্প পরিসরে কথাবার্তা হয়।
দলের অঙ্গ সংগঠনের এক নেতার সঙ্গে ফোনালাপ ফাঁস হওয়ায় বিব্রতকর পরিস্থিতির মুখে পড়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য লেঃ জেঃ (অবঃ) মাহবুবুর রহমান।
এ প্রসঙ্গে মাহবুবুর রহমান ঢাকাটাইমসকে বলেন বিষয়টি খুবই নিম্নশ্রেণীর কাজ। কখন কার সঙ্গে কি কথা হয়েছে এটা ফাঁস হওয়ায় বিষয়টিও উদ্বেগের।
সাবেক এই সেনাপ্রধান বলেন, “আমি কিছু জানি না। অনেকের সঙ্গেই প্রতিদিন কথা হয়, খোলা মন নিয়েই কথা বলি। কিন্তু কে কখন ফোন রেকর্ড করে প্রকাশ করছে, এসব নিম্নশ্রেণীর আচরণ। ইদানিং তো চরিত্রহননে এসব করা হচ্ছে।”
মাহবুব আরও বলেন, “আমি এসব ব্যাপারে কথা বলতে আগ্রহী নই। আমি স্বচ্ছ মানুষ সারা দুনিয়া জানে।”
লেঃ জেঃ মাহবুবুর রহমান এ নিয়ে বিব্রত হলেও যুবদলের কেন্দ্রীয় সদস্য অ্যাডভোকেট রইস উদ্দিন আছেন আতঙ্কে। কথা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমি ফোন ব্যবহার বন্ধ করে দেয়ার চিন্তা করছি। তবে রইস উদ্দিন ঢাকাটাইমসের কাছে বিএনপির ওই শীর্ষ নেতার সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা বলার কথা অস্বীকার করেননি।
তবে তিনি দাবি করেছেন- বিভিন্ন সময়ের কথা একত্র করে এটা প্রকাশ করা হয়েছে। জেনারেল মাহবুবের সঙ্গে আমার দীর্ঘদিনের সম্পর্ক। প্রায়ই তার সঙ্গে কথা হয়।যা হয়েছে এটা ষড়যন্ত্র।
যদিও বিএনপি নেতাদের ফোনালাপ ফাঁস হওয়ার ঘটনা এই প্রথম নয়। এরআগে দলের সাদেক হোসেন খোকা-মাহমুদুর রহমান মান্না, জনৈক বিএনপি কর্মীর সঙ্গে নজরুল ইসলাম খান, ছাত্রদল নেতার সঙ্গে মওদুদ আহমদের ফোনালাপ ফাঁসের ঘটনা ঘটে।
প্রথমে বিষয়গুলোকে পাত্তা না দিলেও পরে সত্যতা মেলায় বিপাকে পড়ে বিএনপি। বেকায়দায় পড়েন আলাপকারীরা।
ধারণা করা হচ্ছে মাহবুবুর রহমান ও রইস উদ্দিনের ফোনালাপটি ধারণ করা গত সপ্তাহে। এই কথোপকথনটি বাংলা লিকস নামে একটি ইউটিউব চ্যানেল প্রকাশ করে।
বাংলালিকসে পাওয়া অডিওটি বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য লেঃ জেঃ (অবঃ) মাহবুব এবং যুবদল নেতা রইস উদ্দিনের ফাঁস হওয়া ফোনালাপটি হুবহু তূলে ধরা হল।
মাহবুব: হ্যালো রইস
রইস: হ্যালো আসসালামু আলাইকুম স্যার, কেমন আছেন স্যার?
মাহবুব: বলতো কেমন আছি?
রইস: গরমের মধ্যে কেমন থাকবেন স্যার। যে গরম পড়ছে..

