নরসিংদীতে দুই ছাত্রদল নেতা হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন ও তার স্ত্রী বিএনপির কেন্দ্রীয় বিএনপির স্বনির্ভর বিষয়ক সম্পাদক শিরিন সুলতানাসহ ৩০ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতপরিচয় আরও ৩০ থেকে ৪০ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
শনিবার (২৭) সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কাশেম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। শুক্রবার (২৬ মে) রাতে নরসিংদী সদর থানায় নিহত ছাত্রদল নেতা সাদেকুর রহমানের ভাই আলতাফ হোসেন বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন। ইতোমধ্যে এই মামলায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, জেলা যুবদলের সভাপতি মহসিন হোসেন বিদ্যুৎ, বিএনপি নেতা কামাল হোসেন ও রাসেল।
অন্য আসামিরা হলেন, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান নাহিদ, বিএনপির নেতা জায়দুল ইসলাম জাহিদ, ইলিয়াস আলী ভূঁইয়া, আল-আমিন, তানভির, রবিউল ইসলাম রবি, সোহেল, সাদ্দাম হোসেন ভূঁইয়া, মো. ওয়ালিদ হোসেন, রিফাত, জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি রউফ সরকার রনি, সাইফুল ইসলাম ভূঁইয়া, শামিম সরকার, শহর যুবদলের আহবায়ক চৌধুরী সুমন, যুবদলের সভাপতি মহসিন হোসেন বিদ্যুৎ, রুবেল হাসান, চিনিশপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আওলাদ হোসেন মোল্লা, সজিব, নাজমুল ভূঁইয়া, গোলজার হোসেন, শহিদুজ্জামান, শাকিল চৌধুরী, হানিফ সরকার, আল আমিন ওরফে হাদি, ইমাম মেম্বার, বাবুল খন্দকার, রাসেল মিয়া, কামাল হোসেন ভূঁইয়া।
মামলায় উল্লেখ করা হয়, আসামিরা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে চিনিশপুরস্থ জেলা বিএনপি কার্যালয় এলাকায় পদবঞ্চিত ছাত্রদল নেতাদের মোটরসাইকেল শোভাযাত্রায় সংঘবদ্ধ হামলা চালিয়ে দুই ছাত্রদল নেতা সাদেকুর রহমান (৩২) ও আশরাফুল ইসলামকে(২০) গুলি করে হত্যা করে।
এদিকে গত বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৪টায় চিনিশপুরে জেলা বিএনপির কার্যালয় সংলগ্ন স্থানে জেলা ছাত্রদলের নবগঠিত আংশিক কমিটি বাতিলের দাবিতে পদবঞ্চিত ছাত্রদল নেতাদের মোটরসাইকেল শোভাযাত্রায় হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা। এতে মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে জেলা ছাত্রদলের সাবেক সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সদ্য বহিষ্কৃত সাদেকুর রহমান ও পিঠে গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হন ছাত্রদল নেতা আশরাফুল ইসলাম। ওইদিন সন্ধ্যায় ঢাকা মেডিকেলে মারা যায় সাদেকুর রহমান ও পরদিন শুক্রবার সকালে মৃত্যু হয় আশরাফুল ইসলামের।
ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কাশেম জানান, জোড়া হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন ও তার স্ত্রী বিএনপির কেন্দ্রীয় মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক শিরিন সুলতানাসহ ৩০ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাতপরিচয় আরও ৩০ থেকে ৪০ জনকে আসামি করে মামলা করেন নিহত সাদেকুরের ভাই আলতাফ হোসেন। এ ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।