ঢাকা ০৯:২০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নওগাঁয় এ বছর দেড় হাজার কোটি টাকার আম বাণিজ্যের সম্ভাবনা

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৯:৩৭:৪৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ মে ২০২৩
  • ১০৫ বার

নওগাঁর সাপাহার উপজেলা ইতিমধ্যেই সারাদেশে আমের রাজধানী হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। এই উপজেলার আম বাজার হতে প্রতি বছরে প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকার আম বানিজ্য হয়। নানান জাতের আম বাগানে পরিপূর্ণ এলাকার মাঠগুলো।

চলতি সময়ে আম গাছগুলোতে আমের সাইজ বড়ো হতে শুরু করেছে। আম বাগানে প্রবেশ করলেই দোদুল্যমান আম দেখে যেন মুগ্ধতা বেড়ে যাচ্ছে। এবছরে বাম্পার ফলনের স্বপ্ন দেখছেন কৃষকেরা। আবহাওয়ার অবনতি না হলে চলতি বছরে গত বছরের তুলনায় আমের বাম্পার ফলনের আশায় দিন গুনছেন এলাকার আমচাষীরা।

সরেজমিনে এলাকার আমবাগান গুলোতে দেখা যায়, সারি সারি আমবাগানের প্রায় প্রতিটি গাছেই ঝুলে আছে নানান জাতের আম।

যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো গুটি, আশ্বিনা, গোপালভোগ, হিমসাগর, আম্রপালী, হাড়িভাঙ্গা,খিরসাপাত, কাটিমনসহ নানান প্রজাতির আম। তবে এই অঞ্চলে সবচেয়ে বেশি চাষ হচ্ছে আম্রপালী জাতের আম। এই জাতের আম সুমিষ্ট ও কৃষকেরা দাম ভালো পাবার ফলে প্রায় ৭৫শতাংশ আম্রপালী জাতের আম চাষ করা হয়েছে। প্রায় প্রতিটি গাছেই দোল দোল খাচ্ছে কৃষকের স্বপ্ন। সেই স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে চেষ্টার কোন ঘাটতি নেই আমচাষীদের। সেই কাকডাকা ভোর থেকে লোক লাগিয়ে বাগান পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা। পরিচর্যার দিক থেকে কোন ঘাটতি দেখা যাচ্ছেনা কৃষকদের মাঝে। সারাদিন আম বাগানে ব্যস্ত সময় পার করছেন আমচাষীরা। আম বাগানগুলোতে যেন সাজ সাজ রব।

ইসলামপুর গ্রামের আমচাষী মাহফিজুর রহমান বলেন, “চলতি বছরে গাছে আমের মুকুল বেশ ভালো দেখা গেছে। সে অনুপাতে আমের ফলনও বেশ ভালো। প্রাথমিক অবস্থায় বৃষ্টি না হওয়ায় অনেক আম ঝরে গেছে। বর্তমানে আমের ফলন বেশ ভালো। তবে অসময়ে যদি প্রাকৃতিক দূর্যোগ হয় তাহলে অনেকটা সমস্যায় পড়তে হবে।”

উপজেলা কৃষি অফিসার শাপলা খাতুন বলেন, চলতি বছরে এই উপজেলায় প্রায় ১০ হাজার হেক্টর জমিতে আমচাষ হচ্ছে। গত বছর প্রতি হেক্টরে ১৫ মেট্রিক টন আম উৎপাদন হয়েছিলো। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে গত বছরের তুলনায় এই বছরে উৎপাদন বৃদ্ধি হতে পারে।

এছাড়াও আমচাষীদের সকল ধরণের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে। প্রতি বছরে এই উপজেলায় ক্রমান্বয়ে বাড়ছে আম বাগান। এই বছরেও আম বাগান বৃদ্ধি হয়েছে। ফলে গাছ গুলো নতুন হওয়ায় সেগুলো থেকে ফল আশা করছেননা আমচাষীরা। যার ফলে গড় উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা গত বছরের সাথে তুলনা করা হয়েছে।

অন্যান্য বছরের ন্যায় চলতি বছরেও দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে আম রপ্তানি করা যাবে বলে ধারণা করছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও আমচাষীরা।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

নওগাঁয় এ বছর দেড় হাজার কোটি টাকার আম বাণিজ্যের সম্ভাবনা

আপডেট টাইম : ০৯:৩৭:৪৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ মে ২০২৩

নওগাঁর সাপাহার উপজেলা ইতিমধ্যেই সারাদেশে আমের রাজধানী হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। এই উপজেলার আম বাজার হতে প্রতি বছরে প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকার আম বানিজ্য হয়। নানান জাতের আম বাগানে পরিপূর্ণ এলাকার মাঠগুলো।

চলতি সময়ে আম গাছগুলোতে আমের সাইজ বড়ো হতে শুরু করেছে। আম বাগানে প্রবেশ করলেই দোদুল্যমান আম দেখে যেন মুগ্ধতা বেড়ে যাচ্ছে। এবছরে বাম্পার ফলনের স্বপ্ন দেখছেন কৃষকেরা। আবহাওয়ার অবনতি না হলে চলতি বছরে গত বছরের তুলনায় আমের বাম্পার ফলনের আশায় দিন গুনছেন এলাকার আমচাষীরা।

সরেজমিনে এলাকার আমবাগান গুলোতে দেখা যায়, সারি সারি আমবাগানের প্রায় প্রতিটি গাছেই ঝুলে আছে নানান জাতের আম।

যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো গুটি, আশ্বিনা, গোপালভোগ, হিমসাগর, আম্রপালী, হাড়িভাঙ্গা,খিরসাপাত, কাটিমনসহ নানান প্রজাতির আম। তবে এই অঞ্চলে সবচেয়ে বেশি চাষ হচ্ছে আম্রপালী জাতের আম। এই জাতের আম সুমিষ্ট ও কৃষকেরা দাম ভালো পাবার ফলে প্রায় ৭৫শতাংশ আম্রপালী জাতের আম চাষ করা হয়েছে। প্রায় প্রতিটি গাছেই দোল দোল খাচ্ছে কৃষকের স্বপ্ন। সেই স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে চেষ্টার কোন ঘাটতি নেই আমচাষীদের। সেই কাকডাকা ভোর থেকে লোক লাগিয়ে বাগান পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা। পরিচর্যার দিক থেকে কোন ঘাটতি দেখা যাচ্ছেনা কৃষকদের মাঝে। সারাদিন আম বাগানে ব্যস্ত সময় পার করছেন আমচাষীরা। আম বাগানগুলোতে যেন সাজ সাজ রব।

ইসলামপুর গ্রামের আমচাষী মাহফিজুর রহমান বলেন, “চলতি বছরে গাছে আমের মুকুল বেশ ভালো দেখা গেছে। সে অনুপাতে আমের ফলনও বেশ ভালো। প্রাথমিক অবস্থায় বৃষ্টি না হওয়ায় অনেক আম ঝরে গেছে। বর্তমানে আমের ফলন বেশ ভালো। তবে অসময়ে যদি প্রাকৃতিক দূর্যোগ হয় তাহলে অনেকটা সমস্যায় পড়তে হবে।”

উপজেলা কৃষি অফিসার শাপলা খাতুন বলেন, চলতি বছরে এই উপজেলায় প্রায় ১০ হাজার হেক্টর জমিতে আমচাষ হচ্ছে। গত বছর প্রতি হেক্টরে ১৫ মেট্রিক টন আম উৎপাদন হয়েছিলো। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে গত বছরের তুলনায় এই বছরে উৎপাদন বৃদ্ধি হতে পারে।

এছাড়াও আমচাষীদের সকল ধরণের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে। প্রতি বছরে এই উপজেলায় ক্রমান্বয়ে বাড়ছে আম বাগান। এই বছরেও আম বাগান বৃদ্ধি হয়েছে। ফলে গাছ গুলো নতুন হওয়ায় সেগুলো থেকে ফল আশা করছেননা আমচাষীরা। যার ফলে গড় উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা গত বছরের সাথে তুলনা করা হয়েছে।

অন্যান্য বছরের ন্যায় চলতি বছরেও দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে আম রপ্তানি করা যাবে বলে ধারণা করছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও আমচাষীরা।