ঢাকা ১২:৪৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ এপ্রিল ২০২৫, ২৬ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

৫ হাজারের জন্য গরিবের কোমরে দড়ি, অথচ বড় খেলাপিদের ধরা যায় না

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১০:১২:৫৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩১ জুলাই ২০২৩
  • ১১১ বার

গরিব কৃষকরা পাঁচ থেকে ১০ হাজার টাকা ঋণ নিলে কোমরে দড়ি পড়ে, অথচ বড় বড় ঋণ খেলাপিদের ধরা যায় না। তাদের ঋণ পরিশোধ যাতে না করতে হয় সেজন্য শত শত কোটি টাকা খরচ করেন, ঋণ পরিশোধ প্রক্রিয়া ঠেকানোর জন্য বড় বড় আইনজীবী নিয়োগ করেন বড় খেলাপিরা।

সোমবার (৩১ জুলাই) নারায়ণগঞ্জের এক ব্যবসায়ীর ঋণ পরিশোধ না করার আবেদনের শুনানির সময় ওই ব্যবসায়ীর আইনজীবী ব্যারিস্টার মোকছেদুল ইসলামকে উদ্দেশ্য করে এই মন্তব্য করেন দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।

সোনালী ব্যাংকের ঋণ খেলাপির এ মামলার শুনানিতে অংশ নেন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী, বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম।

সোনালী ব্যাংকের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার শামীম খালেদ আহমেদ।

মামলা সূত্রে জানা যায়, ১৯৯৭ সালে সোনালী ব্যাংকের মতিঝিল আঞ্চলিক শাখা থেকে ৩২ কোটি টাকা ঋণ নেয় ফজলুর রহমান অ্যান্ড কোং। ২০১৭ সালে প্রতিষ্ঠানের প্রধান ফজলুর রহমান মারা গেলে ঋণ আদায়ে অর্থঋণ আদালতে মামলা করে সোনালী ব্যাংক। এরই মধ্যে সুদসহ এ ঋণের অঙ্ক বেড়ে দাঁড়ায় প্রায় দেড় শ’ কোটি টাকা। দেড় শ’ কোটি টাকার বিপরীতে গত ২৬ বছরে মাত্র ৫ লাখ টাকা পরিশোধ করে প্রতিষ্ঠানটি।

এসব শুনে ব্যবসায়ীর পক্ষের আইনজীবীকে ভর্ৎসনা করেন সর্বোচ্চ আদালত। একই সঙ্গে ঋণ পরিশোধ না করার আবেদন খারিজ করে ঋণ পরিশোধের নির্দেশ দেন বেঞ্চ।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

৫ হাজারের জন্য গরিবের কোমরে দড়ি, অথচ বড় খেলাপিদের ধরা যায় না

আপডেট টাইম : ১০:১২:৫৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩১ জুলাই ২০২৩

গরিব কৃষকরা পাঁচ থেকে ১০ হাজার টাকা ঋণ নিলে কোমরে দড়ি পড়ে, অথচ বড় বড় ঋণ খেলাপিদের ধরা যায় না। তাদের ঋণ পরিশোধ যাতে না করতে হয় সেজন্য শত শত কোটি টাকা খরচ করেন, ঋণ পরিশোধ প্রক্রিয়া ঠেকানোর জন্য বড় বড় আইনজীবী নিয়োগ করেন বড় খেলাপিরা।

সোমবার (৩১ জুলাই) নারায়ণগঞ্জের এক ব্যবসায়ীর ঋণ পরিশোধ না করার আবেদনের শুনানির সময় ওই ব্যবসায়ীর আইনজীবী ব্যারিস্টার মোকছেদুল ইসলামকে উদ্দেশ্য করে এই মন্তব্য করেন দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।

সোনালী ব্যাংকের ঋণ খেলাপির এ মামলার শুনানিতে অংশ নেন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী, বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম।

সোনালী ব্যাংকের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার শামীম খালেদ আহমেদ।

মামলা সূত্রে জানা যায়, ১৯৯৭ সালে সোনালী ব্যাংকের মতিঝিল আঞ্চলিক শাখা থেকে ৩২ কোটি টাকা ঋণ নেয় ফজলুর রহমান অ্যান্ড কোং। ২০১৭ সালে প্রতিষ্ঠানের প্রধান ফজলুর রহমান মারা গেলে ঋণ আদায়ে অর্থঋণ আদালতে মামলা করে সোনালী ব্যাংক। এরই মধ্যে সুদসহ এ ঋণের অঙ্ক বেড়ে দাঁড়ায় প্রায় দেড় শ’ কোটি টাকা। দেড় শ’ কোটি টাকার বিপরীতে গত ২৬ বছরে মাত্র ৫ লাখ টাকা পরিশোধ করে প্রতিষ্ঠানটি।

এসব শুনে ব্যবসায়ীর পক্ষের আইনজীবীকে ভর্ৎসনা করেন সর্বোচ্চ আদালত। একই সঙ্গে ঋণ পরিশোধ না করার আবেদন খারিজ করে ঋণ পরিশোধের নির্দেশ দেন বেঞ্চ।