মাহবুব: হ্যাঁ এইটা ভালো কথা বলছ।

রইস: আর আমাদের রাজনীতি যে ঠাণ্ডা হয়ে গেছে আর কেমনে ভালো থাকবেন।
মাহবুব: রাজনীতি ঠাণ্ডা, প্রকৃতি গরম।
রইস: আমাদের এখানে মোদি আসতেছে, হাসিনাকে মোদি, কালকে যে সূর শুনলাম হাসান মাহমুদ, সুরঞ্জিত বলছে বিএনপির সাথে দেখা হবে না মোদির মনে হয়। মোদির সঙ্গে দেখা হবে কি স্যার?
মাহবুব: আমি তোমাকে বলি আজকে বাংলাদেশ প্রতিদিনের খবর পড়বা। সাউথ ব্লক মানে হচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর অফিস, আর সেনাবাহিনীর অফিস, নৌবাহিনীর অফিস, বিমান বাহিনীর অফিস। ওটা হচ্ছে ক্যাবিনেট অফিস। ওখানে খবর হচ্ছে যে, বাংলাদেশ ভারতবর্ষ তাদের পাঁচ হাজার বছরের ইতিহাসে এই রকম অপমান কেউ পায় নাই।
রইস: ওই যে প্রণব মুখার্জির সাথে দেখা না করা ওইটা?

মাহবুব: হ্যাঁ, প্রণব মুখার্জি কোন ব্যক্তি ছিলেন না। উনি ছিলেন ১২০ কোটি মানুষের প্রতিনিধি এবং তাদের পতাকা বহন করে তিনি এখানে আসেন। তাকে যেভাবে অপমানিত করা হয়েছে এবং ভারতের ইতিহাসে এ রকম অপমানিত কখনো কেউ হয় নাই। কারণ এতে ভারতের জনগণকে অপমান করা হয়েছে। তাদের গণতন্ত্রকে অপমান করা হয়েছে। আরো বলছি, উনিতো প্রধানমন্ত্রী ছিলেন না। তবুও আমরা তাকে প্রধানমন্ত্রীর চেয়েও বেশি সম্মান দিয়েছিলাম।উনি সম্মানের মূল্য এভাবে দিলেন তার দেশে, উনি বলছিলেন আমার সাথে দেখা করবেন।

রইস: না না খালেদা জিয়া যখন ভারতে গেছে তখন তাকে লাল কার্ড দিয়ে সংবর্ধনা দিছে। চীনে দিছে।
মাহবুব: কাগজ পড় না। কাগজ পড়।
রইস: পড়বো স্যার। আমি যেখানে আছি…
মাহবুব: তোমার কথা কি মোদি দেখা করতেছে না রে…

রইস: নাহ, মোদি করবে না তো

মাহবুব: এখানে ব্যাপার-স্যাপার কিছু হচ্ছে। নাহ মোদি নিজে বলছে। আরে প্রধানমন্ত্রী, আমাদের তো রাষ্ট্রপতি আছে। রাষ্ট্রপতি কে তো সে দরজাই খুলল না।

