ঢাকা ১০:৫৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মদনে ডালি নদীতে অবৈধভাবে বাঁধ দিয়ে চলেছে মাছ শিকার

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৪:২৪:১৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ নভেম্বর ২০২২
  • ২৩৬ বার
মদন (নেত্রকোণা) প্রতিনিধিঃ নেত্রকোণার মদনে তিয়শ্রী ইউনিয়নের তিয়শ্রী বাজারের পাশে ডালি নদীতে বাঁধ দিয়ে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে চলছে মাছ শিকার। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রতি বছরই তিয়শ্রী এন.এইচ.খান একাডেমির নাম ব্যবহার করে চলছে ডালি নদী ও মৎস্য সম্পদের সর্বনাশ।
অন্য বছরের ন্যায় এ বছরও প্রথমে বায়না ও জাল দিয়ে নদীতে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে এবং পরে সুবিধা মতো নদীতে বাঁধ দিয়ে পানি শুকিয়ে চলছে মাছ শিকারের প্রস্তুতি। ইতোমধ্যে পানি বরাবর মাটি দিয়ে বাঁধ তৈরির করে তার এক পাশে জাল আরেক পাশে বায়না দিয়ে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেফেলেছে। এতে নদী হারাচ্ছে নাব্যতা। নদী শুকিয়ে মাছ শিকার করায় দেশীয় প্রজাতির মাছের ঘটছে বিলুপ্তি। এছাড়াও শুকলো মৌসুমে ফসলের জমিতে সেচের ক্ষেত্রে সৃষ্টি হয় পানির তিব্র সংকট।
নাম প্রকাশের অনিচ্ছুক একজন বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নাম ভাঙ্গিয়ে একটি মহল লক্ষাধিক  টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। সরকার হারাচ্ছে বিপুল পরিমান রাজস্ব। ডালি নদীকে শুকিয়ে মাছতো মারেই, একপর্যায়ে এসে ঔষধ ব্যবহার করে মাটির নিচ থেকে দেশীয় মাছ টেনে বের করে।
এ বিষয়ে উক্ত প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক  জানান, আমারা ইউনও অফিস থেকে সমতা মৎসজীবী সমিতির নামে ১৪-১৫ হাজার টাকার বিনিময়ে লিজ নেই। আমাদের ধারা তো মাছ ধরা সম্ভব না, তাই কিছু লোক দিয়ে মাছ ধরাচ্ছি।
মৎস্য শিকারী আলিম মিয়া জানা, আমি স্কুলের প্রধান শিক্ষকের কাছ থেকে এক লক্ষ পাঁচ হাজার টাকার বিনিময়ে এক সিজনের জন্য লিজ নিয়েছি। নদীতে বাঁধ দিয়ে শুকিয়ে মাছ শিকার করব এই শর্ত দিয়েই নদী লিজ নিয়েছি। এ বিষয়ে তিয়শ্রী এন.এইচ. খান একাডেমী প্রধান শিক্ষক সবই জানেন।
উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ কামরুল হাসান বলেন, নদীতে বাঁধ দিয়ে বা শুকিয়ে মাছ শিকার সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। আমরা দ্রুত এর ব্যাবস্থা নিচ্ছি।
উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি মোঃ শাহনূর রহমান জানান, এ বিষয়ে আমি অবগত হয়েছি। বিষয়টি দেখতে তিয়শ্রী ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তাকে পাঠিয়েছি।
Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

মদনে ডালি নদীতে অবৈধভাবে বাঁধ দিয়ে চলেছে মাছ শিকার

আপডেট টাইম : ০৪:২৪:১৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ নভেম্বর ২০২২
মদন (নেত্রকোণা) প্রতিনিধিঃ নেত্রকোণার মদনে তিয়শ্রী ইউনিয়নের তিয়শ্রী বাজারের পাশে ডালি নদীতে বাঁধ দিয়ে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে চলছে মাছ শিকার। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রতি বছরই তিয়শ্রী এন.এইচ.খান একাডেমির নাম ব্যবহার করে চলছে ডালি নদী ও মৎস্য সম্পদের সর্বনাশ।
অন্য বছরের ন্যায় এ বছরও প্রথমে বায়না ও জাল দিয়ে নদীতে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে এবং পরে সুবিধা মতো নদীতে বাঁধ দিয়ে পানি শুকিয়ে চলছে মাছ শিকারের প্রস্তুতি। ইতোমধ্যে পানি বরাবর মাটি দিয়ে বাঁধ তৈরির করে তার এক পাশে জাল আরেক পাশে বায়না দিয়ে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেফেলেছে। এতে নদী হারাচ্ছে নাব্যতা। নদী শুকিয়ে মাছ শিকার করায় দেশীয় প্রজাতির মাছের ঘটছে বিলুপ্তি। এছাড়াও শুকলো মৌসুমে ফসলের জমিতে সেচের ক্ষেত্রে সৃষ্টি হয় পানির তিব্র সংকট।
নাম প্রকাশের অনিচ্ছুক একজন বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নাম ভাঙ্গিয়ে একটি মহল লক্ষাধিক  টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। সরকার হারাচ্ছে বিপুল পরিমান রাজস্ব। ডালি নদীকে শুকিয়ে মাছতো মারেই, একপর্যায়ে এসে ঔষধ ব্যবহার করে মাটির নিচ থেকে দেশীয় মাছ টেনে বের করে।
এ বিষয়ে উক্ত প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক  জানান, আমারা ইউনও অফিস থেকে সমতা মৎসজীবী সমিতির নামে ১৪-১৫ হাজার টাকার বিনিময়ে লিজ নেই। আমাদের ধারা তো মাছ ধরা সম্ভব না, তাই কিছু লোক দিয়ে মাছ ধরাচ্ছি।
মৎস্য শিকারী আলিম মিয়া জানা, আমি স্কুলের প্রধান শিক্ষকের কাছ থেকে এক লক্ষ পাঁচ হাজার টাকার বিনিময়ে এক সিজনের জন্য লিজ নিয়েছি। নদীতে বাঁধ দিয়ে শুকিয়ে মাছ শিকার করব এই শর্ত দিয়েই নদী লিজ নিয়েছি। এ বিষয়ে তিয়শ্রী এন.এইচ. খান একাডেমী প্রধান শিক্ষক সবই জানেন।
উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ কামরুল হাসান বলেন, নদীতে বাঁধ দিয়ে বা শুকিয়ে মাছ শিকার সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। আমরা দ্রুত এর ব্যাবস্থা নিচ্ছি।
উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি মোঃ শাহনূর রহমান জানান, এ বিষয়ে আমি অবগত হয়েছি। বিষয়টি দেখতে তিয়শ্রী ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তাকে পাঠিয়েছি।