ভাই এর কপালে দিলাম ফোটা
যমের দুয়ারে পড়ল কাটা
যমুনা দেয় যমকে ফোটা
আমি দেই আমার ভাইকে ফোটা।
ভাইফোঁটার অন্য নাম ভ্রাতৃদ্বিতীয়া অনুষ্ঠান। কার্তিক মাসের শুক্লাদ্বিতীয়া তিথিতে (কালীপূজার দুই দিন পরে) এই উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। বাঙালি হিন্দু পঞ্জিকা অনুযায়ী, এই উৎসব কার্তিক মাসের শুক্লপক্ষের ২য় দিনে উদযাপিত হয়।
শুক্লা দ্বিতীয়া একটি রীতি হলো বোন যদি বড় হয় তবে ফোটা দিয়ে বোন ভাইকে উপহার দিবে। আর বোন যদি ছোট হয় তবে ভাই ফোটা নিয়ে বোনকে উপহার দিবে। এই উপহার যেকোনো কিছু হতে পারে। অধিকাংশই উপহার হিসেব টাকা দিয়ে থাকে।
ভাইফোঁটার দিন বোনরা ভাইকে সুন্দর করে সাজাবে। তারপর কাজলের টিকা চোখে স্পর্শ করিয়ে ধান, দূর্বা দিয়ে ভাইয়ের দীর্ঘ জীবন কামনা করে আশীর্বাদ করবে। যাদের বোন নেই তারা কাকাতো কিংবা মামাত বোনদের কাছ থেকে ফোটা নিয়ে এই উৎসব পালন করতে পারেন।
এই উৎসবের আরও একটি নাম হল যমদ্বিতীয়া। কথিত আছে, এই দিন মৃত্যুর দেবতা যম তার বোন যমুনার হাতে ফোঁটা নিয়েছিলেন। অন্য মতে, নরকাসুর নামে এক দৈত্যকে বধ করার পর যখন কৃষ্ণ তার বোন সুভদ্রার কাছে আসেন, তখন সুভদ্রা তার কপালে ফোঁটা দিয়ে তাকে মিষ্টি খেতে দেন। সেই থেকে ভাইফোঁটা উৎসবের প্রচলন হয়।