নিউমার্কেটে সংঘর্ষ: ঢাকা কলেজের ৫ শিক্ষার্থী গ্রেফতার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ রাজধানীর নিউমার্কেটে ব্যবসায়ী ও দোকানকর্মীদের সঙ্গে ঢাকা কলেজ শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের সময় হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)।

ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে বৃহস্পতিবার (২৮ এপ্রিল) দুপুরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান ডিবির অতিরিক্ত কমিশনার এ কে এম হাফিজ আক্তার।

তিনি বলেন, গ্রেফতার সবাই ঢাকা কলেজের ছাত্র।

নিউমার্কেটে সংঘর্ষের ঘটনায় দুটি হত্যা মামলাসহ পাঁচটি মামলা করা হয়। এর মধ্যে পুলিশের দুই মামলায় ২৪ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতপরিচয় এক হাজার ২০০ জনকে আসামি করা হয়। এজাহারে নাম উল্লেখ করা ২৪ আসামির সবাই নিউ মার্কেট থানা বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতা। এর মধ্যে প্রধান আসামি করা হয় মকবুল হোসেনকে। এর বাইরে নিহত নাহিদ ও মোরসালিনের পরিবার পৃথক দুটি মামলা করেছে। এছাড়া অ্যাম্বুলেন্স ভাঙচুরের ঘটনায় একটি মামলা করেছে এর মালিক মো. সুজন।

মকবুল হোসেনকে এই মামলায় আসামি করা প্রসঙ্গে পুলিশের নিউমার্কেট অঞ্চলের অতিরিক্ত উপকমিশনার শাহেনশাহ মাহমুদ বলেন, গোয়েন্দা তথ্য ও সাক্ষ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে এজাহারে আসামিদের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ওয়েলকাম ও ক্যাপিটাল নামে যে দুটি ফাস্ট ফুড দোকানের কর্মচারীর মধ্যে বিরোধের জেরে সংঘর্ষের সূত্রপাত, সেই দোকান দুটি ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন থেকে বরাদ্দ নিয়েছিলেন মকবুল হোসেন। পরে দোকান দুটি তিনি ভাড়া দেন।
মামলা হওয়ার পর এক প্রতিক্রিয়া বৃহস্পতিবার (২১ এপ্রিল) মকবুল হোসেন বলেন, গত চার মাস আমি ওই এলাকাতেই যাইনি। ইটপাটকেল নিক্ষেপ, জখম, ভাঙচুরের প্রশ্নই আসে না। নব্বইয়ের দশকে আমি সিটি করপোরেশন থেকে দোকান দুটি ভাড়া নিই।

এই মামলায় নাম উল্লেখ করা অন্য আসামিরা হলেন- আমির হোসেন আলমগীর, মিজান, টিপু, হাজি জাহাঙ্গীর হোসেন পাটোয়ারী, হাসান জাহাঙ্গীর মিঠু, হারুন হাওলাদার, শাহ আলম শন্টু, শহিদুল ইসলাম শহিদ, মিজান ব্যাপারী, আসিফ, রহমত, সুমন, জসিম, বিল্লাল, হারুন, হেহা, মনির, বাচ্চু, জুলহাস, মিঠু, মিন্টু ও বাবুল।

সোমবার রাত ১২টায় নিউমার্কেট ও ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা সংঘর্ষে জড়ান। পরদিন মঙ্গলবার দিনভর সংঘর্ষ চলে। ওই ঘটনায় এখন পর্যন্ত দুজনের মৃত্যু হয়েছে।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর