ঢাকা ০২:০৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

অবৈধ বিদেশী সিগারেটের চালান অবাধে ঢুকছে দেশে

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১০:২০:২৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২ অগাস্ট ২০২৩
  • ১০০ বার

অবৈধ বিদেশী সিগারেটের চালান অবাধে দেশে ঢুকছে। কতিপয় প্রবাসী ও অসাধু আমদানিকারকের মাধ্যমে অবৈধ বিদেশী সিগারেট আসছে এবং পাইকারি বাজারে অবাধে বিক্রি হচ্ছে। বিশাল সিন্ডিকেট প্রশাসন এবং পুলিশের নাকের ডগায় প্রতিদিন কোটি কোটি টাকার অবৈধ বিদেশী সিগারেটের বিকিকিনি চালিয়ে যাচ্ছে। আর তাতে কোটি  কোটি টাকার রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার। তাছাড়া কোনো বাধা ছাড়াই সারাদেশে ওসব সিগারেট পৌঁছে যাচ্ছে। মূলত বিমান বন্দর- চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দর দিয়ে মিথ্যা ঘোষণায় বিদেশী সিগারেট নিয়ে আসছে অসাধু আমদানিকারকরা। বাজার সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়। সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, কাস্টমস কর্তৃপক্ষের অবহেলার কারণে অবৈধভাবে বিদেশী সিগারেটের চালান দেশে অবাধে ঢুকছে। বেশিরভাগ ব্যবসায়ীই মিথ্যা ঘোষণায় সিগারেট আনছেন। এর নেপথ্যে রয়েছে কোটি টাকার মুনাফা। ইে মুনাফা বিভিন্ন ক্ষেত্রে ভাগবাঁটোয়ারা করেই সিন্ডিকেট আমদানি নীতিকে এড়িয়ে একের পর এক চালান আনছে। মাঝেমধ্যে কাস্টমস কিছু সিগারেটের চালান জব্দ করলেও তা সামান্য। বর্তমানে চিকন শলাকার কম নিকোটিনের বিভিন্ন সুগন্ধিযুক্ত সিগারেটের কদর বেড়েছে। আর চিহ্নিত কিছু আমদানিকারক ওই সুযোগ কাজে লাগচ্ছে।
সূত্র জানায়, অসাধু আমদানিকারকদের মিথ্যা ঘোষণায় আনা বিদেশী সিগারেট চট্টগ্রামের রিয়াজ উদ্দিন বাজার ও খাতুনগঞ্জ হয়ে দেশের উত্তর ও দক্ষিণের জেলা শহরগুলোতে যাচ্ছে। রিয়াজ উদ্দিন বাজারকে অবৈধ বিদেশী সিগারেটের সবচেয়ে বড় আড়ত বলা হয়। সেখানে ডিও ব্যবসার মতো পুরাটাই ডিল হয়। অর্ডার নিয়ে যায় নির্দিষ্ট কিছু লোক। সেই অনুযায়ী সিগারেট হাতে পায় পাইকারি সিগারেটের দোকানিরা। রিয়াজ উদ্দিন বাজারের অর্ধশতাধিক দোকানে রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে আসা বিদেশী সিগারেট বিক্রি চলছে প্রকাশ্যে। আর জেলা ও উপজেলা শহরের বিভিন্ন ব্যবসায়ী ছাড়াও অন্যান্য জেলায় ওসব সিগারেট ক্যুরিয়ারের মাধ্যমে পাঠানো হচ্ছে। সূত্র আরো জানায়, বর্তমানে দেশে ধূমপায়ীর সংখ্যা বেড়েছে। অনেকে কম নিকোটিনের সিগারেট পছন্দ করে। তাই তাদের চাহিদা বিবেচনায় বিদেশী সিগারেটের কদর বেড়েছে। তবে যেভাবে আসছে তা অবৈধ। কাস্টমসের হাতে এর নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতা। তাদের হাত গলেই অবৈধ বিদেশী সিগারেট বাজারে আসছে।  শুল্ক ফাঁকি দিয়ে আসা সিগারেট  খোলা বাজারে বিক্রি করা অপরাধ। কিন্তু অবৈধভাবে বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে আকাশপথে ও সমুদ্রপথে আসা ওসব সিগারেট  কেনাবেচার সুনির্দিষ্ট  লোক রয়েছে। তারাই নির্দিষ্ট দোকানগুলোতে ওসব সিগারেট দিয়ে যায়। সমুদ্র বন্দর দিয়েই সবচেয়ে বেশি বিদেশী সিগারেট আনছে চট্টগ্রামের বেশ কয়েক প্রসাধনী ও খাদ্যপণ্যের আমদানিকারক। বিশাল সিন্ডিকেটে দায়িত্বশীল বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী জড়িত রয়েছে। চালান খালাস থেকে বাজারে বিক্রি পর্যন্ত এই কারবারে তারা প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবেই সহযোগিতা করে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

অবৈধ বিদেশী সিগারেটের চালান অবাধে ঢুকছে দেশে

আপডেট টাইম : ১০:২০:২৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২ অগাস্ট ২০২৩

অবৈধ বিদেশী সিগারেটের চালান অবাধে দেশে ঢুকছে। কতিপয় প্রবাসী ও অসাধু আমদানিকারকের মাধ্যমে অবৈধ বিদেশী সিগারেট আসছে এবং পাইকারি বাজারে অবাধে বিক্রি হচ্ছে। বিশাল সিন্ডিকেট প্রশাসন এবং পুলিশের নাকের ডগায় প্রতিদিন কোটি কোটি টাকার অবৈধ বিদেশী সিগারেটের বিকিকিনি চালিয়ে যাচ্ছে। আর তাতে কোটি  কোটি টাকার রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার। তাছাড়া কোনো বাধা ছাড়াই সারাদেশে ওসব সিগারেট পৌঁছে যাচ্ছে। মূলত বিমান বন্দর- চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দর দিয়ে মিথ্যা ঘোষণায় বিদেশী সিগারেট নিয়ে আসছে অসাধু আমদানিকারকরা। বাজার সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়। সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, কাস্টমস কর্তৃপক্ষের অবহেলার কারণে অবৈধভাবে বিদেশী সিগারেটের চালান দেশে অবাধে ঢুকছে। বেশিরভাগ ব্যবসায়ীই মিথ্যা ঘোষণায় সিগারেট আনছেন। এর নেপথ্যে রয়েছে কোটি টাকার মুনাফা। ইে মুনাফা বিভিন্ন ক্ষেত্রে ভাগবাঁটোয়ারা করেই সিন্ডিকেট আমদানি নীতিকে এড়িয়ে একের পর এক চালান আনছে। মাঝেমধ্যে কাস্টমস কিছু সিগারেটের চালান জব্দ করলেও তা সামান্য। বর্তমানে চিকন শলাকার কম নিকোটিনের বিভিন্ন সুগন্ধিযুক্ত সিগারেটের কদর বেড়েছে। আর চিহ্নিত কিছু আমদানিকারক ওই সুযোগ কাজে লাগচ্ছে।
সূত্র জানায়, অসাধু আমদানিকারকদের মিথ্যা ঘোষণায় আনা বিদেশী সিগারেট চট্টগ্রামের রিয়াজ উদ্দিন বাজার ও খাতুনগঞ্জ হয়ে দেশের উত্তর ও দক্ষিণের জেলা শহরগুলোতে যাচ্ছে। রিয়াজ উদ্দিন বাজারকে অবৈধ বিদেশী সিগারেটের সবচেয়ে বড় আড়ত বলা হয়। সেখানে ডিও ব্যবসার মতো পুরাটাই ডিল হয়। অর্ডার নিয়ে যায় নির্দিষ্ট কিছু লোক। সেই অনুযায়ী সিগারেট হাতে পায় পাইকারি সিগারেটের দোকানিরা। রিয়াজ উদ্দিন বাজারের অর্ধশতাধিক দোকানে রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে আসা বিদেশী সিগারেট বিক্রি চলছে প্রকাশ্যে। আর জেলা ও উপজেলা শহরের বিভিন্ন ব্যবসায়ী ছাড়াও অন্যান্য জেলায় ওসব সিগারেট ক্যুরিয়ারের মাধ্যমে পাঠানো হচ্ছে। সূত্র আরো জানায়, বর্তমানে দেশে ধূমপায়ীর সংখ্যা বেড়েছে। অনেকে কম নিকোটিনের সিগারেট পছন্দ করে। তাই তাদের চাহিদা বিবেচনায় বিদেশী সিগারেটের কদর বেড়েছে। তবে যেভাবে আসছে তা অবৈধ। কাস্টমসের হাতে এর নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতা। তাদের হাত গলেই অবৈধ বিদেশী সিগারেট বাজারে আসছে।  শুল্ক ফাঁকি দিয়ে আসা সিগারেট  খোলা বাজারে বিক্রি করা অপরাধ। কিন্তু অবৈধভাবে বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে আকাশপথে ও সমুদ্রপথে আসা ওসব সিগারেট  কেনাবেচার সুনির্দিষ্ট  লোক রয়েছে। তারাই নির্দিষ্ট দোকানগুলোতে ওসব সিগারেট দিয়ে যায়। সমুদ্র বন্দর দিয়েই সবচেয়ে বেশি বিদেশী সিগারেট আনছে চট্টগ্রামের বেশ কয়েক প্রসাধনী ও খাদ্যপণ্যের আমদানিকারক। বিশাল সিন্ডিকেটে দায়িত্বশীল বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী জড়িত রয়েছে। চালান খালাস থেকে বাজারে বিক্রি পর্যন্ত এই কারবারে তারা প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবেই সহযোগিতা করে।