ঢাকা ০২:৩৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১০ জানুয়ারী ২০২৫, ২৭ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
ফেক ছবি শনাক্তে হোয়াটসঅ্যাপের নতুন ফিচার ফ্যাসিস্ট হাসিনার দোসর শামীম ওসমানের দাঁড়ি-গোফ যুক্ত ছবি ভাইরাল, যা বলছে ফ্যাক্টচেক ঢাকায় যানজট নিরসনে দ্রুত পদক্ষেপের নির্দেশ দিলেন প্রধান উপদেষ্টা চার-ছক্কা হাঁকানো ভুলে যাননি সাব্বির হজযাত্রীর সর্বনিম্ন কোটা নির্ধারণে মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্টতা নেই : ধর্ম উপদেষ্টা একাত্তরের ভূমিকার জন্য ক্ষমা না চেয়ে জামায়াত উল্টো জাস্টিফাই করছে: মেজর হাফিজ ‘আল্লাহকে ধন্যবাদ’ পিএইচডি করে ১৯ সন্তানের মা শমী কায়সারের ব্যাংক হিসাব তলব আগামী মাসের মধ্যে পাঠ্যপুস্তক সবাই হাতে পাবে : প্রেস সচিব নিক্কেই এশিয়াকে ড. মুহাম্মদ ইউনূস তিন মেয়াদে ভুয়া নির্বাচন মঞ্চস্থ করেছেন হাসিনা

শেষবারের মতো সময় পেলেন যোগাযোগমন্ত্রী

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৩:৩১:০৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ৭ মার্চ ২০২২
  • ১২৪ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার (এসকে সিনহা) বিরুদ্ধে ঘুস দাবির মিথ্যা অভিযোগে মামলা করায় সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী ব্যারিস্টার নাজমুল হুদার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা পাল্টা মামলায় চার্জগঠন শুনানির জন্য শেষবারের মতো সময়ের আবেদন মঞ্জুর করেছেন আদালত।

সোমবার (৭ মার্চ) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৯ এর বিচারক শেখ হাফিজুর রহমানের আদালতে মামলার অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য দিন ধার্য ছিল। এদিন নাজমুল হুদা আদালতে উপস্থিত হন। এসময় নাজমুল হুদা চার্জগঠন শুনানি পেছানোর জন্য সময় প্রার্থনা করেন।

অন্যদিকে, দুদক চার্জগঠন শুনানির জন্য প্রস্তুত ছিলেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক শেষবারের মতো সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে ৬ এপ্রিল চার্জগঠন শুনানির জন্য দিন ধার্য করেন। দুদকের আইনজীবী এম এ সালাউদ্দিন ইস্কান্দার কিং বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

২০২১ সালের ৭ অক্টোবর ব্যারিস্টার নাজমুল হুদার বিরুদ্ধে চার্জশিট অনুমোদন করে কমিশন। এরপর ঢাকার সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন দুদকের পরিচালক মো. বেনজীর আহম্মেদ।

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে নিজের বিরুদ্ধে নিষ্পত্তি হওয়া একটি মামলার রায় বদলে দেওয়া হয়েছে ও উৎকোচ চাওয়া হয়েছে— এস কে সিনহার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ করে ২০১৮ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর শাহবাগ থানায় মামলা করেন ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা।

মামলার অভিযোগপত্রে সে সময় নাজমুল হুদা দাবি করেন, উচ্চ আদালতে ডিসমিস করার পরও প্ররোচিত হয়ে মামলাটির রায় পরিবর্তন করা হয়। মামলাটি ডিসমিস করতে দুই কোটি টাকা ও আরও একটি টাকা ব্যাংক গ্যারান্টির অর্ধেক অর্থাৎ এক কোটি ২৫ লাখ টাকা উৎকোচ দাবি করেন সিনহা। তবে দেড় বছরের তদন্তে নাজমুল হুদার এ অভিযোগের কোনো প্রমাণ পায়নি দুদক।

মিথ্যা অভিযোগ করায় ২০২০ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি নাজমুল হুদার বিরুদ্ধে পাল্টা মামলা করেন দুদক পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেন। আরেক পরিচালক মো. বেনজীর আহম্মেদকে এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হয়।

