ঢাকা ০২:২০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
সৌদির কনসার্টে গাইবেন পড়শী আসছে নতুন গান আ.লীগের রাজনীতি করা নিয়ে যা বললেন মান্না দোসরদের গ্রেফতার করা না গেলে মুক্তি পাবে না পুরান ঢাকার সাধারণ মানুষ সেলিমের চেয়েও ভয়ঙ্কর দুই পুত্র সোলায়মান ও ইরফান বাতাসে ভয়াবহ স্বাস্থ্যঝুঁকি, ঢাকার অবস্থা কি শাকিবের ‘দরদ’ নিয়ে যা বললেন অপু বিশ্বাস ‘ড. ইউনূসের নেতৃত্বে বাংলাদেশ সফল হলেই ভারতের স্বার্থ রক্ষিত’ ভারতীয় ব্যবসায়ীর সাক্ষাৎকার আইপিএল নিলামের চূড়ান্ত তালিকায় ১২ বাংলাদেশি ফিলিপাইনের দিকে ধেয়ে আসছে সুপার টাইফুন আগামীর বাংলাদেশ হবে ন্যায়বিচার, মানবাধিকার ও বাক-স্বাধীনতার: প্রধান উপদেষ্টা আজিমপুরে ডাকাতির সময় অপহৃত সেই শিশু উদ্ধার

নানা আয়োজনে নেত্রকোনায় ভাইফোঁটা উৎসব অনুষ্ঠিত

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৫:২২:২১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ অক্টোবর ২০২২
  • ১৩২ বার
বিজয় দাস, নেত্রকোনা প্রতিনিধিঃ নানা আয়োজনে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ভাইফোঁটা আজ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ভাইফোঁটা মানে ভাই বোনের উৎসব। এদিন বোনরা ভাইদের মঙ্গল কামনা করে কপালে ফোটা দিয়ে থাকে।  অনুষ্ঠানটি তিথি অনুসারে হয়। নানা আয়োজনে নেত্রকোনায় উৎসবটি অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ বছর ২০২২ সালে ২৭ অক্টোবর বৃহস্পতিবার ভাইফোঁটা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
এদিন বোনরা তাদের কনিষ্ঠা অঙ্গুল দিয়ে ভাইয়ের কপালে চন্দনের ফোটা দেয়। ফোটা দেওয়ার সময় একটি কথা কবিতার ছন্দে বলে। সেটি হলো

ভাই এর কপালে দিলাম ফোটা
যমের দুয়ারে পড়ল কাটা
যমুনা দেয় যমকে ফোটা
আমি দেই আমার ভাইকে ফোটা।

ভাইফোঁটার অন্য নাম ভ্রাতৃদ্বিতীয়া অনুষ্ঠান। কার্তিক মাসের শুক্লাদ্বিতীয়া তিথিতে (কালীপূজার দুই দিন পরে) এই উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। বাঙালি হিন্দু পঞ্জিকা অনুযায়ী, এই উৎসব কার্তিক মাসের শুক্লপক্ষের ২য় দিনে উদযাপিত হয়।

শুক্লা দ্বিতীয়া একটি রীতি হলো বোন যদি বড় হয় তবে ফোটা দিয়ে বোন ভাইকে উপহার দিবে। আর বোন যদি ছোট হয় তবে ভাই ফোটা নিয়ে বোনকে উপহার দিবে। এই উপহার যেকোনো কিছু হতে পারে। অধিকাংশই উপহার হিসেব টাকা দিয়ে থাকে।
ভাইফোঁটার দিন বোনরা ভাইকে সুন্দর করে সাজাবে। তারপর কাজলের টিকা চোখে স্পর্শ করিয়ে ধান, দূর্বা দিয়ে ভাইয়ের দীর্ঘ জীবন কামনা করে আশীর্বাদ করবে। যাদের বোন নেই তারা কাকাতো কিংবা মামাত বোনদের কাছ থেকে ফোটা নিয়ে এই উৎসব পালন করতে পারেন।

