হাওর বার্তা ডেস্কঃ গরুর খামারে ব্যাপক সফলতা পাওয়ার পাশাপাশি স্বাবলম্বী হয়েছেন কুড়িগ্রাম ভূরুঙ্গামারীর বঙ্গসোনাহাট ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী কামারটারী গ্রামের রসুল উদ্দিন।
দুটি দেশী জাতের গাভী কিনে লালন পালন শুরু করলেও বর্তমানে তার খামারে শাহীওয়াল জাতের গাভী ও বাছুরসহ ১৯টি গরু রয়েছে। গরুগুলোর বর্তমান বাজার মূল্য ৩০ লাখ টাকা।
জানা যায়, ১৯৯৩ সালের দিকে দুটি দেশী জাতের গাভী কিনে লালন পালন শুরু করেন। দুই বছর পর ৪ হাজার ৮০০ টাকা দিয়ে তিনি একটি শাহীওয়াল ও একটি ফ্রিজিয়ান জাতের এঁড়ে বাছুর কিনে মোটাতাজাকরণ শুরু করেন।
পরবর্তীতে খামারের আয় দিয়ে ২০১৬ সালে তিনি প্রায় ৩৫ লাখ টাকা মূল্যের ছয় বিঘা জমি কেনেন। এছাড়া প্রায় দশ লাখ টাকা দিয়ে তিন কক্ষ বিশিষ্ট একটি টিনশেড পাকা বাড়ি নির্মাণ করেন।
রসুল উদ্দীন জানান, গাভীগুলো দৈনিক দুই বেলা দোহন করা হয়। প্রতিটি গাভী ১০ থেকে ২০ লিটার দুধ দেয়। দৈনিক ১১০ থেকে ১২০ লিটার দুধ বিক্রি করেন তিনি। এতে দৈনিক সাড়ে ৫ হাজার থেকে ৬ হাজার টাকা আসে। এছাড়া প্রতি বছর তিনি গড়ে প্রায় ১০ লাখ টাকার গরু বিক্রি করেন। তার খামারে দৈনিক চারজন লোক কাজ করেন।
ভূরুঙ্গামারী উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা: শামীমা আক্তার বলেন, রসুল উদ্দিন একজন আদর্শ খামারী। তিনি শূন্য থেকে শুরু করে নিজেকে সমাজে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। গরুর খামারে রসুল উদ্দিনের সাফল্য যুব সমাজকে আত্মকর্মসংস্থান গড়ে তুলতে অনুপ্রেরণা যোগাবে।
তথ্যসূত্রঃ আধুনিক কৃষি খামার