কিভাবে চলছে উচ্চশিক্ষা

হাওর বার্তা ডেস্কঃ জনসংখ্যা অনুপাতে দেশে উচ্চশিক্ষার চাহিদার তলনায় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে আসন সংখ্যা অপর্যাপ্ত। এই বাস্তবতায় উচ্চশিক্ষা সম্প্রসারণে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের যাত্রা শুরু হয় ১৯৯২ সালে। কিন্তু ৩০ বছর পরেও মানসম্মত উচ্চশিক্ষা নিশ্চিত করতে পারেনি বেশিরভাগ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়। শীর্ষ পদ শূণ্য রাখা, প্রয়োজনের তুলনায় কম সংখ্যক শিক্ষক, খণ্ডকালীন দিয়ে চালিয়ে নেয়া, অনুমোদন ছাড়া প্রোগ্রাম পরিচালনা, ফ্ল্যাট বাসা কিংবা ভাড়া করা ভবনে চলছে পাঠদান। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রমের সার্বিক তত্ত্বাবধান করে থাকেন ভিসি, প্রো-ভিসি ও ট্রেজারার। বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট, একাডেমিক কমিটি, অর্থ কমিটি ও শৃঙ্খলা কমিটির মতো গুরুত্বপূর্ণ সব কমিটির সভাপতির দায়িত্ব পালন করতে হয়ে ভিসিকে। তার মাধ্যমেই এসব কমিটির সদস্য মনোনীত, ডীন, বিভাগীয় প্রধান নিয়োগ দেয়ার বিধান রয়েছে। কিন্তু যাদের মাধ্যমে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালিত হবে সেই শীর্ষ পদগুলোই থাকছে দীর্ঘ সময় ধরে ফাঁকা। একটি দুটি নয়, তিনটি পদই ফাঁকা রয়েছে এমন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যাও কম নয়। ভিসি ছাড়াই শিক্ষা কার্যক্রম চলছে ৩৯টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম। প্রো-ভিসি নেই ৭২টিতে আর ট্রেজারার ছাড়া চলছে ৪৩টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়।

