ঢাকা ১১:০৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
ইউক্রেন-রাশিয়া শান্তিচুক্তি নিয়ে ট্রাম্পের কড়া হুঁশিয়ারি নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপ বাছাই গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে টস জিতে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ দিল্লিতে ভবন ধসে ৪ জনের মৃত্যু, ধ্বংসস্তূপে আটকা কয়েকজন বৃষ্টি কবে কমবে, জানাল আবহাওয়া অফিস পরীমনিকাণ্ডে বেনজীরের যোগ ছিল কিনা, যা বললেন নাসির কর্মীদের বিদেশ পাঠানোর ক্ষেত্রে ৮০ ভাগ সমস্যা দেশ থেকেই তৈরি: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা কওমি সনদ বাস্তবায়নের দায়িত্ব শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের : ধর্ম উপদেষ্টা টাইম ম্যাগাজিনে হিলারি ক্লিনটনের কলামে ড. ইউনূসকে নিয়ে প্রশংসা বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে সিরিজ দেখা যাবে যে চ্যানেলে টিপ-কাণ্ডে তিন বছর পর মামলা

সাব্বির হত্যা ঘুষ গ্রহণের অভিযোগের মামলায় তারেক রহমানসহ সব আসামি খালাস

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১২:০০:৩৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ মার্চ ২০২৫
  • ২১ বার

বসুন্ধরা গ্রুপের আইটি বিশেষজ্ঞ সাব্বির আহমেদ হত্যা মামলার আসামিদের বাঁচাতে ২১ কোটি টাকার ঘুষ দুর্নীতির মামলায় বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ সব আসামিকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত।

আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার ৩ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মুহা. আবু তাহের এ রায় ঘোষণা করেন।

মামলায় খালাসপ্রাপ্ত অপর আসামিরা হলেন, বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান ওরফে শাহ আলম, সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, তারেক রহমানের পিএস মিয়া নুর উদ্দিন অপু, আবু সুফিয়ান, কাজী সলিমুল হক কামাল।

মামলাটিতে ২০০৮ সালের ১৪ জুলাই প্রাক্তন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ আটজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত।

২০০৭ সালের ৪ অক্টোবর মামলাটি দায়ের করে দুদক। মামলাটিতে ২০০৮ সালের ২৪ এপ্রিল আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়।পরে ওই বছর ১৪ জুলাই আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন।

অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়, সাব্বির হত্যা মামলার ঘটনা ধামাচাপা দিতে তারেক, বাবর ও শাহ আলমের মধ্যে বাবরের বেইলি রোডের সরকারি বাসায় একটি বৈঠক হয়। বৈঠকে শাহ আলমের কাছে ১০০ কোটি টাকা দাবি করেন তারেক ও বাবর।

৫০ কোটি টাকার বিনিময়ে এই হত্যা রহস্য ধামাচাপা দেওয়ার জন্য তারেক ও বাবরের সঙ্গে শাহ আলমের চুক্তি হয়। চুক্তি অনুসারে শাহ আলমের কাছ থেকে বাবর ২১ কোটি টাকা গ্রহণ করেন।এ টাকার মধ্যে বাবরের নির্দেশে বসুন্ধরা গ্রুপের পরিচালক আবু সুফিয়ান ২০০৬ সালের ২০ আগস্ট হওয়া ভবনে ১ কোটি টাকা তারেকের পিএস অপুকে বুঝিয়ে দেন।

বাবর ৫ কোটি টাকা আবু সুফিয়ানের মাধ্যমে নগদ গ্রহণ করে কাজী সালিমুল হক কামালের কাছে জমা রাখেন। বাকি ১৫ কোটি টাকা বাবরের নির্দেশে আবু সুফিয়ান প্রাইম ব্যাংকের বিভিন্ন শাখায় সালিমুল হক কামালকে ২০টি চেকের মাধ্যমে দেন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

ইউক্রেন-রাশিয়া শান্তিচুক্তি নিয়ে ট্রাম্পের কড়া হুঁশিয়ারি

সাব্বির হত্যা ঘুষ গ্রহণের অভিযোগের মামলায় তারেক রহমানসহ সব আসামি খালাস

আপডেট টাইম : ১২:০০:৩৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ মার্চ ২০২৫

বসুন্ধরা গ্রুপের আইটি বিশেষজ্ঞ সাব্বির আহমেদ হত্যা মামলার আসামিদের বাঁচাতে ২১ কোটি টাকার ঘুষ দুর্নীতির মামলায় বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ সব আসামিকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত।

আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার ৩ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মুহা. আবু তাহের এ রায় ঘোষণা করেন।

মামলায় খালাসপ্রাপ্ত অপর আসামিরা হলেন, বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান ওরফে শাহ আলম, সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, তারেক রহমানের পিএস মিয়া নুর উদ্দিন অপু, আবু সুফিয়ান, কাজী সলিমুল হক কামাল।

মামলাটিতে ২০০৮ সালের ১৪ জুলাই প্রাক্তন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ আটজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত।

২০০৭ সালের ৪ অক্টোবর মামলাটি দায়ের করে দুদক। মামলাটিতে ২০০৮ সালের ২৪ এপ্রিল আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়।পরে ওই বছর ১৪ জুলাই আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন।

অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়, সাব্বির হত্যা মামলার ঘটনা ধামাচাপা দিতে তারেক, বাবর ও শাহ আলমের মধ্যে বাবরের বেইলি রোডের সরকারি বাসায় একটি বৈঠক হয়। বৈঠকে শাহ আলমের কাছে ১০০ কোটি টাকা দাবি করেন তারেক ও বাবর।

৫০ কোটি টাকার বিনিময়ে এই হত্যা রহস্য ধামাচাপা দেওয়ার জন্য তারেক ও বাবরের সঙ্গে শাহ আলমের চুক্তি হয়। চুক্তি অনুসারে শাহ আলমের কাছ থেকে বাবর ২১ কোটি টাকা গ্রহণ করেন।এ টাকার মধ্যে বাবরের নির্দেশে বসুন্ধরা গ্রুপের পরিচালক আবু সুফিয়ান ২০০৬ সালের ২০ আগস্ট হওয়া ভবনে ১ কোটি টাকা তারেকের পিএস অপুকে বুঝিয়ে দেন।

বাবর ৫ কোটি টাকা আবু সুফিয়ানের মাধ্যমে নগদ গ্রহণ করে কাজী সালিমুল হক কামালের কাছে জমা রাখেন। বাকি ১৫ কোটি টাকা বাবরের নির্দেশে আবু সুফিয়ান প্রাইম ব্যাংকের বিভিন্ন শাখায় সালিমুল হক কামালকে ২০টি চেকের মাধ্যমে দেন।