রইস: এর আগে প্রণব মুখার্জি যখন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ছিল তখন খালেদার বাড়িতে গিয়ে দেখা করে গেছে।
মাহবুব: হ্যাঁ,
রইস: তখন তো এটা করলো না। খালেদা জিয়ার একরোখামীটা ভুল হইছে স্যার। উনি বলে হরতালের মধ্যে আমি যাবো না। সে সময় হরতালটা শিথিল করলে কি হত? দুই নাম্বার কথা খালেদা জিয়াকে হাসিনা যখন টেলিফোন করছিলো ওই দিন উনি হরতালটা উইথড্র করে ভবনে গিলে বলে আসতো, হয় আপনি পদত্যাগ করুন না হয় এই এই ফর্মুলায় আপনি নির্বাচন করুন। খালেদা জিয়ার কথা হল জনগণ আমাদের সঙ্গে আছে আমরা তাদের টেনে হিঁচড়ে নামাবো। আরে বোকার দল, জনগণের বুকের রক্ত দিয়ে লাভ কি? জনগণ বুঝে জায়গা মত গিয়ে আমাগো ভুলে জাস।
মাহবুব: ঠিক, ঠিক, ঠিক
রইস: তোরা তো চোর বাটপারকে ভালো করে চিনিস, ভালো লোকদের তো তোরা চিনিস না।
মাহবুব: তোমাদের বিপদ আছে…
রইস: আমি আপনাকে যেটা বলতেছি খালেদা জিয়া ২০১৯ সালেও ক্ষমতায় আসতে পারবে না।
মাহবুব: না ১৯ সালেও এরা ক্ষমতা দিবে না।
রইস: ক্ষমতা দিবে না। ১৯ সালে যে কাজটা করবে, ভারতের ছত্র-ছায়ায় আমাদেরকে, আমরা যদিও ২০১৯ সালে অংশগ্রহণ করি আসনের বদলা মারে কাটে, মানে দল ওই যে করে নিয়ে ওরা ক্ষমতায় চলে যাবে। এখানে আপনাকে বলি বিএনপি ক্ষমতায় আসার কোন সম্ভাবনা নেই।
মাহবুব: নাই, নাই
রইস: যদি আল্লাহ…যদি সেনাবাহিনী দিয়ে আবার কোন বিদ্রোহ ঘোষণা করে…
মাহবুব: নাহ সেনাবাহিনীর ওরা করবে না।
রইস: যদি কোন দিন বিদ্রোহ করে…
মাহবুব: সেনাবাহিনীর কথা বলবি না। আমি সেনাবাহিনীর রেশন খাই, সেনাবাহিনীর পেনশন খাই, সেনাবাহিনীর দয়ায় বেঁচে আছি। সেনাবাহিনী সম্বন্ধে কোন প্রশ্নের উত্তর দিবো না।
রইস: তাইলে তো আমাদের আর কোন গতি নাই।
মাহবুব: সেনাবাহিনী বিদ্রোহ করে তোমাদের হাতে ক্ষমতা দেয়া তাদের কাজ না। অতীতে অনেক ভুল করছে আর করবে না।
রইস: তাহলে খালেদা জিয়াকে ওই কথাগুলো বলে আসতে হবে, আমি গেলে আমার জীবন দিয়ে এসব করবো। খালেদা জিয়াকে দিয়ে আর হবে না, কারণ সে যে পর্যায়ে এখন চলে গেছে তা আর হবে না। অনেকেই তো বলে খালেদা জিয়া নাকি বলছে আমরা কারো না। খালেদা জিয়া বললেও এখন আর হবে না। ওইটা হয়তো স্বার্থবাজীর মতো কথাবার্তা। নেতৃত্বের মধ্যে গণতন্ত্র না আনলে হবে না। নেতাদের মধ্যে এই যে আপনাদের খালেদা জিয়ার কোন মিটিং নাই, মোদীর সঙ্গে দেখা না হলে স্যার আমরা পিছাইয়া যাবো স্যার। মোদীর সঙ্গে ভারত আমাদের যেভাবে দিছিলো, খালেদা জিয়া ওই চীন সফর করে আসলো তারপরে…
মাহবুব: চীন যে সফর করাইয়া দিয়ে গেলাম সে মূল্যই তো দিলো না আমাকে বাদ দিয়ে দিলো রে।
রইস: না ওই জন্যই তো খালেদা জিয়ার এই অবস্থা।
মাহবুব: আমাকে তো রাখল না রে…
রইস: খালেদা জিয়ার এনালাইসিসটা ভুল। আপনে চীন সফর, ভারত সফর করে আসলেন। উনি এতো কিছু পাওয়ার পরেও উনি মনে করলো যে আমি আরো পাইতে চাই। এখন তোকে কিছুই দিবে না।
মাহবুব: আর কি পাইতে চায় আমি তো বুঝলাম না। সেইখানে ওরা বলছে তুমি আমাদের বুকে ছুরি মারছো। এই অবস্থা থেকে তাকে আমি চীনে নিয়ে গেলাম। তাকে বাড়ি ছাড়া করলো, একক ভাবে আমি চীনে নিয়ে গেলাম আর কেউ সাহস পায় নাই তখন। তারপর কি হল ফিরে আসার পর আমি নাই।
রইস: বিএনপি মনে করে আমাদের ধরে এনে ক্ষমতায় বসিয়ে দিবে।
মাহবুব: আমি কি ঠিক আছি?
রইস: না না আপনি ঠিকই আছেন।
মাহবুব: তোমাদের যদি কেউ উপকার করে সেটা হচ্ছে বাংলাদেশি মানুষ অথবা বিশ্ব পরিমণ্ডলে যতোগুলো লোক, তোমরা হচ্ছো সব চেয়ে হারামি।
রইস: বিশ্ব পরিমণ্ডলে আর হচ্ছে না। আমার মনে হয় বাংলাদেশের মানুষও চুপচাপ হয়ে যাবে। আমাদের অবস্থা এখন খুব খারাপ।
মাহবুব: আমার মনে হয় তোমরা যে আঘাতটা দিছো এটাও তো কাবার ঘরে লাগছেরে ভাই।
রইস: আঘাত তো অনেকেই খাইছে স্যার।
মাহবুব: তুমি আবার প্রধানমন্ত্রী হইতে চাও। প্রধানমন্ত্রী হয়ে আবার আঘাত দিবে এটাতো আল্লাহ সহ্য করবেন না। আমার মনে এতো আঘাত আমি সহ্য করবো না।
রইস: ভালো মানুষকে খালেদা জিয়া চিনতেই চায় না। ওইখানে তেল বাজী, তেল পার্টি।
মাহবুব: হুম
রইস: শিমুল বিশ্বাস, গয়েশ্বর, মির্জা আব্বাস এদেরকে চিনলেই হবে। চিনুক!
মাহবুব: তোমরা আমাকে কি অপমানটা না করলে ভুলে যাবো? ভুলা যায় না।
রইস: কাজী সিরাজ কি বলছে শুনছেন…
মাহবুব: তুমি ওই কলামটা বাংলাদেশের সবার ঘরে ঘরে দিয়ে আসো যাও।
রইস: খন্দকার দেলোয়ারের মনেও অনেক দুঃখ ছিল খালেদা জিয়ার প্রতি। আমাকে সব বলেছে। যাক শেষ টাইমে আমাকে মহাসচিব করে গেছে আমি তার সাথে বেঈমানি করবো না।
মাহবুব: আমিও কিন্তু করিনি।
রইস: জিয়াউর রহমানের মাজারে যায় নাই বলে তাকে টেনে হিঁচড়ে নামালো।
মাহবুব: সংবিধানে কোথাও বলা আছে নাকি জিয়াউর রহমানের মাজার জিয়ারত করতে হবে? তারওতো একটি ব্যক্তি স্বাধীনতা আছে। এভাবে করতে হলে সংবিধানে সংযোজন করে নাও।
রইস: একটা প্রেসিডেন্টের সঙ্গে প্রোটোকল দিয়ে পাওয়ার পরে খালেদা জিয়া মনে করে আমি নেত্রী। তুমি এখন পদে নাই। কোন কিছু নাই, শুনেন স্যার…
মাহবুব: জামাত হরতাল ডাকছে আমি ছেপে যাবো, আরে জামাত হরতাল ডাকছে, ওটা কিসের হরতাল ছিল, তুমি ২০ দলের নেতা তুমি বলতা এই সময় থেকে এই সময় তোমরা হরতাল করো না। তাহলে তো হয়ে যায়।
রইস: হরতাল ওই শিথিল করলে কিইবা হতো? উনি যে বলে আমি হরতালে যেতে পারবো না এটা কোন কথা হল?
মাহবুব: সেজন্যই জামাত ছাড়তে পারে না। জামাতে থাইকা উনি বুঝলেন, জামাত ছাড়তে চায় না আমি কি করবো। তোমরা ওইটা রক্ষা করতে পারবা না। জামায়াত সম্পর্কে তোমরা জানো না।
রইস: তো জামায়াতেই ডুবাইলো খালেদা জিয়াকে এবার।
মাহবুব: নিজে নিজে ডুবে গেলে জামায়াত কি করবে।
রইস: এখন মহাসচিবের জামিনটা স্যার হয়ে যাওয়ার কথা ছিল? স্যার কবে যে হবে স্যার।
মাহবুব: হবে, হবে
রইস: এতোদিন হয়ে যেত, এখন কেন জানি মনটা খারাপ লাগছে স্যার।
মাহবুব: তুমি কি মহাসচিবের সাথে দেখা করো?
রইস: হ্যাঁ, করি যখন কোর্টে আসে তখন।
মাহবুব: কথা হয়?
রইস: আমি ওইদিন নর্থ বেঙ্গলে ছিলাম…
মাহবুব: আমার কথা শুনো, ও যদি আগের মতন করে চলে জীবনেও জামিন হবে না। আমি বললাম লিখে নাও লিখে নাও…
বিএনপি নেতা রইস: না, আগের মতো চললে জামিন হবে না।
মাহবুব: না না না, ও যদি আগের মতোন করে চলে, আমি বলতেছি, আমি তো এসব জানি বলেই বলতেছি, দ্বায় দায়িত্ব আমার, জীবনেও জামিন হবে না।

বিএনপি নেতা রইস: হ্যাঁ!

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর