ঢাকা ০৯:৪৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৫ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পঁচাত্তরের ১৫ আগস্টের পর তারা নিশ্চুপ ছিলেন: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১০:১৫:০৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩১ অগাস্ট ২০২৩
  • ৯৪ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করা হলো, তখন আমাদের বড় বড় বন্ধু… যারা এখন মানবাধিকারের কথা বলেন; তাদের মুখ থেকে তখন একটি কথাও বের হয়নি।

বুধবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস অ্যাকাডেমিতে ‘১৯৭৫ সালের বর্বরতা : বাংলাদেশের মানবাধিকার ও সুশাসনের ওপর প্রভাব’— শীর্ষক আলোচনা সভা শেষে তিনি এসব কথা বলেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তারা মানবাধিকারের কথা বলেন, কিন্তু ১৫ আগস্টের পর তারা নিশ্চুপ ছিলেন। বরং তখন তারা ঘাতকদের সাহায্য করেছেন। এছাড়া ঘাতকদের বিভিন্ন অজুহাতে এখনো তাদের দেশে আশ্রয় দিয়ে রেখেছেন। আমরা বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিচারের সম্মুখীন করতে চাই। যারা যুদ্ধাপরাধী তাদের অবশ্যই বিচারের সম্মুখীন করতে চাই। বিদেশি বন্ধুদের বলতে চাই, আল্লাহর ওয়াস্তে এ ধরনের ঘাতকদের ফিরিয়ে দিতে উদ্যোগ নিন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার কারণে বাংলাদেশের গণতন্ত্র টেকসই হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, শেখ হাসিনা আসার পর দেশে নির্বাচন হচ্ছে। শেখ হাসিনা মানবাধিকারের জন্য কাজ করছেন। বিদেশি বন্ধুদের নিশ্চয়তা দিতে চাই, প্রধানমন্ত্রী আছেন বলে মানবাধিকার ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত হচ্ছে। যতদিন শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগ আছে, আমরা এগুলোকে প্রিন্সিপাল এবং ভ্যালুস হিসেবে রাখব।

মোমেন বলেন, অন্যদের সময় দেখেছেন যে, সন্ত্রাসী ইতিহাস, জঙ্গি ইতিহাস, বাংলা ভাইয়ের ইতিহাস, পরপর পাঁচবার এক নম্বর দুর্নীতিপরায়ণ দেশের ইতিহাস। আমরা হত্যার রাজনীতিতে বিশ্বাস করি না। আমরা একুশে আগস্টের গ্রেনেড হামলায় যেতে চাই না, আমরা সিরিজ কিলিংয়ে যেতে চাই না। আমরা হত্যার রাজনীতিতে বিশ্বাস করি না।

এর আগে, আলোচনা সভায় আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, আগামী জাতীয় নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে।  আর সেই নির্বাচনে এদেশের জনগণ শেখ হাসিনাকেই বেছে নেবে। শেখ হাসিনার বর্তমান সরকার গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় বিশ্বাসী। সে অনুযায়ী আগামী জাতীয় নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে।

পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর দায় মুক্তির সংস্কৃতি তৈরি করা হয়েছিল। তবে ১৯৯৬ সালে প্রথম দফায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার পর দায় মুক্তির সংস্কৃতির অবসান ঘটিয়েছেন।

আলোচনা সভায় মানবাধিকার কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান, সংরক্ষিত সংসদ সদস্য নাহিন ইজহার খান ও পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন বক্তব্য রাখেন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

পঁচাত্তরের ১৫ আগস্টের পর তারা নিশ্চুপ ছিলেন: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

আপডেট টাইম : ১০:১৫:০৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩১ অগাস্ট ২০২৩

হাওর বার্তা ডেস্কঃ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করা হলো, তখন আমাদের বড় বড় বন্ধু… যারা এখন মানবাধিকারের কথা বলেন; তাদের মুখ থেকে তখন একটি কথাও বের হয়নি।

বুধবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস অ্যাকাডেমিতে ‘১৯৭৫ সালের বর্বরতা : বাংলাদেশের মানবাধিকার ও সুশাসনের ওপর প্রভাব’— শীর্ষক আলোচনা সভা শেষে তিনি এসব কথা বলেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তারা মানবাধিকারের কথা বলেন, কিন্তু ১৫ আগস্টের পর তারা নিশ্চুপ ছিলেন। বরং তখন তারা ঘাতকদের সাহায্য করেছেন। এছাড়া ঘাতকদের বিভিন্ন অজুহাতে এখনো তাদের দেশে আশ্রয় দিয়ে রেখেছেন। আমরা বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিচারের সম্মুখীন করতে চাই। যারা যুদ্ধাপরাধী তাদের অবশ্যই বিচারের সম্মুখীন করতে চাই। বিদেশি বন্ধুদের বলতে চাই, আল্লাহর ওয়াস্তে এ ধরনের ঘাতকদের ফিরিয়ে দিতে উদ্যোগ নিন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার কারণে বাংলাদেশের গণতন্ত্র টেকসই হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, শেখ হাসিনা আসার পর দেশে নির্বাচন হচ্ছে। শেখ হাসিনা মানবাধিকারের জন্য কাজ করছেন। বিদেশি বন্ধুদের নিশ্চয়তা দিতে চাই, প্রধানমন্ত্রী আছেন বলে মানবাধিকার ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত হচ্ছে। যতদিন শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগ আছে, আমরা এগুলোকে প্রিন্সিপাল এবং ভ্যালুস হিসেবে রাখব।

মোমেন বলেন, অন্যদের সময় দেখেছেন যে, সন্ত্রাসী ইতিহাস, জঙ্গি ইতিহাস, বাংলা ভাইয়ের ইতিহাস, পরপর পাঁচবার এক নম্বর দুর্নীতিপরায়ণ দেশের ইতিহাস। আমরা হত্যার রাজনীতিতে বিশ্বাস করি না। আমরা একুশে আগস্টের গ্রেনেড হামলায় যেতে চাই না, আমরা সিরিজ কিলিংয়ে যেতে চাই না। আমরা হত্যার রাজনীতিতে বিশ্বাস করি না।

এর আগে, আলোচনা সভায় আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, আগামী জাতীয় নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে।  আর সেই নির্বাচনে এদেশের জনগণ শেখ হাসিনাকেই বেছে নেবে। শেখ হাসিনার বর্তমান সরকার গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় বিশ্বাসী। সে অনুযায়ী আগামী জাতীয় নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে।

পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর দায় মুক্তির সংস্কৃতি তৈরি করা হয়েছিল। তবে ১৯৯৬ সালে প্রথম দফায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার পর দায় মুক্তির সংস্কৃতির অবসান ঘটিয়েছেন।

আলোচনা সভায় মানবাধিকার কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান, সংরক্ষিত সংসদ সদস্য নাহিন ইজহার খান ও পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন বক্তব্য রাখেন।