হাওর বার্তা ডেস্কঃ দিনাজপুরের হিলিতে বিদেশি জাতের গরু ও গাড়লের খামার করে এলাকায় আলোড়ন সৃষ্টি করেছেন মাহফিজুর রহমান বাবু নামে এক ব্যক্তি। তার এই উদ্যোগ দেখে এখন অন্যরাও খামার করতে উৎসাহী হয়ে উঠছেন।। তার খামার থেকে বিদেশি জাতের গরু এবং গাড়ল নিয়ে খামার তৈরি করছেন অনেকেই। আবার এই খামারে কাজ করে বেকারত্ব থেকে মুক্তি মিলেছে অনেক মানুষের।
মঙ্গলবার (১৯ এপ্রিল) বিকেলে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, হিলির সাতনি চারমাথায় ১০ বছর আগে মাত্র ৮টি বিদেশি ফ্রিজিয়ান জাতের গরু দিয়ে খামার শুরু করেন বাবু। পরে তার খামারে ১০০টির বেশি গরু হয়। পর্যায়ক্রমে খামার থেকে তিনি গরু বিক্রি করতে শুরু করেন। বর্তমান তার খামারে প্রায় ৫৫ টি গরু আছে।
দুই বছর আগে গরুর খামারের পাশাপাশি ১০টি গাড়ল দিয়ে তিনি আরো একটি খামার শুরু করেন। বর্তমান এই খামারে ৭০টি গাড়ল রয়েছে।
জানা গেছে, খামার দুইটি দেখভালের জন্য রয়েছে ১৬ জন শ্রমিক। প্রতিদিন হাজিরা হিসেবে তাদের দেওয়া হয় জনপ্রতি ৩০০ টাকা করে। এই মজুরি দিয়ে শ্রমিকরা তাদের সংসার চলান সুন্দরভাবে।
খামারে কাজ করা কয়েকজন শ্রমিক বলেন, আমরা শুরু থেকে বাবু ভাইয়ের গরু ও গাড়ল খামারে কাজ করছি। সারাদিন কাজ করি। কাজ করে পারিশ্রমিক হিসেবে যে টাকা পাই তাই দিয়ে আমাদের সংসার ভালোভাবে চলে যাচ্ছে।
খামারি মাহফিজুর রহমান বাবু বলেন, ‘প্রায় ১০ বছর আগে শখের বশে ৮টি উন্নতমানের ফ্রিজিয়ান জাতের গরু দিয়ে খামরা শুরু করি। পরে তা থেকে ১০০টির বেশি গরু হয়। বিভিন্ন সময় গরুগুলো বিক্রি করেছি। এতে অনেক টাকা মুনাফা পাই। বর্তমান খামারে আমার ৫৫টি গরু আছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘নিজেকে স্বাবলম্বী করতে দুই বছর ধরে গরুর পাশাপাশি ভেড়া ও গাড়লের খামার করছি। বর্তমানে এখানে ৭০ ভেড়া ও গাড়ল রয়েছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘আমার খামার দেখে এলাকার অনেক বেকার যুবক খামার করতে আগ্রহী হয়ে উঠছেন। আমি তাদের সব ধরনের পরামর্শ দিয়ে সহায়তা দিয়ে যাচ্ছি।’
হাকিমপুর প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা বলেন, ‘হিলি ভারত সীমান্তবর্তী এলাকা। এখানে অনেক উদ্যোক্তা রয়েছে। বর্তমানে এই উপজেলায় ৩০০টি গরু, ২৮০ টি ছাগল ও ১৫০টির মতো মুরগীর খামার রয়েছে। আমরা প্রতিনিয়ত এসব খামারিদের সেবা দিয়ে আসছি।’
তিনি আরো বলেন, ‘মাহফিজুর রহমান বাবুর একটি ফ্রিজিয়ান জাতের গরুর খামার আছে। পাশাপাশি তিনি গাড়লের খামার দিয়েছেন। বাবু একজন সফল খামারি। তার খামার দেখে অনেকেই নতুন খামার দেওয়ার জন্য আগ্রহী হয়ে উঠছেন। আমরা প্রতিনিয়ত তার দুইটি খামার পরিদর্শন করি এবং প্রয়োজন অনুযায়ী পরামর্শ দিয়ে আসছি।’