ঢাকা ১১:১৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিশ্বের সবচেয়ে খাটো পুরুষ

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৭:৩১:০০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ মে ২০২২
  • ২৫০ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ দেশভেদে মানুষের গড় উচ্চতার পরিমাপ একেক রকম হয়ে থাকে। বাঙালিদের ক্ষেত্রে এক রকম তো কোরিয়া, জাপান কিংবা আফ্রিকার মানুষের অন্য রকম। এই রকমফেরের অনেক কারণ রয়েছে। জিনগত, খাদ্যাভ্যাস, আবহাওয়া, জলবায়ু এর প্রধান কারণ। তবে বিশ্বে এমন কিছু মানুষ রয়েছেন যাদের উচ্চতা এসব গড় উচ্চতার অনেক বেশি এবং অনেক কম।

এই ভিন্নতার কারণে তারা জায়গা করে নেন গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে। সম্প্রতি বিশ্বের সবচেয়ে খাটো পুরুষের রেকর্ডসটি ডোর বাহাদুর খাপাঙ্গিরের। নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুতে পরিবারের সঙ্গে বাস করেন। ২০০৪ সালের ১৪ নভেম্বর তার জন্ম। বর্তমানে তার বয়স ১৭ বছর।

 

খাপাঙ্গির গড় উচ্চতা ৭৩.৪৩ সেমি বা ২ ফুট ৪.৯ ইঞ্চি। এ বছর ২৩ মার্চ কাঠমান্ডুতে গিনেস রেকর্ডসের জন্য তার মাপ নেওয়া হয়। এরপর খাপাঙ্গিকে নেপাল ট্যুরিজম বোর্ডের সিইও ধনঞ্জয় রেগমি তার গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডের প্রশংসাপত্রটি পৌঁছে দেন।

খাপাঙ্গির বাবা একজন কৃষক। মা সাধারণ গৃহিণী। ভাইবোনের সঙ্গে নেপালের রাজধানী থেকে প্রায় ১৩০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে সিন্ধুলি জেলায় বসবাস করছেন তিনি।

খাপাঙ্গি গ্রামের স্কুলে পড়ছেন। জন্মের সময় অন্য দশটি সাধারণ শিশুর মতোই ছিলেন খাপাঙ্গি। কিন্তু তার বয়স যখন সাত বছর তার পর থেকে তার উচ্চতা আর বাড়েনি। তার বয়সী অন্য বাচ্চারা বড় হলেও খাপাঙ্গির উচ্চতা সেখানেই থেমে গেছে।

 

এর আগে সবচেয়ে খাটো জীবিত কিশোরের (পুরুষ) খেতাবটি খগেন্দ্র থাপা মাগারের দখলে ছিল। তিনিও নেপালের বাসিন্দা ছিলেন। ১৯৯২ সালের অক্টোবরে জন্মগ্রহণ করেন খগেন্দ্র। তার উচ্চতা ছিল মাত্র ৬৫.৫৮ সেমি বা ২ ফুট ১.৮ ইঞ্চি। ২০২০ সালের মাত্র ২৭ বছর বয়সে মারা যান খগেন্দ্র।

এছাড়াও বিশ্বের সবচেয়ে খাটো নারী জ্যোতি আমগের উচ্চতা মাত্র দশমিক ৬৩ মিটার। গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড অনুযায়ী তিনিই বিশ্বের সবচেয়ে খাটো জীবিত নারী। জ্যোতি ভারতের বাসিন্দা।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

বিশ্বের সবচেয়ে খাটো পুরুষ

আপডেট টাইম : ০৭:৩১:০০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ মে ২০২২

হাওর বার্তা ডেস্কঃ দেশভেদে মানুষের গড় উচ্চতার পরিমাপ একেক রকম হয়ে থাকে। বাঙালিদের ক্ষেত্রে এক রকম তো কোরিয়া, জাপান কিংবা আফ্রিকার মানুষের অন্য রকম। এই রকমফেরের অনেক কারণ রয়েছে। জিনগত, খাদ্যাভ্যাস, আবহাওয়া, জলবায়ু এর প্রধান কারণ। তবে বিশ্বে এমন কিছু মানুষ রয়েছেন যাদের উচ্চতা এসব গড় উচ্চতার অনেক বেশি এবং অনেক কম।

এই ভিন্নতার কারণে তারা জায়গা করে নেন গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে। সম্প্রতি বিশ্বের সবচেয়ে খাটো পুরুষের রেকর্ডসটি ডোর বাহাদুর খাপাঙ্গিরের। নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুতে পরিবারের সঙ্গে বাস করেন। ২০০৪ সালের ১৪ নভেম্বর তার জন্ম। বর্তমানে তার বয়স ১৭ বছর।

 

খাপাঙ্গির গড় উচ্চতা ৭৩.৪৩ সেমি বা ২ ফুট ৪.৯ ইঞ্চি। এ বছর ২৩ মার্চ কাঠমান্ডুতে গিনেস রেকর্ডসের জন্য তার মাপ নেওয়া হয়। এরপর খাপাঙ্গিকে নেপাল ট্যুরিজম বোর্ডের সিইও ধনঞ্জয় রেগমি তার গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডের প্রশংসাপত্রটি পৌঁছে দেন।

খাপাঙ্গির বাবা একজন কৃষক। মা সাধারণ গৃহিণী। ভাইবোনের সঙ্গে নেপালের রাজধানী থেকে প্রায় ১৩০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে সিন্ধুলি জেলায় বসবাস করছেন তিনি।

খাপাঙ্গি গ্রামের স্কুলে পড়ছেন। জন্মের সময় অন্য দশটি সাধারণ শিশুর মতোই ছিলেন খাপাঙ্গি। কিন্তু তার বয়স যখন সাত বছর তার পর থেকে তার উচ্চতা আর বাড়েনি। তার বয়সী অন্য বাচ্চারা বড় হলেও খাপাঙ্গির উচ্চতা সেখানেই থেমে গেছে।

 

এর আগে সবচেয়ে খাটো জীবিত কিশোরের (পুরুষ) খেতাবটি খগেন্দ্র থাপা মাগারের দখলে ছিল। তিনিও নেপালের বাসিন্দা ছিলেন। ১৯৯২ সালের অক্টোবরে জন্মগ্রহণ করেন খগেন্দ্র। তার উচ্চতা ছিল মাত্র ৬৫.৫৮ সেমি বা ২ ফুট ১.৮ ইঞ্চি। ২০২০ সালের মাত্র ২৭ বছর বয়সে মারা যান খগেন্দ্র।

এছাড়াও বিশ্বের সবচেয়ে খাটো নারী জ্যোতি আমগের উচ্চতা মাত্র দশমিক ৬৩ মিটার। গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড অনুযায়ী তিনিই বিশ্বের সবচেয়ে খাটো জীবিত নারী। জ্যোতি ভারতের বাসিন্দা।