ঢাকা ০৩:২৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বস্ত্র খাত কর্মসংস্থান ও বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে ভূমিকা রাখছে

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০১:০৩:০৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২২
  • ১৩১ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, দেশের বস্ত্র খাত কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির পাশাপাশি বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। ‘জাতীয় বস্ত্র দিবস ২০২২’ উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে এ কথা বলেন তিনি।

রোববার (৪ ডিসেম্বর) বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে ‘জাতীয় বস্ত্র দিবস ২০২২’ পালনের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, বস্ত্রশিল্প বাংলাদেশের অর্থনীতির অন্যতম চালিকা শক্তি। স্বাধীনতার পর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নানামুখী কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের মাধ্যমে এ খাতকে সুসংহত ও গতিশীল করার উদ্যোগ নেন। সেই ধারাবাহিকতায় বর্তমানে দেশের মোট রপ্তানি আয়ের সিংহভাগ বস্ত্র খাত থেকে অর্জিত হচ্ছে। এ বছর জাতীয় বস্ত্র দিবসের প্রতিপাদ্য ‘দেশীয় বস্ত্র ব্যবহার করি, সোনার বাংলা গড়ে তুলি’ যা বর্তমান প্রেক্ষাপটে যথার্থ হয়েছে বলেও তিনি মনে করেন।

আবদুল হামিদ বলেন, দারিদ্র্য বিমোচন, নারীর ক্ষমতায়ন ও কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির পাশাপাশি বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে বস্ত্র খাত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। বস্ত্র খাতের সক্ষমতাবৃদ্ধি ও যুগোপযোগীকরণ এবং এ খাতে বিনিয়োগ আকৃষ্টকরণে সরকার বদ্ধপরিকর। এ পরিপ্রেক্ষিতে সরকার ‘বস্ত্র নীতি, ২০১৭’, ‘বস্ত্র আইন, ২০১৮’ এবং ‘বস্ত্রশিল্প (নিবন্ধন ও ওয়ানস্টপ সার্ভিস কেন্দ্র) বিধিমালা, ২০২১’ প্রণয়ন করেছে।

রাষ্ট্রপতি বলেন, বস্ত্রশিল্পের ক্রমাগত উন্নয়ন ও বিকাশের লক্ষ্যে ‘পোশাক কর্তৃপক্ষ’ হিসেবে বস্ত্র অধিদপ্তর বস্ত্রশিল্প ও বায়িং হাউজের উদ্যোক্তাদের নিবন্ধনসহ অন্যান্য সেবা প্রদান করছে। এছাড়া বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় বস্ত্র খাতের জন্য দক্ষ মানবসম্পদ তৈরির লক্ষ্যে বর্তমানে ৯টি টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, ১১টি টেক্সটাইল ডিপ্লোমা ইনস্টিটিউট ও ৪১টি টেক্সটাইল ভোকেশনাল ইনস্টিটিউট পরিচালনা করছে।

তিনি পরিবেশবান্ধব বস্ত্রশিল্প স্থাপন, বস্ত্র খাতের রপ্তানি বাজার সম্প্রসারণ এবং এ খাতের সার্বিক উন্নয়নে সম্মিলিতভাবে কাজ করার জন্যও সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি আহ্বান জানান।

বাংলাদেশের বস্ত্রশিল্পের ইতিহাস সুপ্রাচীন এবং গৌরবময় এ কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ঢাকাই মসলিন ও জামদানি, টাঙ্গাইলের তাঁত, কুমিল্লার খাদি, রাজশাহীর সিল্ক এবং মিরপুরের বেনারসি শিল্প ‘আমাদের ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির সাথে গভীরভাবে জড়িয়ে আছে’। রাষ্ট্রপতি প্রত্যাশা করেন, এসব ঐতিহ্যবাহী বিশেষায়িত পণ্যকে ব্র্যান্ডিংয়ের মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী মর্যাদার আসনে প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট সবার আন্তরিক প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।

তিনি ‘জাতীয় বস্ত্র দিবস ২০২২’ উপলক্ষে গৃহীত সব কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

