ঢাকা ০৫:২৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৮ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আন্দোলন-সংগ্রামের অংশ হিসেবেই উন্নয়ন সহযোগীদের সমর্থন চায় বিএনপি

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৮:৩১:৫৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ ফেব্রুয়ারী ২০২২
  • ১৪৯ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ আন্দোলন-সংগ্রামের অংশ হিসেবেই দেশের উন্নয়ন সহযোগীদের সমর্থন চায় বলে জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, বিএনপি মানবাধিকার লঙ্ঘন বন্ধ করতে চায়। একইসঙ্গে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের সংগ্রামে দেশি-বিদেশি অংশীদারদের সরকারের সব অপকর্ম সম্পর্কে অবগত করে রাখতেও চায়।

আজ মঙ্গলবার (১ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন মির্জা ফখরুল। সোমবার (৩১ জানুয়ারি) রাতে অনুষ্ঠিত দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠকে নেওয়া সিদ্ধান্ত জানাতে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। গত কয়েকদিন ধরে সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রী অভিযোগ করেছেন- মির্জা ফখরুল বিদেশে চিঠি লিখে লবিস্ট নিয়োগ করার পক্ষে কাজ করেছেন। এ বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করে কথা বলছেন সরকারের কয়েকজন মন্ত্রী। এ চিঠি দেখিয়ে মিথ্যাচার করা হয়েছে। বিদেশে লেখা আমার ওই চিঠিগুলো কোনো লবিস্ট নিয়োগের বিষয়ে নয়, মানবাধিকার রক্ষায় আন্তর্জাতিক উন্নয়ন অংশীদারদের প্রতি আহ্বান মাত্র।

বিদেশে লবিস্ট নিয়োগের প্রসঙ্গে দলের অবস্থান তুলে ধরে মির্জা ফখরুল বলেন, একজন প্রবাসী বাংলাদেশি কর্তৃক লবিস্ট নিয়োগের বিষয়টিও আজ আমাদের দলের ঘাড়ে চাপানোর অপচেষ্টা চালাচ্ছে এই সরকার। আমরা বলতে চাই, দেশের গণতন্ত্র এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে যদি কোনো প্রবাসী কোনো পদক্ষেপ কোথাও নেন, দেশের প্রতি তার ভালোবাসার জন্য যদি কিছু করে, সে পদক্ষেপের দায়িত্ব তার, বিএনপির নয়। ওই পদক্ষেপকে নৈতিক সমর্থনের দায়িত্ব বাদে অন্য কোনো দায়-দায়িত্ব বিএনপি বহন করে না। তবে বিশ্বের দেশে দেশে প্রবাসীদের গণতন্ত্র এবং মানবাধিকার রক্ষার জন্য এ ধরনের দেশপ্রেমিক পদক্ষেপকে বিএনপি সাধুবাদ জানায় এবং তাদের প্রতি সংহতি প্রকাশ করে।

মির্জা ফখরুল বলেন, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি মানবাধিকার লঙ্ঘনের শিকার সব ব্যক্তির সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য আশ্রয়স্থল, মানবাধিকার ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলনের সবচেয়ে বড় ভ্যানগার্ড। আর তাই বিএনপি তার আন্দোলন সংগ্রামের অংশ হিসেবেই দেশের ডেভেলপমেন্ট পার্টনারদের সমর্থন চায়, মানবাধিকার লঙ্ঘন বন্ধ চায়, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার সংগ্রামে দেশি-বিদেশি সব অংশীদারকে এই সরকারের সব অপকর্ম সম্পর্কে অবগত করে রাখতে চায়। লবিস্ট নিয়োগ প্রসঙ্গে বিএনপির মহাসচিব পাল্টা অভিযোগ করে বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র সরকার কর্তৃক গৃহীত ব্যবস্থাকে ধামাচাপা দিয়ে কর্তৃত্ববাদী অবৈধ সরকার জনগণের করের টাকায় আমেরিকায় লবিস্ট নিয়োগ করেছে, যা পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্যের মাধ্যমে স্বীকৃত।
তিনি বলেন, সরকারের ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধারের জন্য তারা লবিস্ট নিয়োগ করেছে। খুন, গুমের মতো অপরাধের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তির দায়, কিংবা ব্যক্তির স্বেচ্ছাচারিতায় নিমজ্জিত প্রতিষ্ঠানের দায়, রাষ্ট্র কিংবা সরকার কীভাবে জনগণের টাকায় ভাবমূর্তি রক্ষার নামে ব্যয় করে? মির্জা ফখরুল জানান, বিএনপি মনে করে জনগণের টাকায় লবিস্ট নিয়োগ করে সরকার মানবাধিকার লঙ্ঘনের মতো গুরুতর অপরাধে নিজেদের জড়িত থাকার বিষয়টিই প্রমাণিত-ভাবে প্রতিষ্ঠিত করেছে। বিএনপি মনে করে সরকার জড়িত না থাকলে তা প্রমাণের জন্য তারা ওই সাত কর্মকর্তাকে আইনের আওতায় এনে বিচারের ব্যবস্থা করত। খুন, গুম, গায়েবি মামলা দায়ের বন্ধ করে নির্দলীয় সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার পথে হেঁটে সরকার পদত্যাগ করত।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

আন্দোলন-সংগ্রামের অংশ হিসেবেই উন্নয়ন সহযোগীদের সমর্থন চায় বিএনপি

আপডেট টাইম : ০৮:৩১:৫৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ ফেব্রুয়ারী ২০২২

হাওর বার্তা ডেস্কঃ আন্দোলন-সংগ্রামের অংশ হিসেবেই দেশের উন্নয়ন সহযোগীদের সমর্থন চায় বলে জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, বিএনপি মানবাধিকার লঙ্ঘন বন্ধ করতে চায়। একইসঙ্গে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের সংগ্রামে দেশি-বিদেশি অংশীদারদের সরকারের সব অপকর্ম সম্পর্কে অবগত করে রাখতেও চায়।

আজ মঙ্গলবার (১ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন মির্জা ফখরুল। সোমবার (৩১ জানুয়ারি) রাতে অনুষ্ঠিত দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠকে নেওয়া সিদ্ধান্ত জানাতে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। গত কয়েকদিন ধরে সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রী অভিযোগ করেছেন- মির্জা ফখরুল বিদেশে চিঠি লিখে লবিস্ট নিয়োগ করার পক্ষে কাজ করেছেন। এ বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করে কথা বলছেন সরকারের কয়েকজন মন্ত্রী। এ চিঠি দেখিয়ে মিথ্যাচার করা হয়েছে। বিদেশে লেখা আমার ওই চিঠিগুলো কোনো লবিস্ট নিয়োগের বিষয়ে নয়, মানবাধিকার রক্ষায় আন্তর্জাতিক উন্নয়ন অংশীদারদের প্রতি আহ্বান মাত্র।

বিদেশে লবিস্ট নিয়োগের প্রসঙ্গে দলের অবস্থান তুলে ধরে মির্জা ফখরুল বলেন, একজন প্রবাসী বাংলাদেশি কর্তৃক লবিস্ট নিয়োগের বিষয়টিও আজ আমাদের দলের ঘাড়ে চাপানোর অপচেষ্টা চালাচ্ছে এই সরকার। আমরা বলতে চাই, দেশের গণতন্ত্র এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে যদি কোনো প্রবাসী কোনো পদক্ষেপ কোথাও নেন, দেশের প্রতি তার ভালোবাসার জন্য যদি কিছু করে, সে পদক্ষেপের দায়িত্ব তার, বিএনপির নয়। ওই পদক্ষেপকে নৈতিক সমর্থনের দায়িত্ব বাদে অন্য কোনো দায়-দায়িত্ব বিএনপি বহন করে না। তবে বিশ্বের দেশে দেশে প্রবাসীদের গণতন্ত্র এবং মানবাধিকার রক্ষার জন্য এ ধরনের দেশপ্রেমিক পদক্ষেপকে বিএনপি সাধুবাদ জানায় এবং তাদের প্রতি সংহতি প্রকাশ করে।

মির্জা ফখরুল বলেন, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি মানবাধিকার লঙ্ঘনের শিকার সব ব্যক্তির সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য আশ্রয়স্থল, মানবাধিকার ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলনের সবচেয়ে বড় ভ্যানগার্ড। আর তাই বিএনপি তার আন্দোলন সংগ্রামের অংশ হিসেবেই দেশের ডেভেলপমেন্ট পার্টনারদের সমর্থন চায়, মানবাধিকার লঙ্ঘন বন্ধ চায়, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার সংগ্রামে দেশি-বিদেশি সব অংশীদারকে এই সরকারের সব অপকর্ম সম্পর্কে অবগত করে রাখতে চায়। লবিস্ট নিয়োগ প্রসঙ্গে বিএনপির মহাসচিব পাল্টা অভিযোগ করে বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র সরকার কর্তৃক গৃহীত ব্যবস্থাকে ধামাচাপা দিয়ে কর্তৃত্ববাদী অবৈধ সরকার জনগণের করের টাকায় আমেরিকায় লবিস্ট নিয়োগ করেছে, যা পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্যের মাধ্যমে স্বীকৃত।
তিনি বলেন, সরকারের ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধারের জন্য তারা লবিস্ট নিয়োগ করেছে। খুন, গুমের মতো অপরাধের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তির দায়, কিংবা ব্যক্তির স্বেচ্ছাচারিতায় নিমজ্জিত প্রতিষ্ঠানের দায়, রাষ্ট্র কিংবা সরকার কীভাবে জনগণের টাকায় ভাবমূর্তি রক্ষার নামে ব্যয় করে? মির্জা ফখরুল জানান, বিএনপি মনে করে জনগণের টাকায় লবিস্ট নিয়োগ করে সরকার মানবাধিকার লঙ্ঘনের মতো গুরুতর অপরাধে নিজেদের জড়িত থাকার বিষয়টিই প্রমাণিত-ভাবে প্রতিষ্ঠিত করেছে। বিএনপি মনে করে সরকার জড়িত না থাকলে তা প্রমাণের জন্য তারা ওই সাত কর্মকর্তাকে আইনের আওতায় এনে বিচারের ব্যবস্থা করত। খুন, গুম, গায়েবি মামলা দায়ের বন্ধ করে নির্দলীয় সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার পথে হেঁটে সরকার পদত্যাগ করত।