কেয়ারটেকার সরকার ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা, আমিরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমানসহ গ্রেপ্তার সব নেতাকর্মী ও আলেম-ওলামাদের মুক্তি এবং দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণের দাবিতে মঙ্গলবার (১ আগস্ট) সমাবেশ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সংবাদ সম্মেলন করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী (উত্তর ও দক্ষিণ)।
সোমবার (৩১ জুলাই) বিকেল সাড়ে ৩টায় রাজধানীর একটি মিলনায়তনে এ সংবাদ সম্মেলন করে তারা। এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমির নূরুল ইসলাম বুলবুল।
ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমির বলেন, আগামীকাল দুপুর ২টায় বায়তুল মোকাররম উত্তর গেটে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে, ইনশাআল্লাহ। আমরা আশা করছি, দ্রুততম সময়ের মধ্যে পুলিশ প্রশাসন প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, গত ২৪ জুলাই সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের লক্ষ্যে অবিলম্বে কেয়ারটেকার সরকার ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা, আমিরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমানসহ গ্রেপ্তার সব নেতাকর্মী ও আলেম-ওলামাদের মুক্তি, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণের দাবিতে এবং জামায়াতে ইসলামীকে সভা-সমাবেশ করতে না দেওয়ার প্রতিবাদে ৩ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছিল।
তিনি বলেন, ৩ দিনের কর্মসূচির মধ্যে আগামী ১ আগস্ট ঢাকা মহানগরীতে শান্তিপূর্ণ সমাবেশের ঘোষণা দেওয়া হয়। ২৪ জুলাই কেন্দ্রীয় সংগঠনের পক্ষ থেকে কর্মসূচির বিষয়ে পুলিশের আইজিকে লিখিতভাবে অবহিত করা হয়েছিল। ১ আগস্ট ঢাকায় বায়তুল মোকাররম উত্তর গেটে সমাবেশের বিষয়ে ২৫ জুলাই সকাল ১০টায় ই-মেইলে এবং বিকেল সাড়ে ৪টায় জামায়াতের একটি প্রতিনিধি দল ডিএমপি কমিশনারকে অবহিত করে চিঠি দিয়ে আসেন।
নুরুল ইসলাম বুলবুল বলেন, বর্তমান ফ্যাসিবাদী সরকারের বিরুদ্ধে এবং কেয়ারটেকার সরকার প্রতিষ্ঠার দাবিতে গোটা জাতি আজ ঐক্যবদ্ধ। জামায়াত ঘোষিত দেশব্যাপী শান্তিপূর্ণ মিছিলে হাজার হাজার লোকের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ প্রমাণ করে দলটির দাবির প্রতি দেশবাসীর সমর্থন রয়েছে। জামায়াতে ইসলামী বরাবরই মানুষের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করে আসছে।
তিনি বলেন, ফ্যাসিবাদী সরকার আমিরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমান, নায়েবে আমির ও সাবেক এমপি মাওলানা আ ন ম শামসুল ইসলাম, সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য সেলিম উদ্দিন ও সাবেক এমপি শাহজাহান চৌধুরী যাতে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে না পারেন, সেজন্য দীর্ঘদিন ধরে তাদেরকে কারাগারে আটক রেখেছে। বারবার জামিন পাওয়া সত্ত্বেও মুক্তি না দিয়ে এবং উচ্চ আদালতের নির্দেশনা উপক্ষো করে নতুন নতুন মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হচ্ছে।
কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য বলেন, জনগণের ভোটের অধিকার, ভাতের অধিকার প্রতিষ্ঠায় শান্তিপূর্ণ সমাবেশে রাজধানীর সব শ্রেণি-পেশা, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে নগরবাসীকে দলে দলে যোগদানের উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি। আমরা আশা করছি, জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে এটি একটি ঐতিহাসিক সমাবেশে পরিণত হবে।