 কোন কোনটিতে আবার শুধু ভিসি, প্রো-ভিসি বা ট্রেজারারের মাধ্যমে জোড়াতালি দিয়ে চালিয়ে নেওয়া হচ্ছে প্রশাসনিক ও একাডেমিক কার্যক্রম। অথচ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন ২০১০ অনুসারে প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়েই ভিসি, প্রো-ভিসি ও ট্রেজারার পদে পূর্ণকালীন নিয়োগ দেয়া বাধ্যতামূলক। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর এই করুণ চিত্র দেখে অবাক হয়েছেন শিক্ষাবিদেরাও। তাদের প্রশ্ন, শীর্ষ পদগুলো ফাঁকা রেখে বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো প্রতিষ্ঠানে কিভাবে চলে শিক্ষা কার্যক্রম? আর শিক্ষার্থীরাও কিভাবে এসব প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হচ্ছে? শিক্ষাদান নয়, মুনাফার উদ্দেশ্য নিয়ে চলা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো পরিচালনা ব্যয় কমানোর জন্যই শীর্ষ পদগুলো ফাঁকা রেখে পরিচালিত হচ্ছে বলে তারা মনে করেন।
 শিক্ষাবিদরা বলছেন, উচ্চশিক্ষার অভিভাবক প্রতিষ্ঠান বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে মানসম্মত শিক্ষা, গবেষণা কার্যক্রমের বিস্তার, বাস্তব অবস্থা পর্যালোচনা, নীতি নির্ধারণ, পরিকল্পনা প্রণয়ন এবং বাস্তবায়ন করার কথা প্রতিষ্ঠানটির। বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাদেশ ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইনের আলোকে উচ্চশিক্ষা কার্যক্রম তদারকির পাশাপাশি আইন লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর হবে কমিশন। কিন্তু বাস্তবে সকর্ত করা এবং কেবল সুপারিশ করেই দায় সারছে উচ্চ শিক্ষার নিয়ন্ত্রক সংস্থা। যদিও কমিশনের দেয়া সেই সুপারিশ ও দিকনির্দেশনাও আমলে নিচ্ছে না কেউই। ফলে প্রত্যেক বছরই ঘটছে একই ধরণের অনিয়ম, আইনের লঙ্ঘন।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বড় অঙ্কের বেতনের খরচ বাঁচাতে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মালিকপক্ষ শীর্ষ পদগুলো খালি রেখে জোড়াতালি দিয়ে কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। ফলে এসব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার মান তলানিতে নামছে। উচ্চশিক্ষা দানের পরিবর্তে এসব বিশ্ববিদ্যালয়গুলো সনদ বিক্রির ব্যবসায় নেমেছে বলে অনেকের অভিযোগ। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের তথ্য অনুযায়ি, বর্তমানে দেশে অনুমোদিত ১০৯টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। এর মধ্যে শিক্ষা কার্যক্রমে রয়েছে ১০৩টি। ইউজিসির ২১ আগস্টের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ভিসি ছাড়াই শিক্ষা কার্যক্রম চলছে ৩৯টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম। প্রো-ভিসি নেই ৭২টিতে আর ট্রেজারার ছাড়া চলছে ৪৩টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়। এর মধ্যে রয়েছে- ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি চিটাগং (ইউএসটিসি), সেন্ট্রাল ইউমেন্স ইউনিভার্সিটি, আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি-বাংলাদেশ (এআইইউবি), পিপলস ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি, ইউনিভার্সিটি অব ডেভেলপমেন্ট অলটারনেটিভ, মিলেনিয়াম ইউনিভার্সিটি, ইউনিভার্সিটি অব সাউথ এশিয়া, ভিক্টোরিয়া ইউনিভার্সিটি, ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটি, ফার্স্ট ক্যাপিটাল ইউনিভার্সিটি, ব্রিটানিয়া ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব হেলথ সায়েন্সেস, চিটাগং ইন্ডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি, জার্মান ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ, সিসিএন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, এনপিআই ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ।

ইউজিসির সর্বশেষ প্রতিবেদনে দেখা যায়, ৯৬ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২০ সালে মোট শিক্ষক ছিলেন ১৫ হাজার ২৭৭ জন, যাদের মধ্যে খণ্ডকালীন ৩ হাজার ২৭১ জন এবং ১১ হাজার ৫৫০ জন স্থায়ী। অন্যান্য রয়েছে ২৭৬ জন। এদের মধ্যে পিএইচডি ডিগ্রিধারী রয়েছেন ২ হাজার ৯৫০ জন। স্থায়ী প্রফেসর ৮৪১ জন, সহযোগী অধ্যাপক ৮৪৫ জন, সহকারী অধ্যাপক ২ হাজার ৯৫৪ জন, লেকচারার ৬ হাজার ৯১০ জন। অন্যদিকে খণ্ডকালীন প্রফেসর ১ হাজার ৩২ জন, সহযোগী অধ্যাপক ৫০৯ জন, সহকারী অধ্যাপক ৪৬৬ জন এবং লেকচারার ১ হাজার ২৬৪ জন।

ইউজিসির পক্ষ থেকে বলা হয়, বাংলাদেশে এই মূহূর্তে ৪৫ লাখের মতো উচ্চশিক্ষার্থী আছেন। যেহেতু সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা কম, তাই প্রয়োজনের তাগিদেই বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। কিন্তু যেভাবে এগুলো চলছে তাতে শিক্ষার মান অর্জিত হচ্ছে না। শুধু সনদধারী গ্র্যাজুয়েট সৃষ্টি হচ্ছে। এতে চাকরি বাজারে এরা উপেক্ষিত হচ্ছে। ফলে দেশের শ্রমবাজারে বিদেশিরা জায়গা করে নিচ্ছেন।

