হাওর বার্তা ডেস্কঃ সুশীলসমাজ ও বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর তীব্র সমালোচনার মুখে নির্বাচন কমিশন (ইসি) নিয়োগে খসড়া আইন সংসদে উত্থাপন করা হবে আজ। আইনমন্ত্রী আনিসুল হক আইনটি উত্থাপনের পর এটি অধিকতর পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য সংশ্লিষ্ট সংসদীয় কমিটিতে পাঠানো হবে। সংসদের ওয়েবসাইটে দেওয়া রোববারের অধিবেশনের কার্যসূচি থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
কে এম নূরুল হুদা নেতৃত্বাধীন বর্তমান নির্বাচন কমিশনের মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি। তার আগেই প্রেসিডেন্টকে নতুন কমিশন গঠন করতে হবে। সেক্ষেত্রে আইনটি সংসদে তোলা থেকে পাস করে গেজেট প্রকাশের জন্য হাতে চার সপ্তাহ সময় রয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে সংসদের, সংসদীয় কমিটির রিপোর্টের জন্য বিলটির সময় খুব কম দেওয়া হবে এবং যত দ্রুত সম্ভব বিলটি পাস করা হবে। এটি পাস হওয়ার পরে নতুন নির্বাচন কমিশন আইনের আলোকে সিইসি ও ইসি নিয়োগ করা হবে।
তবে রাজ পথের প্রধান বিরোধীদল বিএনপি, বাম গণতান্ত্রিক জোটসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দল এবং সুশীল সমাজের বিশিষ্টজনরা ইসি গঠনে আইন প্রনয়নের এ উদ্যোগকে সরকারের দুরভিসন্ধিমূলক অপকৌশল বলে মনে করছে। তারা বলছে, নির্বাচন কমিশন গঠনে সরকার তড়িঘড়ি করে আইন প্রণয়ন করছে। আর এটা সার্চ কমিটিকে আইনি পোশাক পরিয়ে নির্বাচন কমিশন গঠনের উদ্যোগ এবং সরকারের রাজনৈতিক দুরভিসন্ধি। সরকার ও সরকারি দলের এই অপকৌশল নির্বাচন কমিশন ও নির্বাচনকেন্দ্রিক বিদ্যমান সংকটের সমাধান না করে তা আরও ঘনীভূত করবে। অন্য দিকে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) আইনটি পাসের আগে সব অংশীজনদের মতামত নেওয়ার দাবি জানিয়েছে।