হাওর বার্তা ডেস্কঃ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, মির্জা ফখরুলরা সরকার বিদায়ের সাইরেন শুনতে পাচ্ছেন। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে ভালো থাকা বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ তা শুনতে পান না। তাই তারা বিএনপির ষড়যন্ত্রের রাজনীতিকে প্রত্যাখ্যান করেছে।
তারা লাশের ওপর ভর করে ক্ষমতায় যেতে চায়। আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের রাজপথে ধৈর্য, দায়িত্বশীলতা ও সংযম দিয়ে তাদের মোকাবেলা করতে হবে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দেশের উন্নয়ন চোখে দেখেন না। অথচ তাঁর বাড়ি যাওয়ার পথে সিরাজগঞ্জ থেকে রংপুর পর্যন্ত ৬ লেন মহাসড়কের উন্নয়ন কাজ চলছে। ইতিমধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। যা দিয়ে এখন যানবাহন চলাচল করছে। দক্ষিণাঞ্চলে কৃষি ক্ষেত্রে ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে। এ সেতু বিশ্বের কাছে আজ বিস্ময়। এ ছাড়া রাজধানীতে মেট্টোরেল, চট্টগ্রামে কর্ণফুলী টানেলসহ বিভিন্ন প্রকল্পের কাজ দেশে ব্যাপক উন্নয়নের নজির।
আজ শনিবার দুপুরে গাইবান্ধা জেলা আওয়ামি লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন ও কাউন্সিলে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি একথা বলেন।
৬ বছর পর অনুষ্ঠিত এই সম্মেলনকে ঘিরে গাইবান্ধা শাহ আবদুল হামিদ স্টেডিয়ামে শত শত নেতাকর্মী উপস্থিত হন। জাতীয় সঙ্গীতের সাথে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে সম্মেলনের উদ্বোধন করার পর এক ঝাঁক পায়রা উড়িয়ে দেওয়া হয়।
জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সৈয়দ শামসুল আলম হীরুর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আবু বকর সিদ্দিকের সঞ্চালনায় সম্মেলন উদ্বোধন করেন প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী রমেশ চন্দ্র সেন। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় সভাপতি মন্ডলির সদস্য সাবেক মন্ত্রী শাহজাহান খান, দলের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, কোষাধ্যক্ষ আশিকুর রহমান, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন শফিক, জাতীয় সংসদের হুইপ ও গাইবান্ধা সদর আসনের সংসদ সদস্য মাহাবুব আরা বেগম গিনিসহ কেন্দ্রীয় সদস্য ও সাবেক এমপি অ্যাড. হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়া, সফুরা বেগম রুমি, প্রকৌশলী মনোয়ার হোসেন চৌধুরী, অ্যাডভোকেট উম্মে কুলসুম স্মৃতি, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মাহমুদ হাসান রিপনসহ অন্যরা।
ওবায়দুল কাদের আরো বলেন, জাতীয় নির্বাচন বেশি দূরে নয়। কাজে কর্মে ও আচরণে দায়িত্বশীল হতে হবে। আওয়ামী লীগের কমিটি গঠন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, পকেট কমিটি গড়া চলবে না। সুসময়ের বসন্তের কোকিলরা দুঃসময়ে চলে যাবে। তাই ত্যাগী ও পরীক্ষিত নেতাকর্মীদের নেতৃত্বে আনতে হবে।
তিনি বলেন, বিশ্বজুড়ে অনেক সংকট। তবে তা রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধসহ বৈশ্বিক নানা কারণে সৃষ্টি হয়েছে। বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর বাবার মতো দেশের উন্নয়নের জন্য দেশের একপ্রান্ত থেকে আরেক প্রান্ত ছুটে বেড়াচ্ছেন। বাবার অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করছেন। তাই শেখ হাসিনা বাংলাদেশের দেশের জনগণের হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছেন। তিনি আজ বিশ্বমানের নেতা।
তিনি সকলকে বঙ্গবন্ধু কন্যার ওপর আস্থা রাখার আহ্বান জানিয়ে বলেন, তিনি তার প্রজ্ঞা দিয়ে পরিস্থিতি মোকাবেলা করছেন। খুব শিগগির স্বস্তি ফিরে আসবে।
সম্মেলন শেষে আবু বকর সিদ্দিককে সভাপতি ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজাম্মেল হককে সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা করে আংশিক কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। পরে পূর্ণাঙ্গ কমিটি দেওয়া হবে।