সূত্র জানায়, কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে সনদবাণিজ্যের অভিযোগ রয়েছে। কিছু ক্ষেত্রে এর প্রমাণও পাওয়া গেছে। টাকার বিনিময়ে সনদ বিক্রির অন্যতম হোতা আমেরিকা-বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি। তারা ভুয়া পিএইচডি ডিগ্রিও বিক্রি করেছে বলে সূত্র নিশ্চিত করেছে। ট্রাস্টি বোর্ড নিয়ে বিরোধ তুঙ্গে ইবাইস ইউনিভার্সিটি ও দি ইউনিভার্সিটি অব কুমিল্লার। তাদের বিরুদ্ধেও সনদ বিক্রির অভিযোগ আছে। এগুলোতে শিক্ষার ন্যূনতম পরিবেশ নেই। এ তিন বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধের সুপারিশ করবে ইউজিসি।

সনদবাণিজ্যের অভিযোগ রয়েছে ভিক্টোরিয়া ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ, ইউনিভার্সিটি অব সাউথ এশিয়া, রয়্যাল ইউনিভার্সিটি অব ঢাকাসহ আরও কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে। শিক্ষার্থী না থাকলেও এসব বিশ্ববিদ্যালয়ের সনদ অনেকের কাছেই রয়েছে। বিশেষ করে যারা বিদেশে যান তাদের অনেকেরই রয়্যাল ইউনিভার্সিটি অব ঢাকার সনদ রয়েছে। ট্রাস্টি বোর্ড নিয়ে চরম দ্বন্দ্বে রয়েছে কক্সবাজার ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি।

শিক্ষার ন্যূনতম পরিবেশ, প্রয়োজনীয় অবকাঠামো (ক্লাসরুম ও ল্যাবরেটরি), এমনকি শিক্ষকও নেই জার্মান ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ, রাজশাহী সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি ইউনিভার্সিটি, টাইমস ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ, ফার্স্ট ক্যাপিটাল ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ, ফেনী ইউনিভার্সিটিতে। বেশির ভাগের পরিবেশ কোচিং সেন্টারের মতো। আশা ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ, বাংলাদেশ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় সংকটে জর্জরিত। তারা এগোতে পারছে না কোনোভাবে। প্রয়োজনীয় শিক্ষক ও শিক্ষার্থী নেই।

অননুমোদিত ক্যাম্পাস/ভবনে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করছে ভিক্টোরিয়া ইউনিভার্সিটি, ইউনিভার্সিটি অব ডেভেলপমেন্ট অল্টারনেটিভ (ইউডা), সাউথইস্ট ইউনিভার্সিটি, প্রেসিডেন্সি ইউনিভার্সিটি। আর অনুমোদন ছাড়াই প্রোগ্রাম চালাচ্ছে বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়। এর মধ্যে- নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন হতে শুধুমাত্র ব্যাচেলর অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (বিবিএ) প্রোগ্রামের অনুমোদন নিয়েছে। কিন্তু এই প্রোগ্রামের আড়ালে বিশ্ববিদ্যালয়টি আইনের ব্যত্যয় ঘটিয়ে অবৈধভাবে বিবিএ ইন জেনারেল বিবিএ, বিবিএ ইন হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট (এইচআরএম), বিবিএ ইন ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস, বিবিএ ইন মার্কেটিং, বিবিএ ইন ম্যানেজমেন্ট, বিবিএ ইন ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেমস, বিবিএ ইন অ্যাকাউন্টিং, বিবিএ ইন ইকোনমিক্স, বিবিএ ইন এন্টারপ্রেনারশিপ, বিবিএ ইন সাপ্লাই চেইন ম্যানেজমেন্ট প্রোগ্রাম পরিচালননা করছে। এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অনুমোদ ছাড়া এমবিএ এক্সিকিউটিভ এন্ড এমবিএ ইভিনিং নামে দুটি প্রোগ্রাম পরিচালনা করছে। বিশ্ববিদ্যালয়টিতে দীর্ঘ ৯ বছর ধরে চ্যান্সেলর নিযুক্ত কোন কর্তৃপক্ষ নেই এবং এমবিএ প্রোগ্রামটিতে প্রতিবছর আসন সংখ্যার চেয়ে অতিরিক্ত শিক্ষার্থী ভর্তি করাচ্ছে। দি পিপল’স ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ এর প্রতিষ্ঠাকালীন সময় হতে অদ্যাবধি চ্যান্সেলর নিযুক্ত ট্রেজারার নিয়োগ করেনি। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়টিতে ভিসির মেয়াদ শেষ হয়েছে গতবছরের ২৬ নভেম্বর। এখন পর্যন্ত সেই বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন করে ভিসি নিয়োগ দেয়া হয়নি, নেই প্রো-ভিসিও।

