ঢাকা ০১:৫৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ জানুয়ারী ২০২৫, ২৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জুমার নামাজ পড়লে যেসব মর্যাদা পাবে মুমিনরা

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১১:১৯:১৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২১
  • ২১৯ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ আল্লাহ তাআলা কেয়ামতের দিন সপ্তাহের সব দিনকে নিজ আকৃতিতে একত্রিত করবেন। জুমার দিনকে সবচেয়ে আলোকময় উজ্জ্বল করে উঠানো হবে। সেখানে জুমার নামাজ আদায়কারীরা জুমার দিনটিকে নববধূর মতো ঘিরে রাখবে। যেন তারা (দিনটিকে)  তাদের রবকে হাদিয়া দেবে। জুমা আদায়কারী ব্যক্তিদের জন্য থাকবে বিশেষ সব মর্যাদা। যা অন্য কেউ পাবে না। কী সেইসব মর্যাদা?

‘হ্যাঁ’, জুমার দিন যারা যথাযথভাবে নামাজ পড়বে, জুমার দিন তাদের জন্য বিশেষ ৬টি বৈশিষ্ট্য ও মর্যাদা বয়ে আনবে। সেদিন তাদের সঙ্গে মুয়াজ্জিন ছাড়া আর কেউ জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না। কেয়ামতের দিনের সেসব ঘটনা হাদিসে এভাবে এসেছে-

হজরত আবু মুসা আল-আশআরি রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, নিশ্চয়ই আল্লাহ তাআলা কেয়ামতের দিন সপ্তাহের সব দিনকে নিজ আকৃতিতে একত্রিত করে পুনরুত্থান করবেন। সেদিন জুমার দিনকে উজ্জ্বল আলোকময় করে উঠানো হবে। আর জুমার নামাজ আদায়কারীরা জুমার দিনটিকে নববধূর মতো ঘিরে রাখবে। যেন তা (দিনটিকে) তাদের রবকে হাদিয়া দেওয়া হবে। (জুমার দিন থেকে মুসল্লিরা যেসব অসাধারণ উপকারিতা ও মর্যাদা পাবে; তাহলো)-

১. সে (জুমার দিন) তাদেরকে (জুমা পড়া ব্যক্তিদের) আলো দান করবে।

২. তারা (মুসল্লিরা) তার (জুমার দিনের) আলোতে চলবে।

৩. এতে তাদের রং হবে বরফের মতো সাদা।

৪. তাদের ঘ্রাণ মিশকের ঘ্রাণের মতো ছড়িয়ে পড়বে।

৫. তারা কর্পুরের পাহাড়ে আরোহন করবে।

৬. জ্বিন এবং (অন্য) মানুষেরা তাদের দিকে আশ্চর্য হয়ে তাকিয়ে থাকবে; যতক্ষণ না তারা জান্নাতে প্রবেশ করবে।

তবে যে মুয়াজ্জিন সওয়াবের আশায় আজান দিয়েছে তারা ছাড়া অন্য কেউ তাদের (জুমা আদায়কারী মুসল্লির) সঙ্গে মিলিত হতে পারবে না।’ (ইবনু খাজায়মা, মুসতাদরাকে হাকেম)

সুতরং মুমিন মুসলমানের উচিত, যথাযথভাবে জুমার নামাজ আদায় করা। জুমার দিনের আমলগুলো যথাযথভাবে পালন করা।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে জুমার দিনটি নামাজ ও আমলে অতিবাহিত করার তাওফিক দান করুন। জুমার দিনের কাঙিক্ষত ফজিলত ও বৈশিষ্ট্য পাওয়ার তাওফিক দান করুন। আমিন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জুমার নামাজ পড়লে যেসব মর্যাদা পাবে মুমিনরা

আপডেট টাইম : ১১:১৯:১৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২১

হাওর বার্তা ডেস্কঃ আল্লাহ তাআলা কেয়ামতের দিন সপ্তাহের সব দিনকে নিজ আকৃতিতে একত্রিত করবেন। জুমার দিনকে সবচেয়ে আলোকময় উজ্জ্বল করে উঠানো হবে। সেখানে জুমার নামাজ আদায়কারীরা জুমার দিনটিকে নববধূর মতো ঘিরে রাখবে। যেন তারা (দিনটিকে)  তাদের রবকে হাদিয়া দেবে। জুমা আদায়কারী ব্যক্তিদের জন্য থাকবে বিশেষ সব মর্যাদা। যা অন্য কেউ পাবে না। কী সেইসব মর্যাদা?

‘হ্যাঁ’, জুমার দিন যারা যথাযথভাবে নামাজ পড়বে, জুমার দিন তাদের জন্য বিশেষ ৬টি বৈশিষ্ট্য ও মর্যাদা বয়ে আনবে। সেদিন তাদের সঙ্গে মুয়াজ্জিন ছাড়া আর কেউ জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না। কেয়ামতের দিনের সেসব ঘটনা হাদিসে এভাবে এসেছে-

হজরত আবু মুসা আল-আশআরি রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, নিশ্চয়ই আল্লাহ তাআলা কেয়ামতের দিন সপ্তাহের সব দিনকে নিজ আকৃতিতে একত্রিত করে পুনরুত্থান করবেন। সেদিন জুমার দিনকে উজ্জ্বল আলোকময় করে উঠানো হবে। আর জুমার নামাজ আদায়কারীরা জুমার দিনটিকে নববধূর মতো ঘিরে রাখবে। যেন তা (দিনটিকে) তাদের রবকে হাদিয়া দেওয়া হবে। (জুমার দিন থেকে মুসল্লিরা যেসব অসাধারণ উপকারিতা ও মর্যাদা পাবে; তাহলো)-

১. সে (জুমার দিন) তাদেরকে (জুমা পড়া ব্যক্তিদের) আলো দান করবে।

২. তারা (মুসল্লিরা) তার (জুমার দিনের) আলোতে চলবে।

৩. এতে তাদের রং হবে বরফের মতো সাদা।

৪. তাদের ঘ্রাণ মিশকের ঘ্রাণের মতো ছড়িয়ে পড়বে।

৫. তারা কর্পুরের পাহাড়ে আরোহন করবে।

৬. জ্বিন এবং (অন্য) মানুষেরা তাদের দিকে আশ্চর্য হয়ে তাকিয়ে থাকবে; যতক্ষণ না তারা জান্নাতে প্রবেশ করবে।

তবে যে মুয়াজ্জিন সওয়াবের আশায় আজান দিয়েছে তারা ছাড়া অন্য কেউ তাদের (জুমা আদায়কারী মুসল্লির) সঙ্গে মিলিত হতে পারবে না।’ (ইবনু খাজায়মা, মুসতাদরাকে হাকেম)

সুতরং মুমিন মুসলমানের উচিত, যথাযথভাবে জুমার নামাজ আদায় করা। জুমার দিনের আমলগুলো যথাযথভাবে পালন করা।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে জুমার দিনটি নামাজ ও আমলে অতিবাহিত করার তাওফিক দান করুন। জুমার দিনের কাঙিক্ষত ফজিলত ও বৈশিষ্ট্য পাওয়ার তাওফিক দান করুন। আমিন।