হাওর বার্তা ডেস্কঃ শিশুকে সফলভাবে মায়ের দুধ খাওয়াতে পারিবারিক সহায়তার পাশাপাশি সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মক্ষেত্রে উপযোগী পরিবেশ তৈরি করার আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। আজ রবিবার (৭ আগস্ট) বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহ ২০২২ উপলক্ষে দেওয়া বাণীতে এ কথা বলেন তিনি।
রাষ্ট্রপতি বলেন, বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও ‘বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহ ২০২২’ উদ্যাপিত হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। এ বছরের বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহের প্রতিপাদ্য ‘Step up for Breastfeeding, Education and Support’ অর্থাৎ ‘মাতৃদুগ্ধ পান এগিয়ে নিতে, শিক্ষা ও সহযোগিতা হবে বাড়াতে’ অত্যন্ত যথার্থ হয়েছে বলে আমি মনে করি।
তিনি বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশে শিশুকে ৬ মাস পর্যন্ত শুধু মায়ের দুধ খাওয়ানোর হার ৬৫ শতাংশ এবং ২০২৫ সালের মধ্যে এই হার ৭০ শতাংশে উন্নীত করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে নিয়মিত প্রচার-প্রচারণা অব্যাহত রাখার পাশাপাশি মায়েদের উদ্বুদ্ধ করতেও উদ্যোগী হতে হবে।
আবদুল হামিদ বলেন, শিশুর সুষ্ঠু শারীরিক বৃদ্ধি ও মানসিক বিকাশের ক্ষেত্রে মায়ের দুধের বিকল্প নেই। শিশুদের বাজারে প্রচলিত বিকল্প শিশুখাদ্য প্রদানের ক্ষেত্রেও যথাযথ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। মাতৃদুগ্ধের বিকল্প খাদ্যের প্রচারণা নিয়ন্ত্রণে সরকার ‘মাতৃদুগ্ধ বিকল্প, শিশুখাদ্য, বাণিজ্যিকভাবে প্রস্তুতকৃত শিশুর বাড়তি খাদ্য ও উহা ব্যবহারের সরঞ্জামাদি (বিপণন নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০১৩’ ও এ সংক্রান্ত বিধিমালা ২০১৭ প্রণয়ন করেছে। বর্তমানে বাংলাদেশে বিভিন্ন পেশায় নারীর অংশগ্রহণ ক্রমান্বয়ে বাড়ছে। সরকার শিশুকে সফলভাবে মায়ের দুধ খাওয়ানোর নিশ্চয়তা প্রদানের জন্য ছয় মাস বেতনসহ মাতৃত্বকালীন ছুটির বিধান করেছে। আমি আশা করি, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোও এ বিধান প্রতিপালনে আরো যত্নশীল হবে।
তিনি বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশে বিভিন্ন পেশায় নারীর অংশগ্রহণ ক্রমান্বয়ে বাড়ছে। সরকার শিশুকে সফলভাবে মায়ের দুধ খাওয়ানোর নিশ্চয়তা প্রদানের জন্য ছয় মাস বেতনসহ মাতৃত্বকালীন ছুটির বিধান করেছে। তিনি আশা প্রকাশ করেন, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোও এ বিধান প্রতিপালনে আরো যত্নশীল হবে। দেশে মাতৃদুগ্ধ প্রদানের হার বাড়াতে পরিবারের পাশাপাশি কর্মক্ষেত্রেও নারীকে মাতৃদুগ্ধ দানে সহায়তা প্রদান অত্যনত জরুরি।
আমি ‘বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহ ২০২২’ উপলক্ষে গৃহীত কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করছি।