হঠাৎ নিত্যপণ্যের বাজারে অস্থিরতা, লাফিয়ে বাড়ছে দাম

সুখবর নেই বাজারে। আদা রসুনের ঝাঝ বেড়েই চলেছে। আদার দাম ঠেকেছে ২৪০ টাকায় আর রসুনের কেজি ২শ’ টাকা। বাজারে খোলা চিনির দেখাই মেলে না। খুচরা পর্যায়ে ১শ’ ৭ টাকা নির্ধারণ করা হলেও চিনির পাইকারি দামই ১শ’ ১০টাকা। সব ধরনের মুরগী আর শীতকালীন সবজির বাজারও উর্ধ্বমুখী।

রাজধানীর পলাশী সিটি কপোরেশেন মার্কেটের দোকানগুলোতে নেই খোলা চিনি। মূল্য তালিকায় চিনির ঘর ফাঁকা।

দাম বেড়েছে আদা-রসুন, ডাল, ছোলাসহ বেশ কিছু পণ্যের। রমজান আসার আগেই দাম বেড়েছে এসব পণ্যের।

ব্যবসায়ীরা জানান, চিনির দাম আরও বেড়েছে তাই আমরা আনি না। ছোলার দাম গত সপ্তাহে ৮০ টাকায় বিক্রি করেছি এ সপ্তাহে ৮৪ টাকা কিনে এনেছি। তাই ৯৩ টাকায় বিক্রি করছি। গত সপ্তাহে রসুন বিক্রি করেছি ১২০-১৪০ টাকায় এ সপ্তাহে চায়না রসুন ২শ’ টাকা। আদা ১৬০ টাকা থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৫০ টাকায়।”

শীত মৌসুমে একটি সবজির দামও কমেনি। একটি লাউ বিক্রি হচ্ছে ১শ’ টাকায়। গ্রীষ্মকালীন সবজি ঢেঁড়শ বাজারে আসলেও কেজি প্রতি দাম ১শ’ টাকা।

সবজি ব্যবসায়ীরা জানান, গত সপ্তাহে কিছুটা সস্তা ছিল কিন্তু এই সপ্তাহে অনেক বেড়ে গেছে।

বয়লার, ককসহ সব মুরগীর দামই কেজিতে ২০ থেকে ৩০ টাকা বেড়েছে। এ সময়ে মাছের আমদানী বেশি থাকার কথা থাকলেও বাজারে সরবরাহ কম।

মুরগী ব্যবসায়ীরা জানান, বয়লারে বেড়েছে কেজিতে ৩০-৪০ টাকা। সোনালীতে ওই রকমই বেড়েছে। দেশিতে বাড়ছে কেজিতে ৫০ টাকা।

প্রায় সব নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধিতে অনেকটাই অসহায় সাধারণ ক্রেতা। মিলছে না আয়-ব্যয়ের হিসাব।

ক্রেতারা বলেন, “আমরা যারা ছা-পোষা মানুষ তাদের জন্য ভয়ানক বোঝা হয়ে গেছে। যেভাবে গ্যাস-বিদ্যুতের দাম বেড়েছে তাতে মানুষের জীবন যাত্রার ব্যয় অনেক বেড়ে গেছে।”

বাজার নিয়ন্ত্রণে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি সাধারণ ক্রেতাদের।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর