হাওর বার্তা ডেস্কঃ নরসিংদীর পলাশে গড়ে উঠছে দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম বৃহৎ পরিবেশবান্ধব ইউরিয়া সার কারখানা। প্রকল্পটির ৯৫ ভাগ কাজ বাস্তবায়ন হয়েছে। এ কারখানায় দৈনিক গড়ে ২ হাজার ৮শ’ এবং বছরে ৯ লাখ ২৪ হাজার মেট্রিকটন ইউরিয়া উৎপাদন হবে। অক্টোবরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রকল্পটি উদ্বোধনের কথা রয়েছে।
১৯৭০ সালে বার্ষিক ৩ লাখ ৪০ হাজার এবং ১৯৮৫ সালে ৯৫ হাজার মেট্রিকটন উৎপাদন ক্ষমতার ঘোড়াশাল ও পলাশ ইউরিয়া সার কারখানা স্থাপিত হয়। সময়ের সাথে উৎপাদন ক্ষমতা হ্রাস এবং ডাউন টাইম অস্বাভাবিক বেড়ে যাওয়ায় ২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এখানে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন, পরিবেশবান্ধব এবং আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর সার কারখানা নির্মাণের নির্দেশনা দেন।
ইউরিয়ার চাহিদা বিবেচনায় ভর্তুকি দিয়ে আমদানি করে কৃষকের কাছে ন্যায্যমূল্যে পৌঁছানোর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সরকার ২০১৮ সালের ২৪ অক্টোবর কারখানা নির্মাণের উদ্যোগ নেয়। গ্যাস সংকট না থাকলে আগামী মাসেই উৎপাদনে যাওয়ার প্রত্যাশা করছে কর্তৃপক্ষ।
ঘোড়াশাল-পলাশ ফার্টিলাইজার প্রজেক্টের ডিরেক্টর রাজিউর রহমান মল্লিক বলেন, “যেহেতু আমরা কোভিডের মধ্যে কাজ করতে পেরেছি সেহেতু নির্ধারিত সময়ের তিন মাস আগে অক্টোবরের শেষ দিকে সার উৎপাদন করতে পারবো।”
বিসিআইসি বলছে, এ কারখানা কৃষি খাতের মোট চাহিদার এক তৃতীয়াংশ মেটাতে সক্ষম। এটি চালু হলে দেশের অন্য কারখানায় চাপ কমার পাশাপাশি কমবে আমদানি-নির্ভরতা।
বিসিআইসি চেয়ারম্যান (গ্রেড-১) সাইদুর রহমান বলেন, “সারের কোনো ঘাটতি হবেনা। সার উৎপাদনে আমরা স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করতে পারবো। সেটাই বর্তমান সরকারের মূখ্য উদ্দেশ্য।”
নির্ধারিত সময়ের আগেই জাপানী প্রতিষ্ঠান এমএইচআই’র কাছ থেকে কাজ বুঝে নিচ্ছে কর্তৃপক্ষ।
শিল্পমন্ত্রী অ্যাডভোকেট নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন বলেন, “সময়ের আগেই কাজ হয়েছে। এখন আমরা উৎপাদনে যাব। আমাদের প্রয়োজন ৩০ লাখ টন কিন্তু সব মিলিয়ে ২০-২৫ লাখ টন হয়ে যাবে হয়তো ৫ লাখ টন আনতে হতে পারে। আমরা স্বয়ংসম্পূর্ণ”
দেশে কম-বেশি ৩০ লাখ মেট্রিকটন ইউরিয়া সারের চাহিদা রয়েছে।