ঢাকা ০৮:১৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৩ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ক্যাডারবঞ্চিতরা দ্বিতীয় শ্রেণির ননক্যাডার পদেও চাকরি পাবেন

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১১:২৭:৪২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ এপ্রিল ২০১৬
  • ৩২৮ বার

পাবলিক সার্ভিস কমিশনের বিসিএস পরীক্ষায় চূড়ান্তভাবে উত্তীর্ণ কিন্তু ক্যাডার পদ পাননি এমন প্রার্থীদের প্রথম শ্রেণির নন-ক্যাডার পদের পাশাপাশি দ্বিতীয় শ্রেণির কর্মকর্তা পদেও নিয়োগ দিতে যাচ্ছে সরকার। ৩৩তম বিসিএস থেকে এটি শুরু করা হচ্ছে।

এ লক্ষ্যে নন-ক্যাডার পদে নিয়োগ (বিশেষ) বিধিমালা সংশোধন করা হয়েছে। সংশোধনের ফলে বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের মধ্যে থেকে চাকরি পাওয়ার সংখ্যা এখন বাড়বে।

সূত্র বলছে, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিয়ে ইতোমধ্যে নিয়োগ সংক্রান্ত কাজ শুরু করেছে পিএসসি। তারা মন্ত্রণালয় ও বিভাগ থেকে শূন্য পদের তালিকা নিচ্ছে।

বৃহস্পতিবার মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট একজন কর্মকর্তা জানান, ইতোমধ্যে পিএসসির প্রস্তাবে অনুমোদন দেয়া হয়েছে।

প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি কর্মকর্তা পদে নিয়োগের কাজটি করে সাংবিধানিক সংস্থা পিএসসি। এর মধ্যে ক্যাডার পদে নিয়োগের জন্য নিয়মিত বিসিএস পরীক্ষা নেয়া হয়। আর নন-ক্যাডার পদগুলোর জন্য নেয়া হয় আলাদা পরীক্ষা। প্রতিটি বিসিএস পরীক্ষায় আট থেকে ১০ হাজার প্রার্থী চূড়ান্তভাবে উত্তীর্ণ হন। কিন্তু পদ শূন্য না থাকার কারণে অনেক প্রার্থীকে ক্যাডার পদে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করা সম্ভব হয় না। বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে ২০১০ সালে নন-ক্যাডার পদে নিয়োগ (বিশেষ) বিধিমালা করা হয়।

বিধিমালায় বলা হয়, চূড়ান্তভাবে উত্তীর্ণদের মধ্যে থেকে যারা ক্যাডার পদ পাবেন না, পদ শূন্য থাকলে আবেদন এবং মেধাক্রমের ভিত্তিতে তারা প্রথম শ্রেণির নন-ক্যাডার পদে নিয়োগ পাবেন। ২৮তম বিসিএস থেকে এই প্রক্রিয়া শুরু হয়।

এরই ধারাবাহিকতায় দ্বিতীয় শ্রেণির কর্মকর্তা নিয়োগের জন্য বিধিমালা সংশোধন করা হয়েছে।

জানতে চাইলে পিএসসির একজন সদস্য বৃহস্পতিবার টেলিফোনে বলেন, বিসিএস পরীক্ষায় লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা শেষে অনেক প্রার্থী উত্তীর্ণ হন। পদ কম থাকায় একটি বড় অংশকেই আমরা ক্যাডার পদে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করতে পারি না। এ কারণেই প্রথম শ্রেণির নন-ক্যাডার পদে নিয়োগের বিধিমালা করা হয়েছিল। এর ফলে প্রতিটি নিয়োগের জন্য আলাদা পরীক্ষা নিতে হতো না। সময় ও খরচ বাঁচতো। অনেক প্রার্থী এই নিয়মে চাকরি পাচ্ছিলেন। সে কারণেই এবার দ্বিতীয় শ্রেণির কর্মকর্তা পদেও নিয়োগ দেয়া হবে।

তবে বিসিএস পরীক্ষা দিয়ে দ্বিতীয় শ্রেণির কর্মকর্তা পদে নিয়োগ নিয়ে পক্ষে-বিপক্ষে মত রয়েছে।
আবার প্রার্থীরাও আগ্রহী হবেন কি না প্রশ্ন রয়েছে। জানা গেছে, পিএসসি বিভাগ ও মন্ত্রণালয়ভিত্তিক শূন্য পদের তালিকা নিচ্ছে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

ক্যাডারবঞ্চিতরা দ্বিতীয় শ্রেণির ননক্যাডার পদেও চাকরি পাবেন

আপডেট টাইম : ১১:২৭:৪২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ এপ্রিল ২০১৬

পাবলিক সার্ভিস কমিশনের বিসিএস পরীক্ষায় চূড়ান্তভাবে উত্তীর্ণ কিন্তু ক্যাডার পদ পাননি এমন প্রার্থীদের প্রথম শ্রেণির নন-ক্যাডার পদের পাশাপাশি দ্বিতীয় শ্রেণির কর্মকর্তা পদেও নিয়োগ দিতে যাচ্ছে সরকার। ৩৩তম বিসিএস থেকে এটি শুরু করা হচ্ছে।

এ লক্ষ্যে নন-ক্যাডার পদে নিয়োগ (বিশেষ) বিধিমালা সংশোধন করা হয়েছে। সংশোধনের ফলে বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের মধ্যে থেকে চাকরি পাওয়ার সংখ্যা এখন বাড়বে।

সূত্র বলছে, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিয়ে ইতোমধ্যে নিয়োগ সংক্রান্ত কাজ শুরু করেছে পিএসসি। তারা মন্ত্রণালয় ও বিভাগ থেকে শূন্য পদের তালিকা নিচ্ছে।

বৃহস্পতিবার মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট একজন কর্মকর্তা জানান, ইতোমধ্যে পিএসসির প্রস্তাবে অনুমোদন দেয়া হয়েছে।

প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি কর্মকর্তা পদে নিয়োগের কাজটি করে সাংবিধানিক সংস্থা পিএসসি। এর মধ্যে ক্যাডার পদে নিয়োগের জন্য নিয়মিত বিসিএস পরীক্ষা নেয়া হয়। আর নন-ক্যাডার পদগুলোর জন্য নেয়া হয় আলাদা পরীক্ষা। প্রতিটি বিসিএস পরীক্ষায় আট থেকে ১০ হাজার প্রার্থী চূড়ান্তভাবে উত্তীর্ণ হন। কিন্তু পদ শূন্য না থাকার কারণে অনেক প্রার্থীকে ক্যাডার পদে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করা সম্ভব হয় না। বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে ২০১০ সালে নন-ক্যাডার পদে নিয়োগ (বিশেষ) বিধিমালা করা হয়।

বিধিমালায় বলা হয়, চূড়ান্তভাবে উত্তীর্ণদের মধ্যে থেকে যারা ক্যাডার পদ পাবেন না, পদ শূন্য থাকলে আবেদন এবং মেধাক্রমের ভিত্তিতে তারা প্রথম শ্রেণির নন-ক্যাডার পদে নিয়োগ পাবেন। ২৮তম বিসিএস থেকে এই প্রক্রিয়া শুরু হয়।

এরই ধারাবাহিকতায় দ্বিতীয় শ্রেণির কর্মকর্তা নিয়োগের জন্য বিধিমালা সংশোধন করা হয়েছে।

জানতে চাইলে পিএসসির একজন সদস্য বৃহস্পতিবার টেলিফোনে বলেন, বিসিএস পরীক্ষায় লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা শেষে অনেক প্রার্থী উত্তীর্ণ হন। পদ কম থাকায় একটি বড় অংশকেই আমরা ক্যাডার পদে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করতে পারি না। এ কারণেই প্রথম শ্রেণির নন-ক্যাডার পদে নিয়োগের বিধিমালা করা হয়েছিল। এর ফলে প্রতিটি নিয়োগের জন্য আলাদা পরীক্ষা নিতে হতো না। সময় ও খরচ বাঁচতো। অনেক প্রার্থী এই নিয়মে চাকরি পাচ্ছিলেন। সে কারণেই এবার দ্বিতীয় শ্রেণির কর্মকর্তা পদেও নিয়োগ দেয়া হবে।

তবে বিসিএস পরীক্ষা দিয়ে দ্বিতীয় শ্রেণির কর্মকর্তা পদে নিয়োগ নিয়ে পক্ষে-বিপক্ষে মত রয়েছে।
আবার প্রার্থীরাও আগ্রহী হবেন কি না প্রশ্ন রয়েছে। জানা গেছে, পিএসসি বিভাগ ও মন্ত্রণালয়ভিত্তিক শূন্য পদের তালিকা নিচ্ছে।