হাওর বার্তা ডেস্কঃ সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় জেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। ফলে বেড়েছে বানভাসি মানুষের দুর্ভোগ। এদিকে পানি বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে জেলার বিভিন্ন স্থানে শুরু হয়েছে তীব্র নদী ভাঙ্গন।
শনিবার (২ সেপ্টেম্বর) সকালে সরেজমিনে এই দৃশ্য দেখা যায়।
জানা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ৮ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে শনিবার সকালে শহর রক্ষা বাধ পয়েন্টে বিপৎসীমার ১৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে যমুনা নদীর পানি। নদীটির পানি কাজিপুর মেঘাই ঘাট পয়েন্টেও বিপৎসীমার ওপর দিয়ে বইছে।
ইতিমধ্যেই বন্যা কবলিত হয়ে পড়েছে জেলার পাচটি উপজেলার ৪২টি ইউনিয়ন। এ সকল এলাকার বসতবাড়ি, হাট, বাজার, রাস্তা-ঘাট, শিক্ষা ও ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন অন্তত ১০ হাজার বানভাসি পরিবার। বন্যার পানিতে তলিয়ে রয়েছে প্রায় ২০৩ হেক্টর জমির আখ, আউশ ও আমন ধান, শাকসবজিসহ বিভিন্ন ধরনের ফসল।
এদিকে পানি বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে জেলার কাজিপুর, চৌহালী ও শাহজাদপুর উপজেলার বিস্তির্ন চরাঞ্চলসহ নদী তিরবর্তি এলাকাগুলোতে শুরু হয়েছে তীব্র নদী ভাঙ্গন। ভাঙ্গনের কবলে পড়া গ্রামগুলির বসতিরা ঘড়-বাড়ি ভেঙ্গে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিচ্ছে। ভাঙ্গনের হুমকিতে রয়েছে ঘড়, বাড়ি, হাট-বাজার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ সরকারি-বেসরকারি বহু স্থাপনা।
সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী রণজিৎ কুমার সরকার বলেন, ভারতের আসামে প্রচুর বৃষ্টিপাতের কারণে যমুনা নদীতে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। আগামী আরও দু-এক দিন পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকবে। তবে কোনো বড় ধরনের বন্যার আশঙ্কা নেই।