হাওর বার্তা ডেস্কঃ শীতের আগমনী বার্তা নিয়ে এবারও পরিযায়ী পাখি ফিরতে শুরু করেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে। লেকের পানিতে দিনভর জলকেলি, ডানা ঝাপটানো ও দলবেধে ওড়াউড়ির মধ্যেই ব্যস্ত সময় পার করছে হাজার মাইল দূরের পরিযায়ীরা।
বৃহস্পতিবার (১০ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রান্সপোর্ট চত্বর ঘেঁষা লেকে প্রায় ১৫ শতাধিক পাখি দেখা গেছে বলে জানিয়েছেন একাধিক প্রত্যক্ষদর্শী।
সরেজমিনে দেখা যায়, লেকটির পূর্ব ও দক্ষিণ অংশে আশ্রয় নিয়েছে তারা। কিচিরমিচির শব্দ, দল বেধে ওড়াউড়ি ডানঝাপটানি দিয়ে মাতিয়ে রেখেছেন লেকটি। পরিযায়ীদের দেখতে লেকের পাড়ে ছুটে আসছেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। কেউবা অপলক দৃষ্টিতে দেখছেন ভিনদেশি পাখির নানা খেল-তামাশা, কেউবা তুলছেন ছবি।
লেকটি ধার ঘেঁষা ইঞ্জিনিয়ার অফিসের পাম্প দেখভাল করার দায়িত্বে থাকা আব্দুল কাদের জাগো নিউজকে বলেন, বেশ কয়েকদিন থেকে লেকটিতে পরিযায়ী পাখির আনাগোনা বেড়েছে। তবে সকালে ঝাঁকে-ঝাঁকে পাখি আসতে শুরু করেছে। সারাদিন যে পরিমাণ পাখি এ লেকে বসেছে সে সংখ্যা প্রায় দুই হাজারের বেশি হবে।
ক্যাম্পাসে পরিযায়ী পাখির আগমনের বিষয়ে পাখি গবেষক ও জাবির প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. কামরুল হাসান জাগো নিউজকে বলেন, সাধারণত সেপ্টেম্বরের শেষে পরিযায়ী পাখি দেখা যায়। সে হিসেবে এবার কিছুটা দেরিতে তারা লেকগুলোতে বসতে শুরু করেছে যদিও বেশ কিছুদিন আগেই পরিযায়ী পাখি এসেছে জাহাঙ্গীরনগরে। তারা আশ্রয় নিয়েছে ওয়াইল্ড লাইফ রেসকিউ সেন্টার নামে এক সংরক্ষিত এলাকায়। বিশেষ ওই এলাকাটি এখন পাখিতে ভরে গেছে।
এদিকে পরিযায়ী পাখির আবাস লেক সংস্কারের ব্যাপারে এস্টেট অফিসের ডেপুটি রেজিস্ট্রার আব্দুর রহমান বলেন, পাখি যে লেকগুলোতে বসে সেগুলো সাধারণত জুলাই-আগস্ট মাসে পরিষ্কার করা হয়। এখন পর্যন্ত আমরা পাঁচটি লেক সংস্কার করেছি। কয়েকটি লেক পরিষ্কার করা সম্ভব হয়নি কারণ সেগুলো খনন করা দরকার।