গত সোমবার রাতে অভিনেতা শরীফুল রাজের ফেসবুকে অভিনেত্রী তানজিন তিশা, নাজিফা তুষি ও সুনেরাহ বিনতে কামালের কিছু ছবি ও ভিডিও ক্লিপ ফাঁস হয়। ১৮ মিনিটের মাথায় সেসব ছবি ও ভিডিও রাজের ফেসবুক থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়। তবে তার আগেই তা ফেসবুকে নানা গ্রুপে ছড়িয়ে পড়ে। ভাইরাল হয় সেসব ভিডিও ও ছবি।
কিন্তু এসব ছবি, ভিডিও কে ফাঁস করেছেন, তা নিয়ে কয়েক দিন ধরে চলছে নানা জল্পনা–কল্পনা। আসলে কে ফাঁস করেছেন এসব ভিডিও ও ছবি?
প্রথমে ছবি ও ভিডিও ফাঁস হওয়ার ঘটনায় সুনেরাহকে দায়ী করেন পরীমণি। সুনেরাহর নাম উল্লেখ করে এর আগে গণমাধ্যমে তিনি বক্তব্যও দেন। এখন তাঁর বক্তব্য পাল্টে গেছে। তিনি এখন ছবি ও ভিডিও ফাঁসের ঘটনার জন্য রাজের পরিবারের কোনো এক সদস্যকে দোষারোপ করছেন। তবে কোন সদস্য তা তিনি বলেননি।
এসব ছবি ও ভিডিও ফাঁসের ঘটনায় ভুক্তভোগী ব্যক্তিরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। এরই মধ্যে সুনেরাহ বিনতে কামাল ও তানজিন তিশা মামলা করবেন বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন এবং ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে নিজেদের বক্তব্য তুলে ধরেছেন।
শুক্রবার এ প্রসঙ্গ নিয়ে অভিনেতা শরিফুল রাজ সাংবাদিকদের জানান, তিনিও চাইছেন এ ঘটনায় মামলা হোক। মামলার তদন্তে যার নাম আসবে, তা তিনি মেনে নেবেন। সে ক্ষেত্রে তদন্তে পরীমণির নাম এলে তখন কী করবেন, কী বলবেন—এমন প্রশ্নে রাজ বলেন, ‘এটি তো এখনই বলা যাচ্ছে না। আগে মামলা হোক। মামলার পর তদন্তে যদি বের হয়, হবে। সবাই তখন দেখবে, ঘটনাটি কে ঘটিয়েছে। পরীর নাম যদি সত্যিই আসে, তখন তো আমার খারাপ লাগার কথা নয়। সবার আগে সত্য উদ্ঘাটন হোক। ’
শনিবার দুপুরে পরীমণি গণমাধ্যমকে জানান, তিনিও চাইছেন মামলা হোক। অনেকটা রাজের মতোই মন্তব্য করেন এ অভিনেত্রী। তিনি বলেন, ‘আমিও চাই মামলা হোক। কারণ, মামলা হলে তদন্ত হবে। সঠিক তথ্য বের হয়ে আসবে। ’
এর আগে একটি সাক্ষাৎকারে তিনি ভিডিও ও ছবি ফাঁসের বিষয়ে সুনেরাহ বিনতে কামালকে দায়ী করলেও শনিবার ভিন্ন কথা বলেন পরী। পরীমণি বলেন, ‘অনেকে হয়তো আমাকে সন্দেহ করছে। কিন্তু আমি কি পাগল? এসব প্রকাশ করতে যাব। তবে আমি শতভাগ নিশ্চিত, সঠিক তদন্ত হলে এমন একজনের নাম আসবে, শুনলে সবাই অবাকই হবে। নাম বলব না, শুধু এতটুকুই বলি, সে রাজেরই পরিবারের কেউ। মনে রাখবেন, কোনো কিছুই গোপন থাকে না। একদিন না একদিন সত্য বের হবেই। বুঝছেন, এমন ঘটনা যে ঘটাতে পারে, কত বড় ভয়ংকর সে। ’