চাচী বিধবা। তার সাথে ভাতিজার পরকীয়া আছে। এমন অভিযোগ তুলে চাচির সাথে ভাতিজার বিয়ে দেয়া অভিযোগ উঠেছে সমাজপতিদের বিরুদ্ধে। চট্টগ্রামের বাঁশখালী থানার পশ্চিম চাম্বল এলাকায় ঘটেছে এ ঘটনা। এ ঘটনায় ব্যপক চাঞল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
এদিকে বিয়ের রাতেই ঘটনার শিকার নুরুল আমিন বাদশা (৩৭) তাদের কাছ থেকে পালিয়ে আত্মগোপনে চলে যায়। এ ব্যাপারে চট্টগ্রামের চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ও নগরীর কোতোয়ালি থানায় পৃথক দু’টি মামলা করেছেন তিনি।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, বাঁশখালীর চাম্বল এলাকার কালু সওদাগরের সাথে প্রতিবেশী
ভাইপো নুরুল আমিন বাদশার ব্যবসাবাণিজ্য ছিল। এ সুবাদে তাদের পরিবারে যাওয়া-আসা ছিল বাদশার।
সম্প্রতি কালু সওদাগর অসুস্থ হয়ে মারা গেলে তার আগের ঘরের সন্তানরা তাদের সৎ মায়ের সাথে বাদশার পরকীয়া সম্পর্ক আছে এমন অভিযোগ তুলে ২০ জানুয়ারি জোর করে পাঁচ লাখ টাকা কাবিনে বাদশার সাথে সৎ মায়ের বিয়ে দেয়। পরে ওই রাতেই বাদশা পালিয়ে পলাতক জীবন যাপন করছেন।
নুরুল আমিন বাদশাে একটি দৈনিককে জানিয়েছেন, ‘এলাকার একটি প্রতারকচক্র আমাকে অপহরণ করে বিধবা সাত সন্তানের জননী রেজিয়া বেগমের সাথে জোর করে বিয়ে পড়িয়ে দেয়। তারা পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করছে। আমি প্রতিকার চেয়ে ২৮ মার্চ চট্টগ্রামের চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে রেজিয়ার তিন সৎ ছেলেসহ পাঁচজনকে আসামি করে একটি অভিযোগ করি। আদালত তা তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে বাঁশখালী থানাকে নির্দেশ দিয়েছেন।’
এ দিকে প্রতিনিয়ত রেজিয়ার সৎ সন্তানরা কাবিনের পাঁচ লাখ টাকা পরিশোধের জন্য বাদশাকে চাপ প্রয়োগ করছে বলে বাদশার মা শামসুর জাহান বলেন, ‘রেজিয়া ও তার সৎ ছেলেরা আমাদের সপরিবারে হত্যার হুমকি দিচ্ছে। প্রায় সময় বাড়িতে এসে মারধর ও লুটপাট চালাচ্ছে।’ সূত্র: নয়া দিগন্ত