এই উৎসবের আরও একটি নাম হল যমদ্বিতীয়া। কথিত আছে, এই দিন মৃত্যুর দেবতা যম তার বোন যমুনার হাতে ফোঁটা নিয়েছিলেন। অন্য মতে, নরকাসুর নামে এক দৈত্যকে বধ করার পর যখন কৃষ্ণ তার বোন সুভদ্রার কাছে আসেন, তখন সুভদ্রা তার কপালে ফোঁটা দিয়ে তাকে মিষ্টি খেতে দেন। সেই থেকে ভাইফোঁটা উৎসবের প্রচলন হয়।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

সৌদির কনসার্টে গাইবেন পড়শী আসছে নতুন গান

নানা আয়োজনে নেত্রকোনায় ভাইফোঁটা উৎসব অনুষ্ঠিত

আপডেট টাইম : ০৫:২২:২১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ অক্টোবর ২০২২
বিজয় দাস, নেত্রকোনা প্রতিনিধিঃ নানা আয়োজনে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ভাইফোঁটা আজ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ভাইফোঁটা মানে ভাই বোনের উৎসব। এদিন বোনরা ভাইদের মঙ্গল কামনা করে কপালে ফোটা দিয়ে থাকে।  অনুষ্ঠানটি তিথি অনুসারে হয়। নানা আয়োজনে নেত্রকোনায় উৎসবটি অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ বছর ২০২২ সালে ২৭ অক্টোবর বৃহস্পতিবার ভাইফোঁটা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
এদিন বোনরা তাদের কনিষ্ঠা অঙ্গুল দিয়ে ভাইয়ের কপালে চন্দনের ফোটা দেয়। ফোটা দেওয়ার সময় একটি কথা কবিতার ছন্দে বলে। সেটি হলো

ভাই এর কপালে দিলাম ফোটা
যমের দুয়ারে পড়ল কাটা
যমুনা দেয় যমকে ফোটা
আমি দেই আমার ভাইকে ফোটা।

ভাইফোঁটার অন্য নাম ভ্রাতৃদ্বিতীয়া অনুষ্ঠান। কার্তিক মাসের শুক্লাদ্বিতীয়া তিথিতে (কালীপূজার দুই দিন পরে) এই উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। বাঙালি হিন্দু পঞ্জিকা অনুযায়ী, এই উৎসব কার্তিক মাসের শুক্লপক্ষের ২য় দিনে উদযাপিত হয়।

শুক্লা দ্বিতীয়া একটি রীতি হলো বোন যদি বড় হয় তবে ফোটা দিয়ে বোন ভাইকে উপহার দিবে। আর বোন যদি ছোট হয় তবে ভাই ফোটা নিয়ে বোনকে উপহার দিবে। এই উপহার যেকোনো কিছু হতে পারে। অধিকাংশই উপহার হিসেব টাকা দিয়ে থাকে।
ভাইফোঁটার দিন বোনরা ভাইকে সুন্দর করে সাজাবে। তারপর কাজলের টিকা চোখে স্পর্শ করিয়ে ধান, দূর্বা দিয়ে ভাইয়ের দীর্ঘ জীবন কামনা করে আশীর্বাদ করবে। যাদের বোন নেই তারা কাকাতো কিংবা মামাত বোনদের কাছ থেকে ফোটা নিয়ে এই উৎসব পালন করতে পারেন।

এই উৎসবের আরও একটি নাম হল যমদ্বিতীয়া। কথিত আছে, এই দিন মৃত্যুর দেবতা যম তার বোন যমুনার হাতে ফোঁটা নিয়েছিলেন। অন্য মতে, নরকাসুর নামে এক দৈত্যকে বধ করার পর যখন কৃষ্ণ তার বোন সুভদ্রার কাছে আসেন, তখন সুভদ্রা তার কপালে ফোঁটা দিয়ে তাকে মিষ্টি খেতে দেন। সেই থেকে ভাইফোঁটা উৎসবের প্রচলন হয়।