ইউজিসির তথ্য অনুযায়ী, প্রস্তাবিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যূন ২৫ হাজার বর্গফুট আয়তনবিশিষ্ট নিজস্ব বা ভাড়াকৃত ভবনে পর্যাপ্ত সংখ্যক শ্রেণিকক্ষ, লাইব্রেরি, ল্যাবরেটরি, সেমিনার কক্ষ, অফিস কক্ষ, ছাত্রছাত্রীদের পৃথক কমন রুম এবং প্রয়োজনীয় অন্যান্য কক্ষের পর্যাপ্ত স্থান ও অবকাঠামো থাকতে হবে। প্রতিষ্ঠার ১২ বছর পর চলে যেতে হবে স্থায়ী ক্যাম্পাসে। নির্ধারিত সময় পার হওয়ার পরও এখনো অন্তত ২৫টি বিশ্ববিদ্যালয় ভাড়া বাড়িতে আছে। আবার ব্র্যাক, সাউথইস্ট, সিটিসহ বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় স্থায়ী ক্যাম্পাসের সাথে ঢাকায় একাধিক ভবনে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করছে। অবশ্য আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে এসব বিশ্ববিদ্যালয়কে স্থায়ী ক্যাম্পাসে যেতে আলটিমেটাম দিয়েছে ইউজিসি।

ইউজিসির বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বিভাগের সদস্য প্রফেসর বিশ্বজিৎ চন্দ বলেন, যেসব বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিসি, প্রো-ভিসি, ট্রেজারার এবং পর্যাপ্ত শিক্ষক নেই সেসব বিশ্ববিদ্যালয়ের বিষয়ে খোঁজ-খবর নেয়া হচ্ছে, কোন কোনটির বিষয়ে তদন্ত চলছে। আমাদের প্রতিনিধি পরিদর্শনে যাচ্ছে, প্রতিবেদন দিচ্ছে। তবে লোকবল সঙ্কট থাকার কারণে অনেক কাজই নির্ধারিত সময়ে, প্রয়োজনীয় গতিতে হচ্ছে না।

তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনায় কর্তৃপক্ষ, পর্যাপ্ত শিক্ষক নিয়োগ না দিলে মানসম্পন্ন শিক্ষা আশা করা যায় না। এজন্য এখন আমরা যেকোন প্রোগ্রাম অনুমোদন দেয়ার আগে খোঁজ নিচ্ছি প্রয়োজনীয় সংখ্যক শিক্ষক ও অবকাঠামো আছে কিনা। সেটি নিশ্চিত হওয়ার পরই অনুমোদন দেয়া হচ্ছে। শিক্ষক সংখ্যা যাতে বাড়ানো হয় এজন্য একজন শিক্ষককে ৪টির বেশি কোর্স না দিতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়গুলো যাতে স্থায়ী ক্যাম্পাসে চলে যায় এজন্য ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় দেয়া হয়েছে। যারা এই সময়ের মধ্যে যেতে পারবে না তাদের অতিরিক্ত ক্যাম্পাস বা শাখাকে অবৈধ ঘোষণা করা হবে। #

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর