ঈদে মহাসড়কে ৯ দিন মোটরসাইকেল নিষিদ্ধের দাবি জাতীয় কমিটির

দুর্ঘটনা এড়াতে ঈদের দিনসহ আগে ও পরে অন্তত ৯ দিন সব মহাসড়কে মোটরসাইকেল চলাচল নিষিদ্ধ ঘোষণার দাবি জানিয়েছে নৌ, সড়ক ও রেলপথ রক্ষা জাতীয় কমিটি।

এ ছাড়া ঈদযাত্রায় মহাসড়কসহ সব আন্তঃজেলা সড়কে তিন চাকার যানবাহন চলাচল এবং অতিরিক্ত বাসভাড়া আদায় বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে সংগঠনটি।

সোমবার (৩ এপ্রিল) সংগঠনের সভাপতি হাজী মোহাম্মদ শহীদ মিয়া ও সাধারণ সম্পাদক আশীষ কুমার দে এক বিবৃতিতে এই আহ্বান জানান। এ ছাড়া নাগরিক সংগঠনটির নেতারা সারা দেশের সব সড়ক ও মহাসড়কে অনিবন্ধিত, ত্রুটিপূর্ণ ও অননুমোদিত সব ধরনের গাড়ি চলাচল বন্ধের দাবি জানিয়েছেন।

এসব দাবি বাস্তবায়নে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) ভ্রাম্যমাণ আদালতের কার্যক্রম জোরদার এবং পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থাগুলোকে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান তারা।

নিরাপদ ও ঝামেলামুক্ত ঈদ ভ্রমণের ওপর গুরুত্বারোপ করে বিবৃতিতে বলা হয়, সারাদেশে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার সংখ্যা জ্যামিতিক হারে বাড়ছে।এছাড়া মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা গত বছরের সমস্ত সড়ক দুর্ঘটনার ৪০ শতাংশেরও বেশি।

তাই এই দুই চাকার গাড়িতে দূরপাল্লার যাতায়াতের কারণে ঈদ মৌসুমে আরও দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ছোট ও অনিরাপদ যানবাহন মহাসড়ক ও আন্তঃজেলা সড়কে বাস ও ট্রাকের মতো বড় যানবাহনকে ধীর করে দেয়। এতে দুর্ঘটনা ও যানজটের আশঙ্কাও বাড়ে।

এছাড়া সরকারি নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও ব্যাটারিচালিত রিকশাসহ বিভিন্ন ধরনের থ্রি-হুইলার এবং নসিমন, করিমন, ভটভটি ও আলম সাধুর মতো স্থানীয়ভাবে তৈরি অসংখ্য যানবাহন সারাদেশের মহাসড়ক ও আন্তঃজেলা সড়কে চলাচল করছে।

অতীতের উদাহরণ তুলে ধরে জাতীয় কমিটির বিবৃতিতে অভিযোগ করা হয়েছে, প্রতি ঈদে বিভিন্ন পরিবহন কোম্পানি যাত্রীদের থেকে দেড় থেকে দুই গুণ ভাড়া নেয়।

এতে বাস মালিক-শ্রমিকরা বাড়তি টাকা আয় করলেও আর্থিক ক্ষতির শিকার হচ্ছেন সাধারণ মানুষ।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর