ঢাকা ১১:৪৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জল-স্থল-আকাশপথে দায়িত্ব পালনে সক্ষম বিজিবি: রাষ্ট্রপতি

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০১:২৬:২৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২২
  • ১৩৬ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, স্বাধীনতার পরপরই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এ বাহিনীর পুনর্গঠন ও আধুনিকায়নের উদ্যোগ গ্রহণ করেন। জাতির পিতার পদাঙ্ক অনুসরণ করে বর্তমান সরকার বর্ডার গার্ড বাংলাদেশকে অধিকতর সুসংগঠিত, চৌকস, সুশৃঙ্খল ও পেশাদার বাহিনীতে পরিণত করেছে।

তিনি আরও বলেছেন, একুশ শতকের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশকে একটি বিশ্বমানের আধুনিক সীমান্তরক্ষী বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে সংযোজন করা হয়েছে বিভিন্ন অত্যাধুনিক সরঞ্জাম। বর্তমান বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ একটি ত্রিমাত্রিক সীমান্তরক্ষী বাহিনী হিসেবে জল, স্থল ও আকাশপথে অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালনে সক্ষম।

মঙ্গলবার (২০ ডিসেম্বর) ‘বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ দিবস’ উপলক্ষে দেওয়া বাণীতে এসব কথা বলেছেন তিনি।

রাষ্ট্রপতি বলেন, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ দিবস ২০২২ উপলক্ষে আমি এ বাহিনীর সব সদস্যকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।

‌‘১৯৭১ সালে ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে পিলখানার তৎকালীন ইপিআর সদর দপ্তর থেকে জাতির পিতাও স্বাধীনতার ঘোষণা ওয়্যারলেসযোগে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে পৌঁছে দেওয়া হয়। বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে ইপিআরের বাঙালি সদস্যরা পাক-হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে সর্বাত্মক প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। মহান মুক্তিযুদ্ধে বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ শেখ এবং বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সী আব্দুর রউফসহ এ বাহিনীর ৮১৭ জন অকুতোভয় সদস্য আত্মত্যাগ করে দেশপ্রেমের অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। আমি তাদের সবার আত্মার মাগফিরাত ও শান্তি কামনা করছি। মহান মুক্তিযুদ্ধে গৌরবময় অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ বর্ডার গার্ড বাংলাদেশকে (তৎকালীন বিডিআর) ২০০৮ সালে স্বাধীনতা পদকে ভূষিত করা হয়।’

তিনি বলেন, সীমান্তের অতন্দ্র প্রহরী হিসেবে সীমান্তের সার্বিক সুরক্ষা, চোরাচালান প্রতিরোধ, নারী-শিশু এবং মাদকপাচার রোধে সীমান্তে নিরবচ্ছিন্ন দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ। দেশের অভ্যন্তরীণ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা ও জনগণের জানমালের নিরাপত্তাবিধানসহ দুর্যোগকালীন উদ্ধার কার্যক্রমেও এ বাহিনীর ভূমিকা প্রশংসনীয়।

বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের সব সদস্য মহান মুক্তিযুদ্ধ ও দেশপ্রেমের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে দেশের স্বার্থ সমুন্নত রাখতে সততা, নিষ্ঠা ও পেশাদারত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করবেন- এটাই সবার প্রত্যাশা। বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের অব্যাহত সাফল্য কামনা করি।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জল-স্থল-আকাশপথে দায়িত্ব পালনে সক্ষম বিজিবি: রাষ্ট্রপতি

আপডেট টাইম : ০১:২৬:২৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২২

হাওর বার্তা ডেস্কঃ রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, স্বাধীনতার পরপরই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এ বাহিনীর পুনর্গঠন ও আধুনিকায়নের উদ্যোগ গ্রহণ করেন। জাতির পিতার পদাঙ্ক অনুসরণ করে বর্তমান সরকার বর্ডার গার্ড বাংলাদেশকে অধিকতর সুসংগঠিত, চৌকস, সুশৃঙ্খল ও পেশাদার বাহিনীতে পরিণত করেছে।

তিনি আরও বলেছেন, একুশ শতকের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশকে একটি বিশ্বমানের আধুনিক সীমান্তরক্ষী বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে সংযোজন করা হয়েছে বিভিন্ন অত্যাধুনিক সরঞ্জাম। বর্তমান বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ একটি ত্রিমাত্রিক সীমান্তরক্ষী বাহিনী হিসেবে জল, স্থল ও আকাশপথে অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালনে সক্ষম।

মঙ্গলবার (২০ ডিসেম্বর) ‘বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ দিবস’ উপলক্ষে দেওয়া বাণীতে এসব কথা বলেছেন তিনি।

রাষ্ট্রপতি বলেন, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ দিবস ২০২২ উপলক্ষে আমি এ বাহিনীর সব সদস্যকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।

‌‘১৯৭১ সালে ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে পিলখানার তৎকালীন ইপিআর সদর দপ্তর থেকে জাতির পিতাও স্বাধীনতার ঘোষণা ওয়্যারলেসযোগে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে পৌঁছে দেওয়া হয়। বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে ইপিআরের বাঙালি সদস্যরা পাক-হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে সর্বাত্মক প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। মহান মুক্তিযুদ্ধে বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ শেখ এবং বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সী আব্দুর রউফসহ এ বাহিনীর ৮১৭ জন অকুতোভয় সদস্য আত্মত্যাগ করে দেশপ্রেমের অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। আমি তাদের সবার আত্মার মাগফিরাত ও শান্তি কামনা করছি। মহান মুক্তিযুদ্ধে গৌরবময় অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ বর্ডার গার্ড বাংলাদেশকে (তৎকালীন বিডিআর) ২০০৮ সালে স্বাধীনতা পদকে ভূষিত করা হয়।’

তিনি বলেন, সীমান্তের অতন্দ্র প্রহরী হিসেবে সীমান্তের সার্বিক সুরক্ষা, চোরাচালান প্রতিরোধ, নারী-শিশু এবং মাদকপাচার রোধে সীমান্তে নিরবচ্ছিন্ন দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ। দেশের অভ্যন্তরীণ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা ও জনগণের জানমালের নিরাপত্তাবিধানসহ দুর্যোগকালীন উদ্ধার কার্যক্রমেও এ বাহিনীর ভূমিকা প্রশংসনীয়।

বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের সব সদস্য মহান মুক্তিযুদ্ধ ও দেশপ্রেমের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে দেশের স্বার্থ সমুন্নত রাখতে সততা, নিষ্ঠা ও পেশাদারত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করবেন- এটাই সবার প্রত্যাশা। বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের অব্যাহত সাফল্য কামনা করি।