মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই ক্ষমতা থেকে সরে দাঁড়াচ্ছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ। আজ রোববার দেশটির শিয়ালকোটে ল্যাপটপ বিতরণের এক অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন। তিনি বলেন, আগামী মাসে (আগস্ট) সরকারের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই তারা অন্তবর্তীকালীন সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করবেন।
পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম দ্য ডনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, আগামী ১২ আগস্ট শেষ হচ্ছে শেহবাজ শরীফ নেতৃত্বাধীন জোট সরকারের পাঁচ বছরের মেয়াদ। তবে সময় শেষ হওয়ার আগেই ক্ষমতা ছাড়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি।
শেহবাজ শরীফ বলেন, ‘সামনের মাসে আমাদের সরকার তার মেয়াদ পূর্ণ করছে। আমরা আশা করছি, মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার আগেই আমরা অন্তবর্তীকালীন সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে পারবো।’
এর আগে আজ রোববার সকালে একটি চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে শেহবাজ শরীফ বলেছিলেন, যদি সামনের নির্বাচনে সুযোগ পেলে পুরো দল উন্নয়নের পথ পাকিস্তানের ভাগ্য পরিবর্তন করে ফেলবে। তিনি বলেন, তিনি জনগণের রায় মেনে নেবেন। তবে তার আগে পিএমএল-এন সরকারের পাঁচ বছর ও পিটিআই এর চার বছরের শাসনামল বিচার করতে জনগণের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন শেহবাজ।
নওয়াজ শরীফের ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার ঘটনায় হতাশা প্রকাশ করে শেহবাজ বলেন, তার শেষ সময় খুবই খারাপ গেলেও তিনি তরুণদের মাঝে ল্যাপটপ দিতে পেরেছিলেন, প্রয়োজনে ঋণ দিতে পেরেছিলেন, বিলিয়ন ডলারের চীন-পাকিস্তান চুক্তি করতে সমর্থ হয়েছিলেন। অন্যদিকে ইমরান খান পিএমএল-এনকে ভয় পেতেন। তিনি বিরোধী নেতাদর মিথ্যা মামলা দিয়ে জেলে পাঠান। পিএমএল-এন সরকার যেই যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত নিয়েছিল তা সহ্য করতে পারেনি ইমরান খানের সরকার।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের পতনের পর ১৫ মাস ক্ষমতায় থাকলেন শেহবাজ শরিফ। পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচনের পর ২০১৮ সালের ১২ আগস্ট যাত্রা শুরুর করেছিল ইমরান খান নেতৃত্বাধীন পিটিআই সরকার। ২০২২ সালের এপ্রিলে আস্থা ভোটে হেরে ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হন ইমরান খান। এরপর শেহবাজ শরিফের দল পাকিস্তান মুসলিম লীগের (নওয়াজ) জোট ক্ষমতা গ্রহণ করে।