এ ব্যাপারে সালাহ উদ্দিন আহমেদের আইনজীবী জানান, আদালত সালাহ উদ্দিনকে প্রতি মাসে হাজিরা এবং শিলং না ছাড়ার শর্ত জামিন দিয়েছেন।
এর আগেও গত ২২ মে শিলংয়ের আদালতে উন্নত চিকিৎসার জন্য সালাহ উদ্দিনের পক্ষে জামিন আবেদন করেছিলেন তাঁর স্ত্রী হাসিনা আহমেদ। ওই আবেদন আদালত নামঞ্জুর করেছিলেন।
প্রসঙ্গত, গত ২৭ মে সালাহ উদ্দিন আহমেদকে ১৪ দিনের হেফাজতে নেন শিলংয়ের জেলা ও দায়রা জজ আদালত। আদালতের বিচারক কে এম এল নোংব্রি শুনানি শেষে তাঁকে রুটিন চেকআপ শেষে ১৪ দিনের বিচারিক হেফাজতে নেওয়ার আদেশ দেন। এরপর সালাহ উদ্দিনকে নেগ্রিমস হাসপাতালে নেওয়া হয়। বুকে ব্যথা থাকায় তাঁকে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে বিশেষ তত্ত্বাবধানে রাখা হয়। শারীরিক অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় তাঁকে হাসপাতালে পর্যবেক্ষণে রাখার পক্ষে মত দিয়েছেন চিকিৎসকরা। যদিও এর আগে ২৬ মে নেগ্রিমস হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সালাহ উদ্দিন আহমেদকে ছাড়পত্র দেয়। পরে তাঁকে পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হয়।
উল্লেখ্য, গত ১০ মার্চ উত্তরা থেকে নিখোঁজ থাকার ৬৩ দিন পর গত ১১ মে ভারতের মেঘালয়ের শিলংয়ে সালাহ উদ্দিনের সন্ধান মেলে। পরদিন ১২ মে সালাহ উদ্দিনকে শিলং সিভিল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এর আগের দিন তাঁকে উদ্ধার করে একটি মানসিক হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল। ওইদিনই বৈধ কাগজপত্র ছাড়া ভারতে প্রবেশ করায় ফরেনার্স অ্যাক্ট অনুযায়ী সালাহ উদ্দিনকে গ্রেপ্তার দেখায় মেঘালয় পুলিশ। এরপর সালাহ উদ্দিন আহমেদকে উন্নত চিকিৎসার জন্য শিলংয়ের নেগ্রিমস হাসপাতালে নেওয়া হয়।