মামলার বিষয়ে তৎকালীন দুদক সচিব মুহাম্মদ দিলোয়ার বখত বলেছিলেন, নাজমুল হুদা যে মামলাটি করেছেন সেটি একেবারেই ভিত্তিহীন। দুদকের অনুসন্ধানেও আমরা সেটা প্রমাণ পেয়েছি। দুদক আইনের ২৮ এর ২ ধারায় বলা হয়েছে, কেউ যদি মিথ্যা তথ্য দিয়ে অভিযোগ দায়ের করেন আর সেটি যদি তদন্তে বেরিয়ে আসে তাহলে অভিযোগ দায়েরকারীর বিরুদ্ধে মামলা করা যাবে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

ফেক ছবি শনাক্তে হোয়াটসঅ্যাপের নতুন ফিচার

শেষবারের মতো সময় পেলেন যোগাযোগমন্ত্রী

আপডেট টাইম : ০৩:৩১:০৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ৭ মার্চ ২০২২

হাওর বার্তা ডেস্কঃ সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার (এসকে সিনহা) বিরুদ্ধে ঘুস দাবির মিথ্যা অভিযোগে মামলা করায় সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী ব্যারিস্টার নাজমুল হুদার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা পাল্টা মামলায় চার্জগঠন শুনানির জন্য শেষবারের মতো সময়ের আবেদন মঞ্জুর করেছেন আদালত।

সোমবার (৭ মার্চ) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৯ এর বিচারক শেখ হাফিজুর রহমানের আদালতে মামলার অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য দিন ধার্য ছিল। এদিন নাজমুল হুদা আদালতে উপস্থিত হন। এসময় নাজমুল হুদা চার্জগঠন শুনানি পেছানোর জন্য সময় প্রার্থনা করেন।

অন্যদিকে, দুদক চার্জগঠন শুনানির জন্য প্রস্তুত ছিলেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক শেষবারের মতো সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে ৬ এপ্রিল চার্জগঠন শুনানির জন্য দিন ধার্য করেন। দুদকের আইনজীবী এম এ সালাউদ্দিন ইস্কান্দার কিং বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

২০২১ সালের ৭ অক্টোবর ব্যারিস্টার নাজমুল হুদার বিরুদ্ধে চার্জশিট অনুমোদন করে কমিশন। এরপর ঢাকার সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন দুদকের পরিচালক মো. বেনজীর আহম্মেদ।

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে নিজের বিরুদ্ধে নিষ্পত্তি হওয়া একটি মামলার রায় বদলে দেওয়া হয়েছে ও উৎকোচ চাওয়া হয়েছে— এস কে সিনহার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ করে ২০১৮ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর শাহবাগ থানায় মামলা করেন ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা।

মামলার অভিযোগপত্রে সে সময় নাজমুল হুদা দাবি করেন, উচ্চ আদালতে ডিসমিস করার পরও প্ররোচিত হয়ে মামলাটির রায় পরিবর্তন করা হয়। মামলাটি ডিসমিস করতে দুই কোটি টাকা ও আরও একটি টাকা ব্যাংক গ্যারান্টির অর্ধেক অর্থাৎ এক কোটি ২৫ লাখ টাকা উৎকোচ দাবি করেন সিনহা। তবে দেড় বছরের তদন্তে নাজমুল হুদার এ অভিযোগের কোনো প্রমাণ পায়নি দুদক।

মিথ্যা অভিযোগ করায় ২০২০ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি নাজমুল হুদার বিরুদ্ধে পাল্টা মামলা করেন দুদক পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেন। আরেক পরিচালক মো. বেনজীর আহম্মেদকে এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হয়।

মামলার বিষয়ে তৎকালীন দুদক সচিব মুহাম্মদ দিলোয়ার বখত বলেছিলেন, নাজমুল হুদা যে মামলাটি করেছেন সেটি একেবারেই ভিত্তিহীন। দুদকের অনুসন্ধানেও আমরা সেটা প্রমাণ পেয়েছি। দুদক আইনের ২৮ এর ২ ধারায় বলা হয়েছে, কেউ যদি মিথ্যা তথ্য দিয়ে অভিযোগ দায়ের করেন আর সেটি যদি তদন্তে বেরিয়ে আসে তাহলে অভিযোগ দায়েরকারীর বিরুদ্ধে মামলা করা যাবে।