ঢাকা ০৬:২০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিএনপির ভুল নীতি তথ্যপ্রযুক্তিতে দেশকে পিছিয়ে দেয় : প্রধানমন্ত্রী

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১০:৫৭:০৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৯ জুলাই ২০২৩
  • ৫১ বার

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিএনপির ভুল নীতি তথ্যপ্রযুক্তিতে দেশকে পিছিয়ে দেয়। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর তথ্যপ্রযুক্তিতে দেশ এগিয়ে যেতে থাকে। বিরোধীরা একসময় সমালোচনা করলেও ডিজিটাল বাংলাদেশ এখন বাস্তবতা।

আজ শনিবার (২৯ জুলাই) রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে বাংলাদেশ স্টার্টআপ সামিট ২০২৩-এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের ভেঞ্চার ক্যাপিটাল ফার্ম স্টার্টআপ বাংলাদেশ লিমিটেডের উদ্যোগে রাজধানীতে দুই দিনব্যাপী এই সামিট অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে শেখ হাসিনা বলেন, সরকার চালাতে গেলে নানা ধরনের সমালোচনা শুনতে হয়। লক্ষ্য স্থির ও আত্মবিশ্বাস থাকলে সব বাধা টপকে সাফল্য আনা যায়।

স্টার্টআপরাই দায়িত্ব নিয়ে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে এমন মন্তব্য করে সরকারপ্রধান বলেন, ‘আমি মনে করি স্টার্টআপে যারা সফল তারাই দেশের অ্যাম্বাসেডর হিসেবে কাজ করবে।

অনুষ্ঠানে চাকরির পেছনে না ঘুরে যুব সমাজকে উদ্যোক্তা হওয়ার আহ্বান জানান শেখ হাসিনা।

বাংলাদেশ বর্তমানে বিশ্বের ৩৫তম বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমাদের প্রত্যাশা, ২০৩৭ সালের মধ্যে বাংলাদেশ বিশ্বের ২০তম বৃহত্তম অর্থনীতির দেশে এবং ২০৪০ সাল নাগাদ বাংলাদেশ একটি ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতিতে পরিণত হবে।

শেখ হাসিনা বলেন, আমি আশা করি, সকল বাধা-বিপত্তি পেরিয়ে ২০৪১ সালের মধ্যে সকলে মিলে জাতির পিতার স্বপ্নের উন্নত সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ অর্থাৎ তথ্য-প্রযুক্তি নির্ভর ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ প্রতিষ্ঠা করতে পারবো, ইনশাআল্লাহ। আর আপনারাই হবেন সেই স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার কারিগর।

সরকারপ্রধান আরো বলেন, ‘আমরা ২০৪১ সাল নাগাদ একটি সাশ্রয়ী, টেকসই, উদ্ভাবনী, বুদ্ধিদীপ্ত ও জ্ঞান নির্ভর স্মার্ট ও উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণ করতে চাই। এ লক্ষ্য অর্জনে আমাদের উদ্ভাবন ও গবেষণার ওপর জোর দিতে হবে।

চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স, ইন্টারনেট অব থিংস, ব্লকচেইন, রোবোটিক্স, বিগ ডেটা, মেডিক্যাল স্ক্রাইব, সাইবার সিকিউরিটির মতো অগ্রসর প্রযুক্তিতে দক্ষ মানবসম্পদ তৈরি করতে হবে।’

তিনি আরো বলেন, আইসিটিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের নিজস্ব চিন্তা ও পরামর্শে আমরা ২০১৯ সালে ৫০০ কোটি টাকার তহবিল ঘোষণাসহ দেশে ‘স্টার্টআপ বাংলাদেশ লিমিটেড’ নামে একটি ভেঞ্চার ক্যাপিটাল কম্পানির অনুমোদন দেই। স্টার্টআপ বাংলাদেশ লিমিটেড এ পর্যন্ত ৩০টি বিনিয়োগ সম্পন্ন করেছে এবং এর ‘শতবর্ষে শত আশা’ ক্যাম্পেইনের আওতায় ১০০টি স্টার্টআপে বিনিয়োগের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। স্টার্টআপ ইকোসিস্টেমের মাধ্যমে ১৫ লখেরও বেশি প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ কর্মসংস্থান হয়েছে।

২ কোটিরও বেশি শিক্ষার্থীকে একাডেমিক কোর্স এবং স্কিল ডেভেলপমেন্ট কোর্স প্রদান করা হয়েছে। ‘স্টার্টআপ বাংলাদেশ লিমিটেড’ বিনিয়োগকৃত স্টার্টআপদের মাধ্যমে ডিসেম্বর-২০২২ পর্যন্ত ৯২ লক্ষ মানুষ সেবা ও প্রশিক্ষণ পেয়েছে যার মধ্যে ৫৫% নারী।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব মো. সামসুল আরেফিন প্রমুখ।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

বিএনপির ভুল নীতি তথ্যপ্রযুক্তিতে দেশকে পিছিয়ে দেয় : প্রধানমন্ত্রী

আপডেট টাইম : ১০:৫৭:০৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৯ জুলাই ২০২৩

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিএনপির ভুল নীতি তথ্যপ্রযুক্তিতে দেশকে পিছিয়ে দেয়। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর তথ্যপ্রযুক্তিতে দেশ এগিয়ে যেতে থাকে। বিরোধীরা একসময় সমালোচনা করলেও ডিজিটাল বাংলাদেশ এখন বাস্তবতা।

আজ শনিবার (২৯ জুলাই) রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে বাংলাদেশ স্টার্টআপ সামিট ২০২৩-এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের ভেঞ্চার ক্যাপিটাল ফার্ম স্টার্টআপ বাংলাদেশ লিমিটেডের উদ্যোগে রাজধানীতে দুই দিনব্যাপী এই সামিট অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে শেখ হাসিনা বলেন, সরকার চালাতে গেলে নানা ধরনের সমালোচনা শুনতে হয়। লক্ষ্য স্থির ও আত্মবিশ্বাস থাকলে সব বাধা টপকে সাফল্য আনা যায়।

স্টার্টআপরাই দায়িত্ব নিয়ে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে এমন মন্তব্য করে সরকারপ্রধান বলেন, ‘আমি মনে করি স্টার্টআপে যারা সফল তারাই দেশের অ্যাম্বাসেডর হিসেবে কাজ করবে।

অনুষ্ঠানে চাকরির পেছনে না ঘুরে যুব সমাজকে উদ্যোক্তা হওয়ার আহ্বান জানান শেখ হাসিনা।

বাংলাদেশ বর্তমানে বিশ্বের ৩৫তম বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমাদের প্রত্যাশা, ২০৩৭ সালের মধ্যে বাংলাদেশ বিশ্বের ২০তম বৃহত্তম অর্থনীতির দেশে এবং ২০৪০ সাল নাগাদ বাংলাদেশ একটি ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতিতে পরিণত হবে।

শেখ হাসিনা বলেন, আমি আশা করি, সকল বাধা-বিপত্তি পেরিয়ে ২০৪১ সালের মধ্যে সকলে মিলে জাতির পিতার স্বপ্নের উন্নত সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ অর্থাৎ তথ্য-প্রযুক্তি নির্ভর ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ প্রতিষ্ঠা করতে পারবো, ইনশাআল্লাহ। আর আপনারাই হবেন সেই স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার কারিগর।

সরকারপ্রধান আরো বলেন, ‘আমরা ২০৪১ সাল নাগাদ একটি সাশ্রয়ী, টেকসই, উদ্ভাবনী, বুদ্ধিদীপ্ত ও জ্ঞান নির্ভর স্মার্ট ও উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণ করতে চাই। এ লক্ষ্য অর্জনে আমাদের উদ্ভাবন ও গবেষণার ওপর জোর দিতে হবে।

চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স, ইন্টারনেট অব থিংস, ব্লকচেইন, রোবোটিক্স, বিগ ডেটা, মেডিক্যাল স্ক্রাইব, সাইবার সিকিউরিটির মতো অগ্রসর প্রযুক্তিতে দক্ষ মানবসম্পদ তৈরি করতে হবে।’

তিনি আরো বলেন, আইসিটিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের নিজস্ব চিন্তা ও পরামর্শে আমরা ২০১৯ সালে ৫০০ কোটি টাকার তহবিল ঘোষণাসহ দেশে ‘স্টার্টআপ বাংলাদেশ লিমিটেড’ নামে একটি ভেঞ্চার ক্যাপিটাল কম্পানির অনুমোদন দেই। স্টার্টআপ বাংলাদেশ লিমিটেড এ পর্যন্ত ৩০টি বিনিয়োগ সম্পন্ন করেছে এবং এর ‘শতবর্ষে শত আশা’ ক্যাম্পেইনের আওতায় ১০০টি স্টার্টআপে বিনিয়োগের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। স্টার্টআপ ইকোসিস্টেমের মাধ্যমে ১৫ লখেরও বেশি প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ কর্মসংস্থান হয়েছে।

২ কোটিরও বেশি শিক্ষার্থীকে একাডেমিক কোর্স এবং স্কিল ডেভেলপমেন্ট কোর্স প্রদান করা হয়েছে। ‘স্টার্টআপ বাংলাদেশ লিমিটেড’ বিনিয়োগকৃত স্টার্টআপদের মাধ্যমে ডিসেম্বর-২০২২ পর্যন্ত ৯২ লক্ষ মানুষ সেবা ও প্রশিক্ষণ পেয়েছে যার মধ্যে ৫৫% নারী।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব মো. সামসুল আরেফিন প্রমুখ।