ইস! হাওরের এ সড়ক দেখতে যে কবে যাব?

হাওর বার্তা ডেস্কঃ কিশোরগঞ্জের হাওরের দৃষ্টিনন্দন অলওয়েদার সড়ক উদ্বোধনকালে হাওরবাসীর উদ্দেশে কথা বলার এক ফাঁকে হাওরের বিস্ময় খ্যাত পর্যটন সম্ভাবনার এ অলওয়েদার সড়কপথ দেখতে নিজের ব্যাকুল আগ্রহের কথা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এ সময় বিস্ময়কর এ সড়ক ও সড়কপথের  অপরূপ নৈসর্গিক সৌন্দর্য দেখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলে উঠলেন, ‘ইস! কবে যে যাব এ সড়ক দেখতে? আমার মনটা পড়ে থাকল। এ সড়ক দিয়ে গাড়িতে কবে যাব। রাষ্ট্রপতিও চান আমি যেন সরাসরি যাই’। করোনা পরিস্থিতি উন্নতি হলে এ সড়ক দেখতে যাওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আরও বলেন, হাওরে যে এমন সড়কপথ করা যায় সেটাও মহামান্য রাষ্ট্রপতি শিখিয়েছেন। মহামান্য রাষ্ট্রপতির ইচ্ছানুযায়ীই হাওরবাসীর এ স্বপ্ন পূরণে আমরা কাজ শুরু করি।

২০১৬ সালের ২১ এপ্রিল ইটনা-মিঠামইন-অষ্টগ্রামের মধ্যে সরাসরি সংযোগ স্থাপনকারী এ  সড়ক প্রকল্পের নির্মাণকাজ উদ্বোধন করেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।

সড়ক ও জনপথ অধিদফতরের তত্ত্বাবধানে এ সড়কপথ নির্মাণে ব্যয় হয়  ৮৭৪.০৮ কোটি টাকা। এ সড়কপথের বাউলাই ও ধনু নদীতে ৩টি দৃষ্টিনন্দন সেতুসহ ও অসংখ্য বক্সকালভার্ট নির্মাণ হয়েছে।
এ অলওয়েদার সড়কপথের তৈরি শেষ হওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী সরেজমিনে গিয়ে উদ্বোধনের কথা ছিল। কিন্তু বিশ্বব্যাপী করোনা ভাইরাস প্রাদুর্ভাব ঘটার কারণে প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক উদ্বোধনের অপেক্ষায় ছিল।
এ করোনা মহামারীর দীর্ঘ স্থায়ীত্বের কারণে শেষ পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমেই এ সড়ক  উদ্বোধনের পথ বেছে নেন।

এবার বর্ষার শুরু থেকেই  হাওরের বিস্ময় খ্যাত এ অলওয়েদার সেতু ও চারপাশে দিগন্ত বিস্তৃত অপরূপ নৈসর্গিক সৌন্দর্য দেখতে  করোনা ভীতিকে উপেক্ষা করে ভিড় করে দেশ-বিদেশের হাজারো নারী-পুরুষ দর্শনার্থী-পর্যটক।

ইতিমধ্যেই অনির্ধারিত সফরে এসে হাওরের বিস্ময় খ্যাত এ দৃষ্টিনন্দন অলওয়েদার সড়কপথ ও দু’পাশের দিগন্তবিস্তৃত জলরাশির অপরূপ নৈসর্গিক সৌন্দর্য উপভোগ করে গেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং পুলিশের মহাপরিদর্শক ড. বেনজীর আহমেদসহ রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা।

দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত বৃহত্তর হাওরাঞ্চলের গেটওয়ে হিসেবে পরিচিত কিশোরগঞ্জের পশ্চাৎপদ এ হাওর জনপদের আগের মধ্যযুগীয় যোগাযোগ ব্যবস্থার কথা উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধ-পূর্ব নির্বাচনের সময় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান লঞ্চ ও নৌকায় এ হাওরাঞ্চলে এসে প্রত্যেকটা এলাকায় রাতযাপন করে সভা-সমাবেশ করেছেন। আমিও এই এলাকার সে রূপ দেখেছি।

আর এ কারণে মহামান্য রাষ্ট্রপতির অভিপ্রায় এবং হাওরবাসীর দীর্ঘদিনের স্বপ্ন পূরণে আওয়ামী লীগ সরকার এ অঞ্চলের ব্যাপক উন্নয়ন পরিকল্পনা হাতে নেয়।
এ সময় করোনা দূর হলে প্রধানমন্ত্রী হাওরের এ অলওয়েদার সড়কপথ ও উন্নয়ন কর্মকাণ্ড সরেজমিন পরিদর্শনেরও ইচ্ছা ব্যক্ত করেন।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর