আশা জাগাচ্ছে মাদারীপুরের সূর্যমুখী চাষ। এবছর কোটি টাকার তেল উৎপাদনের সম্ভাবনা সূর্যমুখী চাষে আগ্রহ বাড়াচ্ছে কৃষকদের। মাদারীপুরে কৃষি সম্প্রসারণ অফিসের প্রণোদনায় কোটি টাকার সূর্যমুখীর চাষ হয়েছে। মাঠে সূর্যমুখীর ভাল ফলন দেখে অন্য চাষীরাও আগ্রহ দেখাচ্ছেন। এখান থেকে বর্তমান বাজার মূল্যে এক কোটি টাকার তেল উৎপাদন করা যাবে বলে জানিয়েছেন কৃষি কর্মকর্তরা। সেই সঙ্গে ফসলটির গাছকে শুকনো জ্বালানি হিসেবেও ব্যবহার করা যাবে। জেলায় এই তেলবীজ ফসলের উৎপাদন বাড়াতে কাজ করে যাচ্ছেন কৃষি অধিদপ্তর।
সূর্যমুখী চাষী কৃষকের কয়েকজন জানান, মাদারীপুরের মাটি ও আবহাওয়ার সাথে যেন সূর্যমুখী গাছগুলো বেশ মানিয়ে নিয়েছে। হাইসান-৩৬ জাতের এই তেলবীজের গাছগুলো ৬ থেকে ৭ ফুট উচ্চতায় বেড়ে প্রতিটি গাছেই ফুটেছে ফুল। দিন যত বাড়ছে, ততই ফুলের আকৃতি বড় হচ্ছে। তেলবীজে ভরে উঠছে পুরো ফুল। সূর্যমুখী চাষীরা আশা করছেন, খরচের চেয়ে কয়েকগুণ বেশি দামে সূর্যমুখীর তেলবীজ বিক্রি করতে পারবেন। জেলার বিভিন্ন এলাকায় ভালো ফলন দেখে অন্য
চাষীরাও সূর্যমুখী তেলবীজের চাষাবাদের আশা প্রকাশ করছেন।
মাদারীপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর অতিরিক্ত উপ-পরিচালক দিগ্বিজয় হাজরা জানান, জেলার ৪টি উপজেলায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের প্রশিক্ষণ ও তেলবীজ সরবরাহের কারণে কৃষকরা আগ্রহী হচ্ছেন। এখান থেকে বর্তমান বাজার মূল্যে এক কোটি টাকার তেল উৎপাদন করা যাবে বলে জানিয়েছেন কৃষি কর্মকর্তরা। সেই সঙ্গে ফসলটির গাছকে শুকনো জ্বালানি হিসেবেও ব্যবহার করা যাবে।
দৃষ্টিনন্দন সূর্যমুখী ক্ষেতগুলোর দৃশ্য দেখতে প্রতিদিনই প্রকৃতি প্রেমীদের ভীড় লেগেই থাকে। চলতি বছর জেলায় ৭৮ হেক্টর জমিতে এই ফসলটির চাষাবাদ করা হয়েছে।