মদন (নেত্রকোণা) প্রতিনিধিঃ নেত্রকোণা মদন উপজেলার তিয়শ্রী ইউনিয়নের তিয়শ্রী বাজারের পাশে ডালি নদীতে বাঁধ দিয়ে শুকিয়ে চলছে মাছ শিকার। গত ২০ নভেম্বর কয়েকটি প্রত্রিকায় “নেত্রকোণার মদনে ডালি নদীতে বাঁধ দিয়ে চলছে মাছ শিকার” এই শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হলে বিষয়টি প্রশাসনের নজরে আসে।
পরদিন ২১ নভেম্বর তিয়শ্রী ইউনিয়ন উপ-সহকারী ভূমি কর্মকর্তা সরজমিনে গিয়ে, নদীতে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টিকারী বাঁধ দেখতে পেয়ে বাঁধ কেটে ফেলার নির্দেশ দেন মাছ শিকারীদের। মাছ শিকারীরা, নদীতে দেয়া বাঁধ কেটে ফেলার আশ্বাস দিলে, তিনি চলে আসেন। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি।
প্রশাসনের নির্দেশ আমলে না নিয়ে, মাছ ধরার উদ্দেশ্যে নদীতে মেশিন বসিয়ে নদী শুকানোর সময় গত ৮ ডিসেম্বর তিয়শ্রী ইউনিয়ন উপ-সহকারী ভূমি কর্মকর্তা সেচের মেশিন উচ্ছেদ করেন এবং বাঁধ কেটে দেন।
কিন্তু উপ-সহকারী ভূমি কর্মকর্তা চলে আসার পর পুনরায় মৎস্য শিকারীরা বাঁধ বেঁধে ফেলে এবং চলছে নদী শুকিয়ে মাছ শিকারে প্রস্তুতি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় একজন বলেন, প্রশাসন যেহেতু নদী শুকানো অবস্থায় সেচের মেশিন পাইছিলো। তখন যদি মেশিন জব্দ করে নিয়ে যাইতো তাহলে মাছ শিকারীরা পুনরায় বাঁধ কাটার সাহস পেতো না।
এ বিষয়ে তিয়শ্রী ইউনিয়ন উপ-সহকারী ভূমি কর্মকর্তা মোঃ খুররম জাহমুরাদ জানান, গত ৮ ডিসেম্বর উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি মহোদয়ের নির্দেশে ডালি নদী থেকে একটি সেচের মেশিন উচ্ছেদ করি এবং নদীতে দেয়া বাঁধ কেটে দিয়ে আসি।
ডালি নদীর ইজারাদার প্রধান শিক্ষক আল-মামন তালুকদার জানান, বৃহস্পতিবার (৮ ডিসেম্বর) তিয়শ্র ইউনিয়নের নাঈব এসে নদী থেকে একটি সেচের মেশিন উচ্ছেদ করেন এবং নদীর বাঁধ কেটে দিয়েছ গেছেন। এখন পুনরায় কেউ বাঁধ বেঁধে থাকলে, তা আমার জানা নাই।
উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি মোঃ শাহনূর রহমান জানান, যদি সত্যিই এমনটা হয়ে থাকে, তবে অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা নিবো।