বিএনপির হাইকমান্ড থেকে বলা হয়েছে—বিএনপি ভারত-বিরোধী নয়, কখনো ছিলও না। দলটির অনেক দায়িত্বশীল নেতার মুখেও এ কথা শোনা যাচ্ছে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য লে জে (অব.) মাহবুবুর রহমান মোদির বাংলাদেশ সফরকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, ‘বিএনপি ভারত-বিরোধী নয়। কখনো ছিল না, আগামীতেও থাকবে না। বাংলাদেশের স্বার্থের পক্ষে কথা বলাতে হয়ত অতীতে অনেক বক্তব্য ভারত-বিরোধী মনে হতে পারে। মূলত সে সব বক্তব্য বাংলাদেশের স্বার্থে।’
তিনি বলেন, ‘মোদি গণতন্ত্রের পতাকা উড়িয়ে বাংলাদেশে এসেছেন। আমরা প্রত্যাশা করি—তিনি বাংলাদেশের গনতান্ত্রিক সংকট নিয়ে কথা বলবেন।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আ স ম হান্নান শাহ্ বলেন, ‘প্রতিবেশী প্রতিটি রাষ্ট্রের সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে তোলাই বিএনপির বৈদেশিক নীতি। তবে বিএনপি সমতার ভিত্তিতে বন্ধুত্ব চায়। একপক্ষ শুধু নিয়েই যাবে, আরেক পক্ষ কিছুই পাবে না— এটা বন্ধুত্বসুলভ আচরণ হতে পারে না।’
বিএনপির মুখপাত্র আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ড. আসাদুজ্জামান রিপন নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে গত ২৭ মে সংবাদ সম্মেলন করে জানান, ‘তারা ভারতবিরোধী নয়। বিএনপি কখনই ভারত-বিরোধী রাজনীতি করেনি, ভবিষ্যতেও করবে না।’
রিপন বলেন, ‘অনেকে অপপ্রচার করে যে, বিএনপি ভারত-বিরোধী—এটি সঠিক নয়।’
এ দিকে, নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরকে এরই মধ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাগত জানিয়েছে বিএনপি। শুক্রবার দিল্লিতে বিদেশ সচিব জয়শঙ্কর বৈঠকের কর্মসূচির ঘোষণার পূর্ব পর্যন্ত বিএনপি ছিল চরম অস্বস্তিতে। শেষাবধি রবিবার মোদির সঙ্গে খালেদা জিয়া বৈঠকের নির্ঘণ্ট পেয়ে স্বস্তি বোধ করছে দলটি।
বিএনপি সূত্র জানা গেছে—রবিবার সোনারগাঁও হোটেলে মোদির সঙ্গে খালেদা জিয়া তার ৩৫ মিনিটের বৈঠকে আগামী জাতীয় নির্বাচনসহ সর্বশেষ রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলতে চান। এরই মধ্যে লিখিত একটি বক্তব্যও তৈরি করেছে দলের নীতিনির্ধারকরা। যেখানে দেশের মানুষের অসহনীয় অবস্থা, মামলা-হামলা, হত্যা, গুম ও ক্ষমতাসীনদের দমননীতির সচিত্র ও বিস্তারিত বর্ণনা তুলে ধরা হয়েছে। সব দলের অংশ গ্রহণে একটি অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য সরকারকে বিরোধীদলের সঙ্গে সংলাপের তাগিদ দেয়ার জন্য মদির কাছে আর্জি রাখা হবে।