বস্ত্র খাত কর্মসংস্থান ও বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে ভূমিকা রাখছে

আপডেট টাইম : ০১:০৩:০৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২২

হাওর বার্তা ডেস্কঃ রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, দেশের বস্ত্র খাত কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির পাশাপাশি বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। ‘জাতীয় বস্ত্র দিবস ২০২২’ উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে এ কথা বলেন তিনি।

রোববার (৪ ডিসেম্বর) বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে ‘জাতীয় বস্ত্র দিবস ২০২২’ পালনের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, বস্ত্রশিল্প বাংলাদেশের অর্থনীতির অন্যতম চালিকা শক্তি। স্বাধীনতার পর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নানামুখী কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের মাধ্যমে এ খাতকে সুসংহত ও গতিশীল করার উদ্যোগ নেন। সেই ধারাবাহিকতায় বর্তমানে দেশের মোট রপ্তানি আয়ের সিংহভাগ বস্ত্র খাত থেকে অর্জিত হচ্ছে। এ বছর জাতীয় বস্ত্র দিবসের প্রতিপাদ্য ‘দেশীয় বস্ত্র ব্যবহার করি, সোনার বাংলা গড়ে তুলি’ যা বর্তমান প্রেক্ষাপটে যথার্থ হয়েছে বলেও তিনি মনে করেন।

আবদুল হামিদ বলেন, দারিদ্র্য বিমোচন, নারীর ক্ষমতায়ন ও কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির পাশাপাশি বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে বস্ত্র খাত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। বস্ত্র খাতের সক্ষমতাবৃদ্ধি ও যুগোপযোগীকরণ এবং এ খাতে বিনিয়োগ আকৃষ্টকরণে সরকার বদ্ধপরিকর। এ পরিপ্রেক্ষিতে সরকার ‘বস্ত্র নীতি, ২০১৭’, ‘বস্ত্র আইন, ২০১৮’ এবং ‘বস্ত্রশিল্প (নিবন্ধন ও ওয়ানস্টপ সার্ভিস কেন্দ্র) বিধিমালা, ২০২১’ প্রণয়ন করেছে।

রাষ্ট্রপতি বলেন, বস্ত্রশিল্পের ক্রমাগত উন্নয়ন ও বিকাশের লক্ষ্যে ‘পোশাক কর্তৃপক্ষ’ হিসেবে বস্ত্র অধিদপ্তর বস্ত্রশিল্প ও বায়িং হাউজের উদ্যোক্তাদের নিবন্ধনসহ অন্যান্য সেবা প্রদান করছে। এছাড়া বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় বস্ত্র খাতের জন্য দক্ষ মানবসম্পদ তৈরির লক্ষ্যে বর্তমানে ৯টি টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, ১১টি টেক্সটাইল ডিপ্লোমা ইনস্টিটিউট ও ৪১টি টেক্সটাইল ভোকেশনাল ইনস্টিটিউট পরিচালনা করছে।

তিনি পরিবেশবান্ধব বস্ত্রশিল্প স্থাপন, বস্ত্র খাতের রপ্তানি বাজার সম্প্রসারণ এবং এ খাতের সার্বিক উন্নয়নে সম্মিলিতভাবে কাজ করার জন্যও সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি আহ্বান জানান।

বাংলাদেশের বস্ত্রশিল্পের ইতিহাস সুপ্রাচীন এবং গৌরবময় এ কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ঢাকাই মসলিন ও জামদানি, টাঙ্গাইলের তাঁত, কুমিল্লার খাদি, রাজশাহীর সিল্ক এবং মিরপুরের বেনারসি শিল্প ‘আমাদের ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির সাথে গভীরভাবে জড়িয়ে আছে’। রাষ্ট্রপতি প্রত্যাশা করেন, এসব ঐতিহ্যবাহী বিশেষায়িত পণ্যকে ব্র্যান্ডিংয়ের মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী মর্যাদার আসনে প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট সবার আন্তরিক প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।

তিনি ‘জাতীয় বস্ত্র দিবস ২০২২’ উপলক্ষে গৃহীত সব কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।