ঢাকা ০৯:১৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ৭ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মদনে চেতনা নাশক খাওয়ানোর ঘটনাকে কেন্দ্র করে সৃষ্টি হয়েছে ধুম্রজাল

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৩:২৭:২৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩
  • ২৪১ বার

মদন (নেত্রকোণা) প্রতিনিধিঃ নেত্রকোণার মদন উপজেলার মাঘান গ্রামে চেতনা নাশক ঔষধ খাওয়ানোর ঘটনাকে কেন্দ্র করে সৃষ্টি হয়েছে ধুম্রজাল। ভোক্তভোগী দাবিদার গোলাপ মিয়া ও তার মেয়ে শিমু আক্তারের বিভিন্ন সময়ে দেয়া বক্তব্যে ভিন্নতা পাওয়া গেছে।

সরজমিনে গেলে স্থানীয়রা জানায়, গোলাপের সাথে কাকনের পূর্ব থেকেই দহরম-মহরম সম্পর্ক। কিন্তু হঠাৎ করে কেনো তাদের মধ্যে ঝামেলা ঘটলো সেটাই রহস্য! সিরাজ মিয়ার ছেলে আব্দুল গণির গ্রুপের সাথে আহাদুলের ঝলমহল নিয়ে ঝামেলা চলছে। আব্দুল গণির গ্রুপের লোকজন গোলাপকে সার্বিক ভাবে সহযোগিতা করছে।

এদিকে গোলাপ ও তার মেয়ে প্রথমে গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে একরকম বক্তব্য দিয়েছে। পরে সন্ধ্যায় ভিন্নরকম বক্তব্য দিয়েছে। এতে প্রমাণিত হয় যে, ঘটনাকে ভিন্ন দিকে নিতে, গোলাপ ও তার পরিবারকে পেছন থেকে একটা গ্রুপ সহযোগিতা করছে।

তৌফিক মিয়া জানায়, গোলাপ মিয়ার পিতা কুতুব উদ্দিনকে সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১ টা পর্যন্ত সুস্থ দেখেছি। পরে শুনলাম উনি অসুস্থ হয়ে মদন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। রোববার রাতে কে বা কারা রাতের আঁধারে খাবারের সাথে উনাকে নাকি চেতনা নাশক ঔষধ খাইয়ে দিয়েছে। অথচ তিনি জামাতের সহিত ফজরের নামাজ পড়েছেন।

মসজিদের ইমাম (আলী আজগর) সাহেব জানান, আমার মসজিদের মোয়াজ্জেম কুতুব উদ্দিন সোমবার ফজরের নামাজ প্রথম কাতারে জামাতের সহিত ঠিক আমার পেছনেই আদায় করেছেন।

গোলাপ মিয়ার প্রতিবেশী জিন্নাত আলীর ছেলে দীন ইসলাম জানান, সকালে গোলাপের স্ত্রী হালকা অসুস্থ এ কথা তারা বলতেছিলো। আর ঘরের বাকী সবাইকে সুস্থ দেখেছি। এখন শুনতেছি সবাই নাকি অসুস্থ।

জুয়েল খন্দকার জানান, চেতনা নাশকের ঘটনা সম্পূর্ণ সাজানো। আহাদুলের সাথে জলমহল নিয়ে একটা পক্ষের ঝামেলা চলছে। মুলত এর জন্যই নাটক। নাটকের অর্থ যোগানদাতা কাতলা গ্রামের জামাল পাশা।

এ বিষয়ে কাকন মিয়া জানায়, আমি গোলাপের কাছে ১৫ হাজার টাকা পাই। সেই টাকা আনতে রোববার সন্ধ্যায় তার বাড়ি গিয়েছিলাম। গোলাপকে বাড়ি না পেয়ে চলে আসি। কিন্তু এখন যা শুনছি তা সম্পূর্ন বানোয়াট ও মিথ্যা।

মদন থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ তাওহীদুর রহমান জানান, এখনো আমি কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। তবে, অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

মদনে চেতনা নাশক খাওয়ানোর ঘটনাকে কেন্দ্র করে সৃষ্টি হয়েছে ধুম্রজাল

আপডেট টাইম : ০৩:২৭:২৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩

মদন (নেত্রকোণা) প্রতিনিধিঃ নেত্রকোণার মদন উপজেলার মাঘান গ্রামে চেতনা নাশক ঔষধ খাওয়ানোর ঘটনাকে কেন্দ্র করে সৃষ্টি হয়েছে ধুম্রজাল। ভোক্তভোগী দাবিদার গোলাপ মিয়া ও তার মেয়ে শিমু আক্তারের বিভিন্ন সময়ে দেয়া বক্তব্যে ভিন্নতা পাওয়া গেছে।

সরজমিনে গেলে স্থানীয়রা জানায়, গোলাপের সাথে কাকনের পূর্ব থেকেই দহরম-মহরম সম্পর্ক। কিন্তু হঠাৎ করে কেনো তাদের মধ্যে ঝামেলা ঘটলো সেটাই রহস্য! সিরাজ মিয়ার ছেলে আব্দুল গণির গ্রুপের সাথে আহাদুলের ঝলমহল নিয়ে ঝামেলা চলছে। আব্দুল গণির গ্রুপের লোকজন গোলাপকে সার্বিক ভাবে সহযোগিতা করছে।

এদিকে গোলাপ ও তার মেয়ে প্রথমে গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে একরকম বক্তব্য দিয়েছে। পরে সন্ধ্যায় ভিন্নরকম বক্তব্য দিয়েছে। এতে প্রমাণিত হয় যে, ঘটনাকে ভিন্ন দিকে নিতে, গোলাপ ও তার পরিবারকে পেছন থেকে একটা গ্রুপ সহযোগিতা করছে।

তৌফিক মিয়া জানায়, গোলাপ মিয়ার পিতা কুতুব উদ্দিনকে সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১ টা পর্যন্ত সুস্থ দেখেছি। পরে শুনলাম উনি অসুস্থ হয়ে মদন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। রোববার রাতে কে বা কারা রাতের আঁধারে খাবারের সাথে উনাকে নাকি চেতনা নাশক ঔষধ খাইয়ে দিয়েছে। অথচ তিনি জামাতের সহিত ফজরের নামাজ পড়েছেন।

মসজিদের ইমাম (আলী আজগর) সাহেব জানান, আমার মসজিদের মোয়াজ্জেম কুতুব উদ্দিন সোমবার ফজরের নামাজ প্রথম কাতারে জামাতের সহিত ঠিক আমার পেছনেই আদায় করেছেন।

গোলাপ মিয়ার প্রতিবেশী জিন্নাত আলীর ছেলে দীন ইসলাম জানান, সকালে গোলাপের স্ত্রী হালকা অসুস্থ এ কথা তারা বলতেছিলো। আর ঘরের বাকী সবাইকে সুস্থ দেখেছি। এখন শুনতেছি সবাই নাকি অসুস্থ।

জুয়েল খন্দকার জানান, চেতনা নাশকের ঘটনা সম্পূর্ণ সাজানো। আহাদুলের সাথে জলমহল নিয়ে একটা পক্ষের ঝামেলা চলছে। মুলত এর জন্যই নাটক। নাটকের অর্থ যোগানদাতা কাতলা গ্রামের জামাল পাশা।

এ বিষয়ে কাকন মিয়া জানায়, আমি গোলাপের কাছে ১৫ হাজার টাকা পাই। সেই টাকা আনতে রোববার সন্ধ্যায় তার বাড়ি গিয়েছিলাম। গোলাপকে বাড়ি না পেয়ে চলে আসি। কিন্তু এখন যা শুনছি তা সম্পূর্ন বানোয়াট ও মিথ্যা।

মদন থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ তাওহীদুর রহমান জানান, এখনো আমি কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। তবে, অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।