ঢাকা ০১:৫৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আরাভ খানের নামে ইন্টারপোলের রেড নোটিশ জারি

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৪:৫৭:৩০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ মার্চ ২০২৩
  • ১৫১ বার

আন্তর্জাতিক পুলিশ সংস্থার (ইন্টারপোল) ‘ওয়ান্টেড বাই বাংলাদেশ’ তালিকার শুরুতেই রয়েছে পুলিশ হত্যা মমলার আসামি রবিউল ইসলাম ওরফে আরাভ খানের নাম। ইন্টারপোলের ওয়েবসাইটে মোস্ট ওয়ান্টেডের তালিকায় আসামি আরাভ খানের নাম, ছবি ও পরিচয় সংযুক্ত করে প্রকাশ করা হয়েছে।

শুক্রবার (২৪ মার্চ) সকালে ইন্টারপোলের ওয়েবসাইটে দেখা যায়, আরাভ খানের নাম লেখা হয়েছে রবিউল ইসলাম। বয়স ৩৫ বছর। জাতীয়তা দেখানো হয়েছে বাংলাদেশি। তার জন্মস্থান বাগেরহাটে। একই সঙ্গে তর বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে। ইন্টারপোলের রেড নোটিশের ‘ওয়ান্টেড বাই বাংলাদেশ’ তালিকায় এখন আরাভ খানসহ মোট ৬৩ বাংলাদেশির নাম রয়েছে।

এর আগে পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেছিলেন, আরাভ খানের বিরুদ্ধে রেড নোটিশ জারির জন্য ইন্টারপোলকে চিঠি পাঠানো হয়েছে। সেই সঙ্গে পুলিশের আরেকটি সূত্র রেড নোটিশ জারির বিষয়টিও নিশ্চিত করেছিলেন।

গত সোমবার আরাভের বিরুদ্ধে রেড নোটিশ জারির জন্য ইন্টারপোলকে চিঠি দেয় বাংলাদেশ। দুবাইয়ে আরাভ নজরদারিতে আছেন বলে গতকাল বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে জানানো হয়।

আরাভ খানের জাতীয় পরিচয়পত্রে নাম আছে রবিউল ইসলাম। তার বাংলাদেশি পরিচয়পত্র থাকলেও সংযুক্ত আরব আমিরাতে তিনি ভারতীয় পাসপোর্ট নিয়ে গেছেন। নির্বাচন কমিশন সূত্রে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে। ইসি সূত্রে জানা গেছে, আরাভ খানের পরিচয়পত্রে নাম আছে রবিউল ইসলাম। তার বাবার নাম মতিউর রহমান, মায়ের নাম লাকি ও স্ত্রীর নাম রুমা।
এনআইডির তথ্য অনুযায়ী তার জন্মস্থান বাগেরহাট জেলার মোল্লাহাট উপজেলার কোদালিয়া ইউনিয়নে।

পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) পরিদর্শক মামুন ইমরান খান হত্যা মামলার আসামি রবিউল। ২০১৮ সালের ৮ জুলাই রাজধানীর বনানীর একটি ফ্ল্যাটে খুন হন মামুন। পরদিন গাজীপুরের জঙ্গল থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় মামুনের বড় ভাই জাহাঙ্গীর আলম খান বাদী হয়ে বনানী থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলাটি তদন্ত করে পলাতক রবিউলসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে ২০১৯ সালের ৩১ মার্চ অভিযোগপত্র দেয় ঢাকা ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)। মামলাটি এখন ঢাকার প্রথম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতে বিচারাধীন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

আরাভ খানের নামে ইন্টারপোলের রেড নোটিশ জারি

আপডেট টাইম : ০৪:৫৭:৩০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ মার্চ ২০২৩

আন্তর্জাতিক পুলিশ সংস্থার (ইন্টারপোল) ‘ওয়ান্টেড বাই বাংলাদেশ’ তালিকার শুরুতেই রয়েছে পুলিশ হত্যা মমলার আসামি রবিউল ইসলাম ওরফে আরাভ খানের নাম। ইন্টারপোলের ওয়েবসাইটে মোস্ট ওয়ান্টেডের তালিকায় আসামি আরাভ খানের নাম, ছবি ও পরিচয় সংযুক্ত করে প্রকাশ করা হয়েছে।

শুক্রবার (২৪ মার্চ) সকালে ইন্টারপোলের ওয়েবসাইটে দেখা যায়, আরাভ খানের নাম লেখা হয়েছে রবিউল ইসলাম। বয়স ৩৫ বছর। জাতীয়তা দেখানো হয়েছে বাংলাদেশি। তার জন্মস্থান বাগেরহাটে। একই সঙ্গে তর বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে। ইন্টারপোলের রেড নোটিশের ‘ওয়ান্টেড বাই বাংলাদেশ’ তালিকায় এখন আরাভ খানসহ মোট ৬৩ বাংলাদেশির নাম রয়েছে।

এর আগে পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেছিলেন, আরাভ খানের বিরুদ্ধে রেড নোটিশ জারির জন্য ইন্টারপোলকে চিঠি পাঠানো হয়েছে। সেই সঙ্গে পুলিশের আরেকটি সূত্র রেড নোটিশ জারির বিষয়টিও নিশ্চিত করেছিলেন।

গত সোমবার আরাভের বিরুদ্ধে রেড নোটিশ জারির জন্য ইন্টারপোলকে চিঠি দেয় বাংলাদেশ। দুবাইয়ে আরাভ নজরদারিতে আছেন বলে গতকাল বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে জানানো হয়।

আরাভ খানের জাতীয় পরিচয়পত্রে নাম আছে রবিউল ইসলাম। তার বাংলাদেশি পরিচয়পত্র থাকলেও সংযুক্ত আরব আমিরাতে তিনি ভারতীয় পাসপোর্ট নিয়ে গেছেন। নির্বাচন কমিশন সূত্রে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে। ইসি সূত্রে জানা গেছে, আরাভ খানের পরিচয়পত্রে নাম আছে রবিউল ইসলাম। তার বাবার নাম মতিউর রহমান, মায়ের নাম লাকি ও স্ত্রীর নাম রুমা।
এনআইডির তথ্য অনুযায়ী তার জন্মস্থান বাগেরহাট জেলার মোল্লাহাট উপজেলার কোদালিয়া ইউনিয়নে।

পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) পরিদর্শক মামুন ইমরান খান হত্যা মামলার আসামি রবিউল। ২০১৮ সালের ৮ জুলাই রাজধানীর বনানীর একটি ফ্ল্যাটে খুন হন মামুন। পরদিন গাজীপুরের জঙ্গল থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় মামুনের বড় ভাই জাহাঙ্গীর আলম খান বাদী হয়ে বনানী থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলাটি তদন্ত করে পলাতক রবিউলসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে ২০১৯ সালের ৩১ মার্চ অভিযোগপত্র দেয় ঢাকা ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)। মামলাটি এখন ঢাকার প্রথম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতে বিচারাধীন।