ঢাকা ০৭:৪৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৩ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

অ্যাপে কৃষকের কাছ থেকে ধান সংগ্রহে ১৩ নির্দেশনা

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১১:৩৯:৩২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩১ মার্চ ২০২২
  • ১২২ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ আসন্ন বোরো মৌসুমে দেশব্যাপী ২৫৬টি নির্বাচিত উপজেলায় অ্যাপের মাধ্যমে পাইলট আকার কৃষকের কাছ থেকে ধান কিনবে সরকার। এজন্য সম্প্রতি ঢাকা, খুলনা, রংপুর, চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ, রাজশাহী, বরিশাল, সিলেটের আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রকদের কাছে ১৩টি নির্দেশনা দিয়ে চিঠি পাঠিয়েছে খাদ্য অধিদপ্তর।

এতে বলা হয়, গত ২৭ মার্চ ‘কৃষকের অ্যাপ’-এর মাধ্যমে কৃষক নিবন্ধন ও ধান বিক্রির আবেদন শুরু হয়েছে।

‘কৃষকের অ্যাপ’-এর মাধ্যমে কৃষক নিবন্ধন ও ধান বিক্রির আবেদন ও নিবন্ধনের সময়সীমা সম্পর্কে কৃষকদের অবহিত করার জন্য স্থানীয়পর্যায়ে বহুল প্রচারণা চালানো প্রয়োজন। এজন্য মাঠপর্যায়ে বাস্তবায়নের জন্য ১৩টি নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

নির্দেশনাগুলো হলো—

১. নির্বাচিত উপজেলায় ‘কৃষকের অ্যাপ’-এর মাধ্যমে ধান ক্রয় কার্যক্রম সম্পাদন করতে হবে।

২. প্রশিক্ষণ সিডিউল অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট সব ইউএনও/উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাসহ খাদ্য অধিদপ্তরের মাঠপর্যায়ের সংশ্লিষ্ট মনোনীত কর্মকর্তা/কর্মচারীদেরকে জুমের মাধ্যমে ভার্চুয়াল কর্মশালায় অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে।

৩. খাদ্য অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে নিচের অংশে সংযোজিত ‘ফটো এবং ভিডিও বক্স’ থেকে ‘গাইড লাইন-কৃষকের অ্যাপ’ থেকে ভিডিও টিউটোরিয়াল ডাউনলোড করে অ্যাপ ব্যবহার সম্পর্কে ইউএনও/উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে অবহিত করতে হবে।

৪. ওয়েবসাইটের উল্লিখিত বক্স থেকে কৃষকের অ্যাপের মাধ্যমে ধান সংগ্রহ কার্যক্রমের জন্য প্রস্তুতকৃত লিফলেট ও তৈরিকৃত অডিও ডাউনলোড করে মাইকিংয়ের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট উপজেলার সব ইউনিয়নে প্রচার করতে হবে।

৫. ওয়েবসাইটের উল্লিখিত বক্স থেকে প্রস্তুত করা পোস্টার (লিফলেট) উপজেলার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সংযোগ স্থান, বাজার, মসজিদের প্রধান ফটকের বিপরীতে এবং দৃষ্টিগোচর হয় এমন স্থানে সেঁটে দিতে হবে।

৬. প্রস্তুতকৃত লিফলেট জনসমাগমস্থলে যেমন- মসজিদ, স্থানীয় বাজারে হাটের দিন চায়ের দোকানে বিতরণ করতে হবে।

৭. প্রস্তুতকৃত লিফলেট ইউনিয়ন চেয়ারম্যান, মেম্বার ও স্থানীয় গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের কাছে পৌঁছে দিতে হবে।

৮. উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তার উঠান বৈঠকে উপস্থিত হয়ে প্রস্তুতকৃত লিফলেট বিতরণ করতে হবে।

৯. কৃষকের অ্যাপের মাধ্যমে ধান সংগ্রহ কার্যক্রমের জন্য তৈরিকৃত অডিও মাইকিংয়ের মাধ্যমে জনসমাগম স্থানে প্রচার করা করতে হবে।

১০. প্রস্তুতকৃত লিফলেট জেলা/উপজেলার ওয়েবপোর্টালে প্রকাশ করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

১১. সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্টার/লিফলেট প্রকাশ করে প্রচার করতে হবে।

১২. স্থানীয় প্রশাসনের মাধ্যমে সভা করে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন চেয়ারম্যান, মেম্বার, মহিলা মেম্বার, ইউডিসি উদ্যোক্তাদের অবহিত করতে হবে।

১৩. ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার উদ্যোক্তার মাধ্যমে কৃষক নিবন্ধন উৎসাহিত করতে হবে।

গত ২৪ ফেব্রুয়ারি খাদ্য পরিকল্পনা ও পরিধারণ কমিটির সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, আসন্ন বোরো মৌসুমে অভ্যন্তরীণ বাজার থেকে ১৮ লাখ টন ধান ও চাল কিনবে সরকার। এরমধ্যে ছয় লাখ ৫০ হাজার টন ধান, ১১ লাখ টন সিদ্ধ চাল, ৫০ হাজার টন আতপ চাল।

প্রতি কেজি বোরো ধানের সংগ্রহ মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ২৭ টাকা, সিদ্ধ চাল ৪০ টাকা এবং আতপ চাল ৩৯ টাকা। ধান কেনা হবে সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

অ্যাপে কৃষকের কাছ থেকে ধান সংগ্রহে ১৩ নির্দেশনা

আপডেট টাইম : ১১:৩৯:৩২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩১ মার্চ ২০২২

হাওর বার্তা ডেস্কঃ আসন্ন বোরো মৌসুমে দেশব্যাপী ২৫৬টি নির্বাচিত উপজেলায় অ্যাপের মাধ্যমে পাইলট আকার কৃষকের কাছ থেকে ধান কিনবে সরকার। এজন্য সম্প্রতি ঢাকা, খুলনা, রংপুর, চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ, রাজশাহী, বরিশাল, সিলেটের আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রকদের কাছে ১৩টি নির্দেশনা দিয়ে চিঠি পাঠিয়েছে খাদ্য অধিদপ্তর।

এতে বলা হয়, গত ২৭ মার্চ ‘কৃষকের অ্যাপ’-এর মাধ্যমে কৃষক নিবন্ধন ও ধান বিক্রির আবেদন শুরু হয়েছে।

‘কৃষকের অ্যাপ’-এর মাধ্যমে কৃষক নিবন্ধন ও ধান বিক্রির আবেদন ও নিবন্ধনের সময়সীমা সম্পর্কে কৃষকদের অবহিত করার জন্য স্থানীয়পর্যায়ে বহুল প্রচারণা চালানো প্রয়োজন। এজন্য মাঠপর্যায়ে বাস্তবায়নের জন্য ১৩টি নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

নির্দেশনাগুলো হলো—

১. নির্বাচিত উপজেলায় ‘কৃষকের অ্যাপ’-এর মাধ্যমে ধান ক্রয় কার্যক্রম সম্পাদন করতে হবে।

২. প্রশিক্ষণ সিডিউল অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট সব ইউএনও/উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাসহ খাদ্য অধিদপ্তরের মাঠপর্যায়ের সংশ্লিষ্ট মনোনীত কর্মকর্তা/কর্মচারীদেরকে জুমের মাধ্যমে ভার্চুয়াল কর্মশালায় অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে।

৩. খাদ্য অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে নিচের অংশে সংযোজিত ‘ফটো এবং ভিডিও বক্স’ থেকে ‘গাইড লাইন-কৃষকের অ্যাপ’ থেকে ভিডিও টিউটোরিয়াল ডাউনলোড করে অ্যাপ ব্যবহার সম্পর্কে ইউএনও/উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে অবহিত করতে হবে।

৪. ওয়েবসাইটের উল্লিখিত বক্স থেকে কৃষকের অ্যাপের মাধ্যমে ধান সংগ্রহ কার্যক্রমের জন্য প্রস্তুতকৃত লিফলেট ও তৈরিকৃত অডিও ডাউনলোড করে মাইকিংয়ের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট উপজেলার সব ইউনিয়নে প্রচার করতে হবে।

৫. ওয়েবসাইটের উল্লিখিত বক্স থেকে প্রস্তুত করা পোস্টার (লিফলেট) উপজেলার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সংযোগ স্থান, বাজার, মসজিদের প্রধান ফটকের বিপরীতে এবং দৃষ্টিগোচর হয় এমন স্থানে সেঁটে দিতে হবে।

৬. প্রস্তুতকৃত লিফলেট জনসমাগমস্থলে যেমন- মসজিদ, স্থানীয় বাজারে হাটের দিন চায়ের দোকানে বিতরণ করতে হবে।

৭. প্রস্তুতকৃত লিফলেট ইউনিয়ন চেয়ারম্যান, মেম্বার ও স্থানীয় গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের কাছে পৌঁছে দিতে হবে।

৮. উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তার উঠান বৈঠকে উপস্থিত হয়ে প্রস্তুতকৃত লিফলেট বিতরণ করতে হবে।

৯. কৃষকের অ্যাপের মাধ্যমে ধান সংগ্রহ কার্যক্রমের জন্য তৈরিকৃত অডিও মাইকিংয়ের মাধ্যমে জনসমাগম স্থানে প্রচার করা করতে হবে।

১০. প্রস্তুতকৃত লিফলেট জেলা/উপজেলার ওয়েবপোর্টালে প্রকাশ করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

১১. সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্টার/লিফলেট প্রকাশ করে প্রচার করতে হবে।

১২. স্থানীয় প্রশাসনের মাধ্যমে সভা করে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন চেয়ারম্যান, মেম্বার, মহিলা মেম্বার, ইউডিসি উদ্যোক্তাদের অবহিত করতে হবে।

১৩. ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার উদ্যোক্তার মাধ্যমে কৃষক নিবন্ধন উৎসাহিত করতে হবে।

গত ২৪ ফেব্রুয়ারি খাদ্য পরিকল্পনা ও পরিধারণ কমিটির সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, আসন্ন বোরো মৌসুমে অভ্যন্তরীণ বাজার থেকে ১৮ লাখ টন ধান ও চাল কিনবে সরকার। এরমধ্যে ছয় লাখ ৫০ হাজার টন ধান, ১১ লাখ টন সিদ্ধ চাল, ৫০ হাজার টন আতপ চাল।

প্রতি কেজি বোরো ধানের সংগ্রহ মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ২৭ টাকা, সিদ্ধ চাল ৪০ টাকা এবং আতপ চাল ৩৯ টাকা। ধান কেনা হবে সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে।