বৈশাখে নেই ফুলচাষিদের চিরচেনা ব্যস্ততা

হাওর বার্তা ডেস্কঃ বছরে ফুলের কদর যে ক’দিন বাড়ে তার একটি পহেলা বৈশাখ। তবে অন্যান্য বছরের মতো এবার চাহিদা নেই ফুলের। তাই ফুলচাষিদের মাঝে নেই ব্যস্ততা, কপালে আছে শুধু চিন্তার ভাঁজ।

করোনার থাবা থেকে বেরিয়ে দীর্ঘ দুই বছর পর নানা আয়োজনে হবে বাঙালি সংস্কৃতির অন্যতম ধারক পহেলা বৈশাখ উদযাপন। সড়কে হবে মঙ্গল শোভাযাত্রা। ফুলেল সাজে সাজবে বাঙালি। এমনটাই আশা ছিল ফুলচাষিদের। কিন্তু বাস্তবতা বলছে উল্টো। বাগানে নেই ক্রেতার আনাগোনা, দোকানগুলোও প্রায় পাইকারশূন্য।

 

সোমবার (১১ এপ্রিল) সাভারের গোলাপ গ্রাম নামে পরিচিত বিরুলিয়ায় গিয়ে দেখা যায়, বাগানে ফুল ফুটে থাকলেও চাহিদা নেই। অন্যান্য বছরের মতো এবার বাগানগুলোতে নেই বৈশাখের আগের ব্যস্ততা। দোকানগুলোতে বাহারি রঙের ফুল শোভা পেলেও দেখা নেই পাইকারের।

 

বাগানেই কথা হয় ফুলচাষি রহমত আলীর সঙ্গে। তিনি জানান, এ বৈশাখে তিনি তার বাগান থেকে প্রায় লাখ টাকার ফুল বিক্রির আশা করেছিলেন। বেচা-বিক্রির হাল দেখে বিশ হাজার টাকার বিক্রি হবে বলে ধরে নিয়েছেন।

পাশেই দাঁড়িয়ে থাকা আরেক চাষি আব্দুল জলিল বলেন, গত দুবছর গেলো করোনায়। এবার আবার রমজানের মধ্যে পহেলা বৈশাখ। সব মিলিয়ে সময় ভালো যাচ্ছে না ফুলচাষিদের।

 

তিনি বলেন, আগে পহেলা বৈশাখের আগে পাইকাররা অগ্রীম বুকিং দিয়ে যেতেন। এবার তেমন চাহিদা নেই। তবুও শেষ দিন পর্যন্ত বিক্রির আশা আছে। বাকিটা আল্লাহ ভরসা।

ফুলের বাজার নিয়ে কথা হয় নবীনগর বাজার ফুল ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি ময়েজ উদ্দিনের সঙ্গে। তিনি বলেন, এবার বেচাকেনা খুবই কম। এক রমজান, এর মধ্যে চৈত্রের দাবদাহেও ঘরবন্দি মানুষ। যেমন আশা করেছিলাম এবার বাস্তবে তা মিলছে না।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর