ঢাকা ০৪:৫৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ জানুয়ারী ২০২৫, ২৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কঠিন পরিস্থিতিতে দুশ্চিন্তা দূর করার ছয় আমল

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১০:৪২:১০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৪ ডিসেম্বর ২০২১
  • ১৪৯ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ বিপদ-আপদ মানুষের জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ। এগুলোর কারণে মাঝে দুশ্চিন্তা আশা স্বাভাবিক। তবে এ রকম পরিস্থিতিতে ভেঙে না পড়ে মহান আল্লাহর ওপর ভরসা করা উচিত। এবং মহান আল্লাহর কাছেই সাহায্য চাওয়া উচিত। নিম্নে এমন কিছু আমল তুলে ধরা হলো, যেগুলো দুশ্চিন্তার সময় করা যেতে পারে।

এক. ধৈর্যধারণ করা :  যেকোনো পরিস্থিতিতে আল্লাহর সাহায্য পাওয়ার অন্যতম মাধ্যম হলো, ধৈর্যধারণ করে মহান আল্লাহর কাছে সাহায্য চাওয়া। পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ বলেন, ‘হে ঈমানদাররা, তোমরা ধৈর্য ও নামাজের মাধ্যমে সাহায্য প্রার্থনা করো, নিশ্চয়ই মহান আল্লাহর ধৈর্যশীলদের সঙ্গে থাকেন।’ (সুরা : বাকারা, আয়াত : ১৫৩)

অন্য আয়াতে ইরশাদ হয়েছে, ‘আর যে আল্লাহর ওপর তাওয়াক্কুল করে, আল্লাহ তার জন্য যথেষ্ট।’ (সুরা তালাক, আয়াত : ৩)

রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, আল্লাহ তাআলা ঘোষণা করেন, ‘আমি সেইরূপই, যেরূপ বান্দা আমার প্রতি ধারণা রাখে।’ (বুখারি, হাদিস : ৬৯০১)

দুই. পরিস্থিতিকে আল্লাহর ওপর ছেড়ে দেওয়া :  আল্লাহ অবশ্যই ভালো কিছু রেখেছেন বলে মনে-প্রাণে দৃঢ় বিশ্বাস রাখা। তাকদিরে বিশ্বাস করা। কারণ আল্লাহ তাকদিরে যা রেখেছেন, তা খণ্ডানোর শক্তি কারো নেই। রাসুল (সা.) বলেন, ‘জেনে রাখো, সব মানুষ যদি তোমার কোনো উপকার করতে চায় তবে আল্লাহ তোমার জন্য যা নির্দিষ্ট করে দিয়েছেন, তা ব্যতীত আর কোনো উপকার করতে পারবে না। আর যদি সব মানুষ তোমার কোনো অনিষ্ট করতে চায় তবে আল্লাহ তোমার জন্য যা নির্দিষ্ট করে দিয়েছেন তা ছাড়া আর কোনো অনিষ্ট করতে পারবে না। কলম তুলে নেওয়া হয়েছে এবং পৃষ্ঠা শুকিয়ে গেছে।’ (তিরমিজি, হাদিস : ২৫১৬)

অপর হাদিসে এসেছে, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, তুলনামূলক বিপদগ্রস্তদের পরিস্থিতি দেখে শোকরিয়া আদায় করা : হাদিসে এসেছে, খাব্বাব (রা.) বলেন, আমরা রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর কাছে অভিযোগ করলাম এ অবস্থায় যে তিনি কাবাঘরের ছায়ায় একটি চাদরে ঠেস দিয়ে বিশ্রাম নিচ্ছিলেন। আমরা বললাম, আপনি কি আমাদের জন্য আল্লাহর কাছে সাহায্য চাইবেন না? আপনি কি আমাদের জন্য দোয়া করবেন না? জবাবে তিনি বলেন, ‘তোমাদের জানা উচিত, তোমাদের পূর্বেকার মুমিন লোকদের এই অবস্থা ছিল যে একটি মানুষকে ধরে আনা হতো, তার জন্য গর্ত খুঁড়ে তাকে তার মধ্যে পুঁতে রাখা হতো। অতঃপর তার মাথার ওপর করাত চালিয়ে তাকে দুই খণ্ড করে দেওয়া হতো এবং দেহের গোশতের নিচে হাড় পর্যন্ত লোহার চিরুনি চালিয়ে শাস্তি দেওয়া হতো। কিন্তু এই কঠোর পরীক্ষা তাকে তার দ্বিন থেকে ফেরাতে পারত না।’ (বুখারি, হাদিস : ৩৬১৬)

এভাবে নিজের থেকে তুলনামূলক কষ্টে থাকা মানুষের কষ্ট অনুভব করলে নিজের হতাশা অনেকটা কমে যায়।

তিন. সালাতুল হাজত পড়া : কারণ রাসুলুল্লাহ (সা.) যখন দুশ্চিন্তায় পড়তেন, নামাজে মগ্ন হতেন। (জামিউল বায়ান ৭৭৯)

চার. অধিকহারে ইস্তেগফার করা : রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি নিয়মিত ইস্তেগফার করবে আল্লাহ তার সব সংকট থেকে উত্তরণের পথ বের করে দেবেন, সব দুশ্চিন্তা মিটিয়ে দেবেন এবং অকল্পনীয় উৎস থেকে তার রিজিকের সংস্থান করে দেবেন। (আবু দাউদ, হাদিস : ১৫২০)

পাঁচ. অধিকহারে দরুদ পড়া : হাদিসে এসেছে, উবাই ইবন কাব (রা.) বলেন, আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসুল, আমি আপনার ওপর অধিকহারে দরুদ পাঠ করে থাকি। আমার সময়ের কতটুকু আপনার প্রতি দরুদ পাঠে ব্যয় করব?  রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, তোমার যতটুকু ইচ্ছা। আমি বললাম, এক-চতুর্থাংশ সময়? তিনি বলেন, তোমার ইচ্ছা। কিন্তু যদি আরো বাড়াও তবে ভালো। আমি বললাম, অর্ধেক সময়? তিনি বললেন, তোমার যা ইচ্ছা; তবে আরো বৃদ্ধি করলে তা-ও ভালো। আমি বললাম, দুই-তৃতীয়াংশ সময়? তিনি বলেন, তোমার ইচ্ছা; তবে আরো বাড়ালে তাও ভালো। আমি বললাম, আমার সবটুকু সময় আপনার ওপর দরুদ পাঠে লাগাব? তিনি বললেন, তাহলে তো তোমার চিন্তামুক্তির জন্য তা যথেষ্ট হয়ে যাবে আর তোমার গুনাহ মাফ করা হবে।’ (তিরমিজি, হাদিস : ২৪৫৭)

ছয়. দোয়া করা : দুশ্চিন্তা ও মানসিক অস্থিরতা থেকে নাজাতের উদ্দেশ্যে হাদিসে বেশ কিছু দোয়া শিক্ষা দেওয়া হয়েছে,  কারো জানা থাকলে সেগুলোও পড়া যেতে পারে। এ বিষয়ে হাদিসে অনেক দোয়া উল্লিখিত হয়েছে, তন্মধ্য থেকে একটি এখানে উল্লেখ করা হলো—

উচ্চারণ : ‘আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা মিনাল হাম্মি ওয়াল হুজনি, ওয়া আউজুবিকা মিনাল আজজি ওয়াল কাসালি, ওয়া আউজুবিকা মিনাল জুবনি ওয়াল বুখলি, ওয়া আউজুবিকা মিন গলাবাতিদ দাইনি ওয়া কহরির রিজাল।’

অর্থ : ‘হে আল্লাহ, আমি আপনার কাছে দুশ্চিন্তা ও অস্থিরতা থেকে আশ্রয় চাই। আমি আশ্রয় চাই অক্ষমতা ও অলসতা থেকে, আপনার কাছে আশ্রয় চাই ভীরুতা ও কার্পণ্য থেকে, আমি আপনার কাছে আশ্রয় চাই ঋণের বোঝা ও মানুষের রোষানল থেকে’।

উপকার : আবু সাঈদ আল-খুদরি (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, একদা রাসুলুল্লাহ (সা.) মসজিদে প্রবেশ করে সেখানে আবু উমামাহ নামক এক আনসারি সাহাবিকে দেখতে পেয়ে তাকে বলেন, হে আবু উমামাহ, কী ব্যাপার! আমি তোমাকে নামাজের ওয়াক্ত ছাড়া মসজিদে বসে থাকতে দেখছি? তিনি বলেন, সীমাহীন দুশিন্তা ও ঋণের বোঝার কারণে হে আল্লাহর রাসুল। তিনি বলেন, আমি কি তোমাকে এমন কিছু বাক্য শিখিয়ে দেব না, তুমি তা বললে আল্লাহ তোমার দুশ্চিন্তা দূর করবেন এবং তোমার ঋণ পরিশোধের ব্যবস্থাও করে দেবেন? তিনি বলেন, আমি বললাম, হ্যাঁ, হে আল্লাহর রাসুল। তিনি (সা.) বলেন, তুমি সকাল-সন্ধ্যায় বলবে ‘আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা মিনাল হাম্মি ওয়াল হুজনি, ওয়া আউজুবিকা মিনাল আজজি ওয়াল কাসালি, ওয়া আউজুবিকা মিনাল জুবনি ওয়াল বুখলি, ওয়া আউজুবিকা মিন গলাবাতিদ দাইনি ওয়া কহরির রিজাল।’

…আবু উমামাহ (রা.) বলেন, আমি তা-ই করলাম। ফলে মহান আল্লাহ আমার দুশ্চিন্তা দূর করলেন এবং আমার ঋণ পরিশোধের ব্যবস্থাও করে দিলেন। (আবু দাউদ, হাদিস : ১৫৫৫)

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

কঠিন পরিস্থিতিতে দুশ্চিন্তা দূর করার ছয় আমল

আপডেট টাইম : ১০:৪২:১০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৪ ডিসেম্বর ২০২১

হাওর বার্তা ডেস্কঃ বিপদ-আপদ মানুষের জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ। এগুলোর কারণে মাঝে দুশ্চিন্তা আশা স্বাভাবিক। তবে এ রকম পরিস্থিতিতে ভেঙে না পড়ে মহান আল্লাহর ওপর ভরসা করা উচিত। এবং মহান আল্লাহর কাছেই সাহায্য চাওয়া উচিত। নিম্নে এমন কিছু আমল তুলে ধরা হলো, যেগুলো দুশ্চিন্তার সময় করা যেতে পারে।

এক. ধৈর্যধারণ করা :  যেকোনো পরিস্থিতিতে আল্লাহর সাহায্য পাওয়ার অন্যতম মাধ্যম হলো, ধৈর্যধারণ করে মহান আল্লাহর কাছে সাহায্য চাওয়া। পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ বলেন, ‘হে ঈমানদাররা, তোমরা ধৈর্য ও নামাজের মাধ্যমে সাহায্য প্রার্থনা করো, নিশ্চয়ই মহান আল্লাহর ধৈর্যশীলদের সঙ্গে থাকেন।’ (সুরা : বাকারা, আয়াত : ১৫৩)

অন্য আয়াতে ইরশাদ হয়েছে, ‘আর যে আল্লাহর ওপর তাওয়াক্কুল করে, আল্লাহ তার জন্য যথেষ্ট।’ (সুরা তালাক, আয়াত : ৩)

রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, আল্লাহ তাআলা ঘোষণা করেন, ‘আমি সেইরূপই, যেরূপ বান্দা আমার প্রতি ধারণা রাখে।’ (বুখারি, হাদিস : ৬৯০১)

দুই. পরিস্থিতিকে আল্লাহর ওপর ছেড়ে দেওয়া :  আল্লাহ অবশ্যই ভালো কিছু রেখেছেন বলে মনে-প্রাণে দৃঢ় বিশ্বাস রাখা। তাকদিরে বিশ্বাস করা। কারণ আল্লাহ তাকদিরে যা রেখেছেন, তা খণ্ডানোর শক্তি কারো নেই। রাসুল (সা.) বলেন, ‘জেনে রাখো, সব মানুষ যদি তোমার কোনো উপকার করতে চায় তবে আল্লাহ তোমার জন্য যা নির্দিষ্ট করে দিয়েছেন, তা ব্যতীত আর কোনো উপকার করতে পারবে না। আর যদি সব মানুষ তোমার কোনো অনিষ্ট করতে চায় তবে আল্লাহ তোমার জন্য যা নির্দিষ্ট করে দিয়েছেন তা ছাড়া আর কোনো অনিষ্ট করতে পারবে না। কলম তুলে নেওয়া হয়েছে এবং পৃষ্ঠা শুকিয়ে গেছে।’ (তিরমিজি, হাদিস : ২৫১৬)

অপর হাদিসে এসেছে, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, তুলনামূলক বিপদগ্রস্তদের পরিস্থিতি দেখে শোকরিয়া আদায় করা : হাদিসে এসেছে, খাব্বাব (রা.) বলেন, আমরা রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর কাছে অভিযোগ করলাম এ অবস্থায় যে তিনি কাবাঘরের ছায়ায় একটি চাদরে ঠেস দিয়ে বিশ্রাম নিচ্ছিলেন। আমরা বললাম, আপনি কি আমাদের জন্য আল্লাহর কাছে সাহায্য চাইবেন না? আপনি কি আমাদের জন্য দোয়া করবেন না? জবাবে তিনি বলেন, ‘তোমাদের জানা উচিত, তোমাদের পূর্বেকার মুমিন লোকদের এই অবস্থা ছিল যে একটি মানুষকে ধরে আনা হতো, তার জন্য গর্ত খুঁড়ে তাকে তার মধ্যে পুঁতে রাখা হতো। অতঃপর তার মাথার ওপর করাত চালিয়ে তাকে দুই খণ্ড করে দেওয়া হতো এবং দেহের গোশতের নিচে হাড় পর্যন্ত লোহার চিরুনি চালিয়ে শাস্তি দেওয়া হতো। কিন্তু এই কঠোর পরীক্ষা তাকে তার দ্বিন থেকে ফেরাতে পারত না।’ (বুখারি, হাদিস : ৩৬১৬)

এভাবে নিজের থেকে তুলনামূলক কষ্টে থাকা মানুষের কষ্ট অনুভব করলে নিজের হতাশা অনেকটা কমে যায়।

তিন. সালাতুল হাজত পড়া : কারণ রাসুলুল্লাহ (সা.) যখন দুশ্চিন্তায় পড়তেন, নামাজে মগ্ন হতেন। (জামিউল বায়ান ৭৭৯)

চার. অধিকহারে ইস্তেগফার করা : রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি নিয়মিত ইস্তেগফার করবে আল্লাহ তার সব সংকট থেকে উত্তরণের পথ বের করে দেবেন, সব দুশ্চিন্তা মিটিয়ে দেবেন এবং অকল্পনীয় উৎস থেকে তার রিজিকের সংস্থান করে দেবেন। (আবু দাউদ, হাদিস : ১৫২০)

পাঁচ. অধিকহারে দরুদ পড়া : হাদিসে এসেছে, উবাই ইবন কাব (রা.) বলেন, আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসুল, আমি আপনার ওপর অধিকহারে দরুদ পাঠ করে থাকি। আমার সময়ের কতটুকু আপনার প্রতি দরুদ পাঠে ব্যয় করব?  রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, তোমার যতটুকু ইচ্ছা। আমি বললাম, এক-চতুর্থাংশ সময়? তিনি বলেন, তোমার ইচ্ছা। কিন্তু যদি আরো বাড়াও তবে ভালো। আমি বললাম, অর্ধেক সময়? তিনি বললেন, তোমার যা ইচ্ছা; তবে আরো বৃদ্ধি করলে তা-ও ভালো। আমি বললাম, দুই-তৃতীয়াংশ সময়? তিনি বলেন, তোমার ইচ্ছা; তবে আরো বাড়ালে তাও ভালো। আমি বললাম, আমার সবটুকু সময় আপনার ওপর দরুদ পাঠে লাগাব? তিনি বললেন, তাহলে তো তোমার চিন্তামুক্তির জন্য তা যথেষ্ট হয়ে যাবে আর তোমার গুনাহ মাফ করা হবে।’ (তিরমিজি, হাদিস : ২৪৫৭)

ছয়. দোয়া করা : দুশ্চিন্তা ও মানসিক অস্থিরতা থেকে নাজাতের উদ্দেশ্যে হাদিসে বেশ কিছু দোয়া শিক্ষা দেওয়া হয়েছে,  কারো জানা থাকলে সেগুলোও পড়া যেতে পারে। এ বিষয়ে হাদিসে অনেক দোয়া উল্লিখিত হয়েছে, তন্মধ্য থেকে একটি এখানে উল্লেখ করা হলো—

উচ্চারণ : ‘আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা মিনাল হাম্মি ওয়াল হুজনি, ওয়া আউজুবিকা মিনাল আজজি ওয়াল কাসালি, ওয়া আউজুবিকা মিনাল জুবনি ওয়াল বুখলি, ওয়া আউজুবিকা মিন গলাবাতিদ দাইনি ওয়া কহরির রিজাল।’

অর্থ : ‘হে আল্লাহ, আমি আপনার কাছে দুশ্চিন্তা ও অস্থিরতা থেকে আশ্রয় চাই। আমি আশ্রয় চাই অক্ষমতা ও অলসতা থেকে, আপনার কাছে আশ্রয় চাই ভীরুতা ও কার্পণ্য থেকে, আমি আপনার কাছে আশ্রয় চাই ঋণের বোঝা ও মানুষের রোষানল থেকে’।

উপকার : আবু সাঈদ আল-খুদরি (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, একদা রাসুলুল্লাহ (সা.) মসজিদে প্রবেশ করে সেখানে আবু উমামাহ নামক এক আনসারি সাহাবিকে দেখতে পেয়ে তাকে বলেন, হে আবু উমামাহ, কী ব্যাপার! আমি তোমাকে নামাজের ওয়াক্ত ছাড়া মসজিদে বসে থাকতে দেখছি? তিনি বলেন, সীমাহীন দুশিন্তা ও ঋণের বোঝার কারণে হে আল্লাহর রাসুল। তিনি বলেন, আমি কি তোমাকে এমন কিছু বাক্য শিখিয়ে দেব না, তুমি তা বললে আল্লাহ তোমার দুশ্চিন্তা দূর করবেন এবং তোমার ঋণ পরিশোধের ব্যবস্থাও করে দেবেন? তিনি বলেন, আমি বললাম, হ্যাঁ, হে আল্লাহর রাসুল। তিনি (সা.) বলেন, তুমি সকাল-সন্ধ্যায় বলবে ‘আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা মিনাল হাম্মি ওয়াল হুজনি, ওয়া আউজুবিকা মিনাল আজজি ওয়াল কাসালি, ওয়া আউজুবিকা মিনাল জুবনি ওয়াল বুখলি, ওয়া আউজুবিকা মিন গলাবাতিদ দাইনি ওয়া কহরির রিজাল।’

…আবু উমামাহ (রা.) বলেন, আমি তা-ই করলাম। ফলে মহান আল্লাহ আমার দুশ্চিন্তা দূর করলেন এবং আমার ঋণ পরিশোধের ব্যবস্থাও করে দিলেন। (আবু দাউদ, হাদিস : ১৫৫৫)